"বাংলাদেশের ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে ভোট দেয়ার অনুভূতি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৪ ই মে, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি বেশ কিছুদিন হলেও ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি এখানে এসে গ্রামীন প্রকৃতির মাঝে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। গ্রামীন সবুজে ঘেরা প্রকৃতি সব সময় আমাকে মুগ্ধ করে। প্রতিটি সুনাগরিকের কর্তব্য দেশের সংবিধান স্বীকৃত আইন মেনে চলা। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন প্রথম ধাপের ভোট প্রদান করলাম সেই অনুভূতি এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমি প্রায় তিন বছর হলো ভোট দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি। এক কথায় বাংলাদেশের নাগরিকের মর্যাদা পেয়েছি। এই তিন বছরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে ভোট প্রদান করেছিলাম। প্রতিটি নির্বাচনে ভোট প্রদান করার আলাদা আলাদা অনুভূতি থাকে। যে কোন নির্বাচনে এই ভোট প্রদানের সময় আমি সব সময় চেষ্টা করি সঠিক ব্যক্তিকে ভোট দেয়ার জন্য। আমি দল-মত নির্বিশেষে সঠিক যোগ্য ব্যক্তি বাছাই করে সেই ব্যক্তির প্রতীকে ভোট প্রদান করি।
এবারে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার পরে জানতে পারলাম যে, মে মাসের ৮ তারিখে বাংলাদেশের ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। যে কোন নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে তবে উচ্চস্বরে মাইকের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রচারণা আমার কাছে একদমই ভালো লাগেনা। এক কথায় সাধারন মানুষ প্রচুর পরিমাণে বিরক্ত হয় এভাবে প্রচার প্রচারণা করলে। এবারে বাংলাদেশের ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট প্রদানের দিনে সকাল ৯ টার দিকে আমাদের পাড়ার ইয়াং জেনারেশনরা মিলে চলে গেলাম আমাদের পাশের গ্রামের একটি স্কুলে ভোট দেয়ার জন্য।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রদানের সেন্টার আমাদের গ্রামের একটি স্কুলে হলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচন গুলোতে পাশের গ্রামের একটি স্কুলে হয়ে থাকে। আমরা সবাই মিলে প্রথমে গিয়ে ভোট দেয়ার জন্য আমাদের সিরিয়াল নাম্বার খুঁজে বের করলাম। তারপর ছোট্ট একটি সাদা কাগজে নাম এবং সেই সিরিয়াল নাম্বারটা লিখে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করলাম। আমরা সকালের দিকে গিয়েছিলাম তাই ভোটকেন্দ্র বেশ ভালই ফাঁকা ছিলো।
বর্তমানে রোদের যে টেম্পারেচার এর ভেতরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সিরিয়াল দিয়ে ভোট দেয়াটা সহজ কথা নয়। তবে আমাদের ভোটকেন্দ্র ফাঁকা থাকাতে আমাদের সিরিয়াল দিয়ে অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি। শুধুমাত্র আমাদের পাড়া থেকে আমরা যে, কয়জন ভোট দিতে গিয়েছিলাম সেই কয়জনেই সিরিয়াল দিয়ে কয়েক মিনিটের ভেতরেই ভোট প্রদান করলাম। এবারের উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিনটি পদ ছিলো। আর এই তিন পদের জন্য যোগ্য ব্যক্তির প্রতীকে ভোট দিতে পেরে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো।
আমরা ভোট প্রদান সম্পন্ন করে ভোটকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে না থেকে সবাই মিলে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির দিকে রওনা দিই। ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সময় যেভাবে গল্প করতে করতে গিয়েছিলাম আসার সময়ও সেভাবে সবাই মিলে গল্প করতে করতে যার যার বাড়িতে চলে আসি। তবে আসার সময় রাস্তার উপরের সরকারি গাছের কাঁচা আম দেখে এক ছোট ভাই লোভ সামলাতে না পেরে গাছ থেকে দুটি আম ছিড়ে ফাটিয়ে সবার মাঝে ভাগ করে দেয়। আহ কাঁচা টকা খাওয়ার মজাই আলাদা। এবারের বাংলাদেশের ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট দেয়ার অনুভূতি সত্যিই চমৎকার ছিলো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আমাদের এদিকে এখনো নির্বাচন হয়নি। আপনাদের ওদিকে নির্বাচন হয়ে গেছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার ভোট দেওয়ার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো। সবার সাথে গল্প করার পাশাপাশি এক ছোট ভাই কাঁচা আম ছিঁড়েছে বলেই সময়টা আরো ভালো কেটেছে। মনে হচ্ছে এই সময় আম খেতে ভালো লাগেছে।
কয়েকটা ধাপে এবারের উপজেলা নির্বাচন হবে আস্তে আস্তে সব উপজেলাতেই হবে। এবারে উপজেলা নির্বাচনে ভোট দেয়ার অনুভূতি দারুন ছিলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি তিন বছর আগে থেকেই ভোট দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ভোট দেওয়ার মাঝে এক অন্যরকম আনন্দ রয়েছে যদিও এবার ভোট দিতে পারি তবে আপনার ভোট দেয়ার কথা শুনে খুবই ভালো হতো। আর বর্তমান সময়ে যে পরিমাণ রোদ্রের টেম্পারেচার তা থেকে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়াটা আসলেই অনেক বেশি কষ্টকর। যাইহোক ভোট দেয়া শেষে সকলে মিলে কাঁচা আম খেয়েছেন জেনে জিভে জল এসে গেল। ধন্যবাদ ভোট দেওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আসলেই ভাই ভোট দেয়ার মাঝে অন্যরকম একটা আনন্দ রয়েছে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় উপজেলার মধ্যে নির্বাচনী কার্যক্রম চলছে। আসলে আমি এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ভোটের মধ্যে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। আপনি প্রায় তিন বছর আগে থেকেই ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, এটা শুনে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আপনি আজকে আমাদের মাঝে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মধ্যে ভোট দেয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন, আপনার অনুভূতি অন্যরকম ছিল ভাইয়া।
আপনিও একদিন অবশ্যই ভোট দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন ভাই। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
একজন সুষ্ঠুর নাগরিক হিসেবে ভোট দেয়া আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ভোট দিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। আমাদেরও 21 তারিখে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিনটি পদের ভোট হবে। সব মিলিয়ে দারুন মুহূর্ত তুলে ধরেছেন।
হ্যাঁ ভাই সুনাগরিক হিসেবে ভোট দেওয়াটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।
আমাদের এখানে 6 দিন পর ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভাইজান। তবে ভোট বিষয়ে আমার তেমন কোন মাতামাতি নেই। ভোটের দিন আসলে ভোট দিতে পারি নাও দিতে পারি। পরিস্থিতি বুঝে চিন্তাভাবনা। তবে নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব ভোট দেওয়া। আপনার ভোট দেওয়ার অনুভূতি দেখে বেশ ভালো লাগলো।
এবারে ভোট দেয়ার অনুভূতি সত্যিই দারুন ছিলো। অবশ্যই ভাই সুনাগরিক হিসেবে সঠিক প্রার্থীর প্রতীকে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করবেন। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি তো তিন বছর হলো ভোট দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন তবে ভাই আমার কিছু সমস্যার কারণে এখন পর্যন্ত আইডি কার্ড টা হাতে পেলাম না 😑। যাই হোক আইডি কার্ড টা হয়ে গেলে আমিও ইনশাল্লাহ আপনার মতো ভোট দিব। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ভোট দেওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
ভাই সমস্যাটা কেটে গেলে আপনিও আইডি কার্ড হাতে পেয়ে গেলে ভোট দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।