"সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে- ৪র্থ পর্ব"

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago (edited)


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২০শে ডিসেম্বর,বুধবার,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

PhotoEditor_20231219185651607-01.jpeg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আপনাদের সামনে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা অনেকে জানেন যে, আমি আগস্ট মাসের শেষের দিকে সিলেটে ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। এই ভ্রমণটা আমার জীবনের সবথেকে বড় একটি ভ্রমণ ছিলো। আর এই ভ্রমণ থেকে আমি অনেক জ্ঞানলাভ করতে পেরেছি। আসলে মানুষের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার ও প্রয়োজন হয় আর মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি ভ্রমণ করা আর জ্ঞান লাভ করা। এর আগে আমি সুনামগঞ্জ মিনি কক্সবাজার ভ্রমণ, পদ্মবিল ভ্রমণ, ফ্লাওয়ার গার্ডেন ভ্রমণ, সুনামগঞ্জের হাওর বিলাস ভ্রমণ, সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে ১ম ও ২য় পর্ব, শিমুলবাগান ভ্রমণ ১ম ও ২য় পর্ব, অ্যাডভেঞ্চার জাদুকাটা নদী ভ্রমণ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আর আজকে আমি "সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে- ৪র্থ পর্ব" ভ্রমণ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

20230830_113107-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

আমরা জাদুকাটা নদী পার দিয়ে বারিক টিলাতে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পথ ভুল করার জন্য বারিক টিলাতে যাওয়াটা আমাদের মিস হয়ে যায়। আসলে পথ ভুল হলেও এই রাস্তা দিয়ে যেতে ভীষণ ভালো লাগছিল। আসলে এত সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের রাস্তা খুবই কম দেখা যায়। আসলে অনেক আগে থেকেই ইচ্ছা ছিলো বারিক টিলার সৌন্দর্য উপভোগ করার। জাদুকাটা নদী পাশ দিয়ে যদি আমরা স্থানীয় মানুষের কাছে থেকে শুনে যেতাম তাহলে বারিক টিলাতে যেতে পারতাম। আমরা এটা ভেবেছিলাম যে নীলাদ্রি লেক আর বারিক টিলা পাশাপাশি।

20230830_113057-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় পরিবেশের মাটির অচেনা রাস্তায় দিয়ে বাইক নিয়ে যেতে মনের ভিতর ভীষণ ভালো লাগা কাজ করছিলো। রাস্তার দুই পাশে ধানের ক্ষেত আর ধানের খেতে ওপারেই মেঘালয় পর্বতমালা। আমরা যত রাস্তা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম ততই মনের ভিতর বেশি ভালো লাগা কাজ করছিল কারণ ছিল এটাই যে আমরা আস্তে আস্তে পাহাড়ের কাছের দিকে যাচ্ছিলাম।

20230830_112812-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

আমরা যেহেতু ভুল করে বারিক টিলার উল্টো পথের অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছিলাম। তাই আবার বারিক টিলাতে যাওয়া আমাদের জন্য ভুল হতো। কারন আমাদের হাতে সময় খুব একটা বেশি ছিল না। মাত্র একদিনে সুনামগঞ্জের অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ করাটা এতটাও সহজ নয়। কারন আমাদের নীলাদ্রি, লাকমাছড়া ও টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ এখনো বাকি ছিলো। আমাদের ঘড়ির কাটায় তখন প্রায় বারোটা বাজে।

20230830_112819-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

কিন্তু আমার ইচ্ছা আছে যদি আবার কখনো সুনামগঞ্জে যায় তাহলে বারিক টিলাতে অবশ্যই ভ্রমণ করবো। কারণ জাদুকাটা নদী আর বারিক টিলার সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করতে বেশ ভালো লাগবে। সত্যি বলতে বারিক টিলাতে যাইতে না পেরে সবারই একটু মন খারাপ ছিলো। কারণ এত কষ্ট করে ভ্রমন করতে বের হয়েছি যদি একটি ভ্রমণ স্পট মিস হয়ে যায় তাহলে খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার।

20230830_113632-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

আসলে জায়গাটি আমাদের অচেনা থাকার কারণে আর স্থানীয় মানুষদের কাছে না শোনার কারণেই এমনটা হয়েছিলো। এই ভুলটা আমাদের নিজেদেরই ছিলো। আপনারা যদি এই জায়গাটিতে ভ্রমণে যান অবশ্যই স্থানীয় লোকদের কাছে শুনে শুনে গুগল ম্যাপ দেখে ভ্রমণ করবেন। আমরা মাটির রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে দেখতে পেলাম যে রাস্তার উপর দিয়ে বেশ জল গড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা বাইক নিয়ে এই জায়গাটিতে দাঁড়িয়ে একজন স্থানীয় মানুষের কাছে শুনলাম যে, এই জলটা আসলে কোথা থেকে আসছে।

