হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার শরীফ ভ্রমণ - ১ ম পর্ব ।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২২ শে অক্টোবর, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা প্রায় দুই ঘন্টা বাইক জার্নি শেষে সিলেট বিভাগীয় শহরে আসতে পেরেছিলাম। আবহাওয়াটা আমাদের অনুকূলে থাকার কারণে আমরা বেশ আগেই পৌঁছে গেছিলাম। তবে বাইকে করে সিলেট বিভাগীয় শহরে আসার সময় প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছিলো। এজন্য অবশ্য আমরা আসার পথে বিরতি দিয়ে চা খেয়েছিলাম। বাইক জার্নিতে ঘুম পেলে অবশ্য আমরা এটাই করে থাকি।
আমি অবশ্য বাইক ড্রাইভ করছিলাম না, কিন্তু বাইক এর পিছনে বসে থাকতে গেলেও অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ ঘুমিয়ে গেলে বা অসতর্কতা ভাবে বসে থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। যাই হোক আমরা সিলেট বিভাগীয় শহরের ভেতরে এসে গুগল ম্যাপসের সাহায্য নিয়ে হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজারের গেটের সামনে এসে পৌঁছালাম।
আমরা গুগল ম্যাপের সাহায্য নিলেও খুঁজে পেতে একটু সমস্যা হয়েছিল। কারণ গুগল ম্যাপ অনুযায়ী আমরা প্রথমে হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজারের অন্য আরেকটি গেটের সামনে চলে গিয়েছিলাম। তারপর সেখান থেকে স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে শুনে মেন গেটে এসেছিলাম। যাইহোক আমরা গেটের সামনে বাইক নিজ দায়িত্বে লক করে রেখে ভেতরে প্রবেশ করলাম।
যেহেতু আমরা হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজারে স্বল্প সময়ের জন্য গিয়েছিলাম তাই বাইক গেটের সামনে রেখেছিলাম। যারা দীর্ঘসময়ের জন্য যাবে তাদের উচিত আশেপাশের গ্যারেজে বাইক রেখে যাওয়া। কারণ এখানকার গেটের সামনে বাইক রাখা মানে নিজেদের দায়িত্ব। আমার কাছে মনে হয় বাইরে গিয়ে যেখানে সেখানে বাইক না রাখাই ভালো গ্যারেজে রাখাই উত্তম।
আমরা ভেতরে প্রবেশ করার পরে দেখলাম বেশ ভালোই লোকের সমাগম আছে। এর আগে একবার আমি আমার পিসেমশাইয়ের সাথে হযরত শাহাজালাল (রঃ) মাজার ভ্রমণ করতে এসেছিলাম। প্রথমবারের থেকে এবারের অনুভূতিটা একদম আলাদা লাগছিল। কারণ এবারে আমরা যারা ভ্রমণে এসেছিলাম সবাই একই বয়সী। আর বন্ধু রাহুল সাথে থাকলে ভ্রমণের মজাটা বেড়ে যায়।
সিলেটে যতগুলি ভ্রমণ স্পটে গিয়েছিলাম সবগুলোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। অন্যান্য জায়গার তুলনায় এটা আনকমন ছিলো কারণ এটা হলো মাজার শরীফ। এই মাজার শরীফ বাদে এখন পর্যন্ত যতগুলি জায়গায় গিয়েছিলাম সবই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থান ছিলো। আমি আর আমার বন্ধু রাহুল একসাথে বেশ ভালোই মাজার শরীফের ভেতরে ঘোরাফেরা করছিলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে
সিলেট ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: বিছনাকান্দি, সিলেট
তারিখ: ৩ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার শরীফ ভ্রমণ - ১ ম পর্ব। আপনার শেয়ার করা পোস্ট দেখে আবারও সেই পুরনো দিনের স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল আমার। আসলে আমিও এই জায়গাটি নিজের চোখে দেখেছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে আমারও সেখানে গিয়েছিলাম রাতের বেলায় দেখার জন্য সেখানে আমরা হোটেল নিয়েই এক রাত থেকে ছিলাম। আসলে পাশে একটা পুকুর আছে এই পুকুরটাতে সত্যি বেশ রহস্যজনক ঘটনা ছিল সেখানে মানুষের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম।
হ্যাঁ ভাই হযরত শাহজালাল রঃ বাজারে একটি পুকুর আছে এ পুকুরটা বেশ রহস্যজনক। আপনিও সিলেটের এই ঐতিহাসিক জায়গায় ভ্রমণ করেছেন যারে ভালো লাগলো। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমাদের কদিনের ইচ্ছে রয়েছে এই হযরত শাহজালাল মাজার শরীফ ভ্রমণ করতে যাওয়ার। কিন্তু এখনো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। যাই হোক আপনারা সেখানে গিয়েছেন এবং সেই জায়গার বেশ দারুন চিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
অবশ্যই সেরকম সময় হলে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করবেন আশা করি অনেক ভালো লাগবে আপু। তবে সেটা বছরের জুলাই আগস্ট মাসের দিকে তাহলে অনেক মজা পাবেন। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজারে ভ্রমণ করেছেন জেনে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। তবে আপনার পোষ্টের মধ্যে মাজারের ছবির পাশাপাশি আপনার আরো কিছু ভ্রমণ কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করলে পোস্টটা আরো বেশি ভালো লাগতো। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের কাটানো মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু হযরত শাহজালাল রঃ মাজারে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন ভাইয়া এরকম সুন্দর জায়গা গুলো অনেক ভালো লাগে। আর এই জায়গাগুলোতে গেলে অন্য রকমের অনুভূতি খুঁজে পাওয়া যায়। আপনি ভ্রমণ প্রিয় মানুষ আমরা সকলেই জানি। দারুন সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
ভ্রমণ মানুষের হৃদয়কে প্রশান্তি দেয়। আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আশা করছি এভাবে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন।
আসলে আমি যখন বাংলাদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলাম তখন কিন্তু আমি সিলেটে গিয়েছিলাম। আর সিলেটে ঘুরতে যাওয়ার সময় এই হযরত শাহজালাল এর মাজারে গিয়েছিলাম। আসলে এই মাজারের পাশে একটা পুকুর রয়েছে যেখানে অনেক বড় বড় মাছ রয়েছে। আর আপনি এখানে ঘুরতে গিয়েছেন জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো।
আপনিও সিলেটের হযরত শাহজালাল রঃ মাজারে ঘুরতে এসেছিলেন জেনে ভালো লাগলো দাদা। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।