"ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসার অভিজ্ঞতা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১০ ই জুন, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি মোটামুটি মাঝ খানেক হলেও বাড়ি থেকে ঢাকাতে গিয়েছিলাম তারপরে কক্সবাজারে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম সবার সাথে। সত্যি বলতে এই সুন্দর মুহূর্তগুলো কখনোই ভোলার নয়। কয়েকদিন ধরে মনের ভেতরে ভীষণ ভালো লাগছে যে আগামীকাল আমার বাংলা ব্লগে শুভ জন্মদিন। আর এই জন্মদিনে আমরা সবাই মিলে অনেক বেশি মজা করবো। কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসার পরেই বাড়িতে আসার খুব ইচ্ছা করছিলো। কারণ গ্রামীন প্রকৃতি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এর আগে যতবার বাড়িতে এসেছি বা বাড়ি থেকে ঢাকাতে গিয়েছি বন্ধু রাহুল আর আমি একসাথে গিয়েছি বাইকে করে। কিন্তু বন্ধু রাহুলের চাকরি হয়ে যাওয়াতে এখন একা একাই আসা-যাওয়া করা লাগে সত্যিই আগেকার সেই দিনগুলো অনেক মিস করি। কারণ একসাথে দুই বন্ধু বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে অনেক মজা করে সেসব দিনগুলো এখন শুধুই স্মৃতিময়। আজকে আমি ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি। আজকে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসার অভিজ্ঞতা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্রতিবার বন্ধু রাহুলের সাথে বাড়িতে যাওয়া আসা করলেও এবারে বন্ধুরা হলে চাকরি হয়ে যাওয়ার কারণে ওর সাথে আসতে পারিনি। কারণ ওর চাকরির ছুটি হবে আগামী শুক্রবার থেকে। যাইহোক আজকে সকাল আটটায় ঘুম থেকে উঠে খুব দ্রুতই ফ্রেশ হয়ে নিলাম। যদিও গতকালকে রাতে কবিতা লিখতে লিখতে প্রায় ভোর চারটা বেজে গিয়েছিল তারপর ঘুমাতে গিয়েছিলাম। আজকে খুব সকালে উঠলেও একটু কষ্ট হলেও বাড়িতে আসার আনন্দ হচ্ছিলো। তারপর খুব দ্রুতই সকালের খাবার খেয়ে নিজের যা যা প্রয়োজন সবকিছু ব্যাগে গুছিয়ে নিলাম।
যখন ঘড়ির কাটায় ঠিক দশটা বাজে তখন বাসা থেকে প্রথমে মোহাম্মদপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। মোহাম্মদপুরে এসে এখান থেকে লেগুনা নিয়ে বেড়িবাঁধ হয়ে গাবতলীতে আসলাম। আজকে দিনটা খুব একটা গরমে ছিল না আবার ঠান্ডাও ছিল না। আকাশে হালকা মেঘের আনাগোনা থাকলেও বৃষ্টির দেখা ছিল না। যাইহোক এমন সুন্দর দিনে গাবতলীতে এসে খুব দ্রুতই সেলফি বাসে উঠে পড়লাম। যদিও প্রথমে ইচ্ছা ছিল ডাইরেক রাবেয়া বাসে খোকসা আসবো কিন্তু সেলফি ব্যাস পেয়ে যাওয়াতে এই বাসে উঠে পড়েছিলাম।
যখন বাসে ছিলাম তখন হঠাৎ করে এই সুমন ভাই ফোন দিল বলল যে, আমার বাংলা ব্লগের জন্মদিনের উইশ করার জন্য একটি ছোট ভিডিও করা লাগবে। আরো আমাকে জিজ্ঞাসা করল যে আমি কোথায় আছি! আমি তখন বললাম যে, ভাই আমি বাসের ভেতরে আছি আমার আসতে আসতে তিনটা থেকে চারটা বাজবে। তখন বললে যে, সিয়াম ভাই ডিএম করবে দুপুর দুইটার ভেতরে ভিডিও করে দেওয়া লাগবে। তখন আমি ভাইকে বললাম যে, এরকম বাসের ভেতরে তো ভিডিও করা সম্ভব না। ভাই তখন বলল যে সমস্যা নেই তুমি বাড়িতে এসে বিকালে ভিডিও করে দিও। আমি তখন বললাম যে ,আচ্ছা ঠিক আছে ভাই।