20230830_113641-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

তারপর এই স্থানীয় লোকটি বললো পাশেই একটি ছোট ঝর্ণা আছে মেঘালয় পাহাড় থেকে ঝর্নার জল গড়িয়ে আছে। তারপর ওই স্থানীয় ব্যক্তির থেকে এই ঝর্ণার লোকেশন শুনে বাইক নিয়ে ঝর্নার দিকে যেতে থাকলাম। এ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের বেশ ঝামেলা হচ্ছিলো, কারণ এখানকার এই পুরো রাস্তাটি ছিল মোটা লাল বালির রাস্তা। এরকম বালির রাস্তাতে বাইক চালানো একটু কষ্টকর।

20230830_113728-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

তারপরেও আমরা এই ভ্রমণটা বেশ এনজয় করছিলাম। আমরা কিছু সময় বাইক নিয়ে এই বালির রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পরেই দূর থেকে দেখতে পেলাম বাংলাদেশ ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে। এই সাইনবোর্ডের এ পাশে বাংলাদেশের সীমানা আরও পাশে ভারতের সীমানা।

20230830_113955-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

এই সাইন বোর্ডের উপর লেখা ছিলো বাংলাদেশের শেষ সীমানা বাংলাদেশ ভারতের সীমানা রেখা আর এটা অতিক্রম করা নিষিদ্ধ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই যে, ভারতের সীমানার ভেতরেই এই ঝর্ণাটি অবস্থিত। আমি এরকম সীমানা রেখাতে এর আগে কখনোই আসিনি। তাই এরকম জায়গাটিতে বাইক থামিয়ে সবাই মিলে একটি সেলফি উঠে নিলাম। তবে ঝর্নাটা ভারতে সীমানার ভিতরে হলেও বাংলাদেশের সীমানার ভেতর দিয়ে জলের স্রোত প্রবাহ হচ্ছিলো।

আজকে আমি "সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে-৪র্থ পর্ব" শেয়ার করলাম আবার পরবর্তীতে অন্য কোন পোস্টে ৫ম পর্ব শেয়ার করবো।



প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 6 months ago 

আপনাদের পর্ব গুলো দেখে আর থেমে থাকতে পারছি না মনে হয় এখনি চলে যাই । সুনামগঞ্জের এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করে আসি। সত্যিই দারুন ছিল আসলে এই সৌন্দর্য বর্ষাকালীন সময়েই উপভোগ করতে পারা যায়। যেটা আপনি বন্ধুদের সাথে দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলেন। দারুন ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম আপনার মাধ্যমে।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

অবশ্যই বন্ধু যদি আবার কখনো সময় হয় তোমাদেরকে নিয়ে একসাথে সুনামগঞ্জ ভ্রমণে বের হব। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে।

 6 months ago 

আজকে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আপনার এই অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যেখানে খুঁজে পেয়েছি গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক অপরূপ দৃশ্য।

 6 months ago 

আসলে এরকম সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্য সুনামগঞ্জ ভ্রমণ করাটা আমাদের জন্য বেশ ভালো ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 6 months ago 

খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফির পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে সবুজ দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 6 months ago 

সত্যি বলতে সবুজের মাঝে ঘুরে বেড়ানো আনন্দটাই আলাদা। সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম সুনামগঞ্জের এই সবুজ প্রকৃতির মাঝে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই।

 6 months ago 

আপনার প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এতই চমৎকার ছিল প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি ভাইয়া। এমন সুন্দর ফটোগ্রাফি আসলে মন মানসিকতা পরিবর্তন করে দেয়। সবাই মিলে অনেক ঘোরাঘুরি করলেন সুনামগঞ্জ এলাকায়। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 6 months ago 

আবার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে অনেক ভালো রেখেছে জেনে খুশি হলাম আপু। সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 6 months ago 

আপনার ভ্রমণ পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি যদিও পথ ভুলে অন্য রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন ভালো। কিন্তু যেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে আমি নিজেই মুগ্ধ হলাম ভাই। এতো সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য বাহ্ ভাবতেই অনেক সুন্দর লাগতেছে। যাইহোক এতো সুন্দর ভাবে আপনার ভ্রমণ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 6 months ago 

আসলে কিছু কিছু সময় ভুল করেও অনেক সুন্দর জায়গায় পৌঁছানো যায়। প্রাকৃতিক অপরূপ দৃশ্য সত্যি আমাকে মনোমুগ্ধ করেছিল এই জায়গাটিতে। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.028
BTC 61436.95
ETH 3388.33
USDT 1.00
SBD 2.49