"আমাদের পাড়ার শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দির নির্মাণ কাজ উদ্বোধন"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৮ ই জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এবারে বাড়িতে গিয়ে প্রকৃতির মাঝে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। এবারে বাড়িতে গিয়ে আমি আমার অনেক দিনের একটি স্বপ্ন বা ইচ্ছা বলতে পারেন সেটা পূরণ করতে পেরেছি। আমি যখন নিজে দায়িত্ব নিয়ে আমাদের পাড়ার সরস্বতী মন্দিরে পূজা আরম্ভ করেছিলাম ঠিক তখনই আমার স্বপ্ন ছিলো যে এই মন্দিরটি পাকাপোক্তভাবে কাজ করার। আমি এসএসসি পাস করার পরের বছর থেকে এই অর্থাৎ ২০১৭ সাল থেকে আমাদের পাড়ার সরস্বতী মন্দিরের পূজার দায়িত্ব পালন করছি। প্রায় সাত বছর হয়ে গেলেও অর্থনৈতিক কারণে মন্দিরের কাজ শুরু করতে পারছিলাম না। কিন্তু এবারে বাড়িতে গিয়ে আমাদের পাড়ার ইয়াং জেনারেশনের উদ্যোগে মন্দিরের কাজটি শুরু করি।
আমাদের পাড়ার এই সরস্বতী মন্দিরের কাজ শুরু করার আগে আমাদেরকে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কারণ হলো আমাদের পাড়ার বেশিরভাগ বড় মানুষ পাকাপোক্তভাবে সরস্বতী মন্দির করার পক্ষে ছিলো না। কিন্তু আমাদের ইয়াং জেনারেশনের ইচ্ছা যে, আমরা সম্পূর্ণ পাকাপোক্তভাবে আমাদের এই সরস্বতী মন্দিরটি করবো। আবার আমাদের সরস্বতী মন্দিরের এই জায়গাটি শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সাথে হওয়াতে অনেকেই বলেছিল যে, এখানে মন্দির করা ঠিক হবে না। কিন্তু আমার জানা মতে এরকম কোন নিয়ম নেই যে, একটি মন্দিরের সাথে আরেকটি মন্দির করা নিষেধ আছে। প্রত্যেকটা প্রতিবন্ধকতা কে ওভারকাম করে আমরা ইয়াং জেনারেশন শেষ পর্যন্ত মন্দির করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইট,বালি, সিমেন্ট মন্দির করতে যাবতীয় যা যা লাগবে সেগুলো কিনে আনি।
তারপর শুক্রবারের একটি ছুটির দিন দেখে আমরা আমাদের শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দির করার জন্য রাজমিস্ত্রিদেরকে আসতে বলি। শুক্রবারের দিনে আসতে বলার কারণ এই ছিল যে, আমাদের পাড়ার সবই ইয়াং জেনারেশন এই দিনে বাড়িতেই থাকবো এবং রাজমিস্ত্রিদেরকে মন্দির করার কাজে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করতে পারব। আমরা মন্দির করার কাজে যত বেশি রাজমিস্ত্রিদেরকে সাহায্য করবো ততই আমাদের জন্য ভালো হবে। আমাদের শ্রমের মূল্য নেব না ঠিকই কিন্তু রাজমিস্ত্রিদের শ্রমের মূল্য তো তাদেরকে দিতেই হবে।
আমাদের পাড়ার এই সরস্বতী মন্দির টা পুরোটাই আমার প্ল্যানিং মতো আরম্ভ করি। আমি যেহেতু সিভিলে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বর্তমানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসিতে পড়াশোনা করছি তাই এসবের উপর কিছুটা ধ্যান-ধারণা রয়েছে। আমার সম্পূর্ণ প্লানিং মত এই মন্দিরটি করতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ হবে। রাজমিস্ত্রিরা আসার পরে আমি মিস্ত্রিদের সাথে কিছু কথা বলে নিই এবং তাদেরকে বলি যে, মাটির বেড কেটে প্লিন্থ লেভেল পর্যন্ত ১০ ইঞ্চির ইটের গাঁথুনি দিতে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১লা জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
আপনাদের মন্দির তৈরির কাজ উদ্বোধন হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্মের কাজে অংশগ্রহণ করা উচিত। কারণ এরই মধ্য দিয়ে নিজের ধর্মকে সম্মান করা আর ধর্মীয় অনুভূতি নতুন প্রজন্মকে শেখানো সম্ভব।
এর আগেও আপনারা অনেক মিলে এই মন্দির তৈরি করার জন্য ইট ভেঙে ছিলেন ওই পোস্টটি ও আমি দেখেছিলাম। আপনাদের উদ্যোগটা আসলেই অনেক বড় ছিল। স্বপ্নটা আপনার এত বছরের সেটা জানতাম না। কিন্তু এবারে ইয়াং জেনারেশন সবাই একসাথে হয়ে এই কাজটা সম্পূর্ণ করলেন দেখে ভালো লাগলো। বর্তমানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসিতে পড়াশোনা করছি তাতে আপনার কাজটা তো আরও অনেক সুবিধা হয়েছে। সবাইকে ভালো ভাবে কাজটার উদ্যোগ করতে পেরেছেন। আসলেই আপনার কাজটা দেখে আমরা নিজেরাও অনেক খুশি হয়েছি। একেবারে ভালো কাজ করলেন আপনি।
দারুন একটা উদ্যোগ নিয়েছেন ভাই। আমার তো ভীষণই ভালো লাগলো আপনাদের এই কার্যক্রম। এটা সত্যি যে এই কাজ গুলো তে নানান প্রতিবন্ধকতা আসে, এবং আসবেই। কিন্তু যে লেগে থাকবে সে সফল হবেই। মা সরস্বতী আপনাদের সবার অনেক ভালো করবেন। অনেক ভালো লাগলো পুরো লেখাটা পড়ে। একদম মন থেকে একটা শান্তি পেলাম রে ভাই। ভালোবাসা রইলো সবার জন্য।
হ্যাঁ দাদা যে ব্যক্তিটি লেগে থাকে সে একদিন সফল হবেই। আপনিও শান্তি পেয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো দাদা আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। আশীর্বাদ করবেন যেনো কাজটি সম্পন্নভাবে করতে পারি।