একটু পরেই হঠাৎ সিয়াম ভাই ডিসকোডে ডিএম করলো আমাকে যে, আমার বাংলা ব্লগের জন্মদিনের শুভেচ্ছা বক্তব্যের ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও বানিয়ে দেয়া লাগবে। আমি তখন বললাম যে, আচ্ছা ভাই ঠিক আছে আমি বাড়িতে গিয়ে ভিডিওটি বানিয়ে দিচ্ছি। তারপর বাসের ভেতরে বসে চিন্তা ভাবনা করতে থাকলাম যে, কিভাবে ভিডিওটা তৈরি করা যায়। যাইহোক বাসের ভেতরে বসে এই ফাইনাল একটা চিন্তা করে ফেলেছিলাম কিভাবে ভিডিও তৈরি করবো। মোটামুটি দুই ঘণ্টার ভিতরেই পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছে যায়।
তারপর পাটুরিয়া এসে বাস থেকে নেমে সোজা ফেরিঘাটে চলে গেলাম। ফেরিঘাটে গিয়ে টিকিট কেটে দ্রুতই ফেরিতে উঠে পড়লাম। আজকে ভাগ্য ভালো ছিল যে ফেরিঘাট পর্যন্ত কোথাও তেমন লেট হয়নি। তারপর আমি ফেরিতে ওঠার সাথে সাথেই দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। আমি ফেরিতে ওঠার পরে সোজা ফেরির একদম উপরের অংশে চলে গেলাম। কারণ ফেরির উপরে প্রচুর পরিমাণে বাতাস লাগে আর নদীর সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়।
আমি আর আমার বন্ধু যখন আসা-যাওয়া করি তখন এই জায়গাটাতেই এসে আমরা গল্প করতাম খুব ভালো লাগতো। মোটামুটি আধা ঘন্টার ভেতরেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে চলে আসি। তারপর ফেরিঘাট থেকেই রাবেয়ার বাসে উঠে পড়ি। আজকে ভেবেছিলাম যে, রাতে যেহেতু ঘুম হয় নাই বাসে উঠে প্রচুর ঘুম পাড়বো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাড়িতে যেদিন আসি সেদিন বাসে উঠলেও কোন ঘুম হয় না। যাইহোক মোটামুটি দেড় ঘন্টার ভেতরেই খোকসাভা বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছে গেছিলাম।
আমি বাস থেকে নেমে এই ভ্যান নিয়ে সোজা সমষপুর চলে আসলাম। শোমসপুর এসে আরেকটি ভ্যানে উঠে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করলাম যে, আমার বাবা কে বলল বাইক নিয়ে বাজারে ঢুকলো। তারপর সাথে সাথেই বাবাকে ফোন দিলাম যে, বিকালের দিকে আমার তো বাইক লাগবে তোমার বাজারে কার সাথে কত সময় লাগবে! বাবা তখন বলল যে, আমার কয়েক মিনিটের কাজ আছে তুমি একটু দাঁড়াও আমি এখনই চলে আসছি। তারপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতেই বাবা চলে আসলো। অনেকদিন পরে বাবার বাইকের পিছনে উঠে বাড়িতে আসলাম বিষয়টা সত্যিই অনেক ভালো লাগেছিলো। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসতে পেরে মনের ভিতরে ভীষণ ভালো লাগছে। এখন বাড়িতে থেকে পরিবার ও বন্ধু বান্ধবদের সাথে সুন্দর সময় অতিবাহিত করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১০ ই জুন ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
সিয়াম ভাই আমাকেও ডিএম করেছিল। আমিও একটা শর্ট ভিডিও করেছি আমার বাংলা ব্লগকে শুভেচ্ছা জানিয়ে। এবারে আর রাহুল ভাই নেই আপনার একা একা বাড়ি যাওয়া লাগছে। ইস ব্যাপার টা বেশ দুঃখজনক। ফেরিঘাট হয়ে যাতায়াত করার কিছু অসুবিধাও আছে। আপনি মোটামুটি বেশ ভালোভাবে বাড়িতে পৌছে গিয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগছে।
ভাই আপনার ভিডিওটা ও দেখলাম বেশ ভালই হয়েছে। একা একা আসতে সত্যি খুব একটা ভালো লাগে না। সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
তাহলে তো আপনি ঈদের ছুটিতে চলে গেলেন গ্রামের বাড়িতে। এখনো আমরা শহরেই পড়ে আছি বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ হলে যেতে পারবো। আপনি তো বেশ আনন্দে আছেন আমরাও আছি আনন্দে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির তৃতীয় বর্ষপূর্তি তাই। আশা করি আমরা সবাই মিলে আজকে আনন্দ উপভোগ করতে পারবো। তবে আপনার গ্রামে যাওয়ার অনুভূতিটা অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে দেখে।
হ্যাঁ আপু আমরা সবাই আমার বাংলা ব্লগের জন্মদিনের জন্য বেশ আনন্দে আছি। অনেকদিন পরে ঈদে ছুটিতে বাড়িতে আসতে পেরে বেশ ভালই লাগছিলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
ঈদের ছুটিতে তাহলে বাড়ি চলেই এসেছেন। সব সময় রাহুল ভাইয়া এবং আপনি একসাথে আসলেও, এবারে একসাথে দুইজন আসতে পারেনি শুনে খুব খারাপ লাগলো। উনার যেহেতু চাকরি হয়েছে তাই আরো কয়েকদিন পর ছুটি দেবে বুঝতে পেরেছি। তবে আশা করছি গ্রামে আসার পরে দুজনে ভালো সময় কাটাবেন। তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমরা সবাই অনেক আনন্দে রয়েছি। আজকের রাতটা সত্যি অনেক আনন্দময় হবে। আপনি আপনার ফ্যামিলি বন্ধুবান্ধব সবার সাথে যেন আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করতে পারেন এটাই কামনা করি।
হ্যাঁ আপু দুজনেই এখন গ্রামে চলে এসেছি বেশ ভালোই সময় অতিবাহিত করছি। আজকে সবাই একসাথে পিকনিক করছি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রতিবারই দেখি আপনি সবার আগে বন্ধুর বাইকে চড়ে বাড়ি চলে যান। এবার গেলেন বাসে চড়ে। তবে লাষ্টে গিয়ে ঠিকই বাবার বাইকে চড়লেন। নদীর ফটোগ্রাফিটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। নদীতে প্রচুর পানি হয়েছে দেখলাম। সব মিলিয়ে আপনার অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই শেষে বাবার বাইকে আসতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিলো। খুবই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
রাহুল ভাইয়ের চাকরি হওয়াতে শেষ পর্যন্ত একা একাই গ্রামের বাড়িতে যেতে হলো। যাইহোক ঠিকঠাক মতো গ্রামের বাড়িতে পৌঁছাতে পেরেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। বাসের ভিতরে শুভেচ্ছা বার্তার ভিডিও করলে কেমন হতো,সেটাই ভাবছি 😂। বাসায় ফিরে ঠিকঠাক মতো ভিডিও ক্যাপচার করে সিয়াম ভাইয়ের কাছে পাঠাতে পেরেছিলেন তাহলে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাসের ভিতর ভিডিও বার্তা করলে একদমই খারাপ হতো সেজন্যই তো সুমন ভাইয়ের সাথে কথা বলে বাড়িতে গিয়ে ধীরে সুস্থ করার সিদ্ধান্ত নিই। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।