"এক কাপ রং চা-য়ে ডুবে আছে গভীর ভালোবাসা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২১ ই জানুয়ারি, শনিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হলো "এক কাপ রং চায়ে ডুবে আছে গভীর ভালোবাসা"। আমরা সবাই কমবেশি চা পছন্দ করি। আমার কাছে সব থেকে বেশি পছন্দের রং চা হচ্ছে। একদম ছোটবেলা থেকেই শাখার অভ্যাসটা রয়েছে। আরে চা বানানোটা হাতে খড়ি হয়েছে আমার বাবার হাত ধরে। আমার বাবা ও একজন চাপ প্রিয় একটা মানুষ।
ছোটবেলায় বাড়িতে যখন কোন অতিথি আসতো তাহলে চা বানানোর দায়িত্বটা আমার উপরে পড়তো। এখনো বড় হয়েছি বাড়িতে গেলে কোন অতিথি আসলে চা বানানোর দায়িত্বটা আমার উপরেই পড়ে এবং বাড়িতে অনুষ্ঠান হলে সেই চা বানানোর দায়িত্বটা আমার উপরে এসেই পড়ে। আমি যেমন চা পান করতে পছন্দ করি তেমনি চা বানাতেও পছন্দ করি। আমি যখন ছোট ছিলাম আমাদের বাড়িতে তখন সবাই আখের গুড়ের চা পান করতো। আমাদের গ্রামে যে জমি ছিল সেইসব জমি তে আখের চাষ করা হতো এবং সেই আখ থেকেই গুড় তৈরি হতো। আর ওই গুড় সারা বছর আমাদের বাড়িতে সব সময় থাকতোই।
আখের গুড়ের রং চা তে আলাদা একটি স্বাদ আছে। আমাদের বাড়িতে যে সময় আমরা আখের গুড় দিয়ে চা বানিয়ে পান করতাম । সেই সময় যাদের আখের গুড় ছিল না তারা চিনির চা বানিয়ে পান করত বেশিরভাগই। কিন্তু বর্তমানে গ্রাম সহ শহরের বিভিন্ন এলাকাতে দেখছি আখের গুড়ের আবার সেই চায়ের প্রচলন অনেক জায়গায় শুরু হয়ে গেছে। আসলে এখন সবাই অর্গানিক খাবার খেতে চাই তাই চা পান করার সময়ও আখের গুড় ব্যবহার করলে তাতে স্বাদটা বেশ ভালই হয়।
কিন্তু বর্তমানে বাজারে যেসব আখের গুড় পাওয়া যায় সেসব গুড় আমার কাছেও মোটেই অর্গানিক মনে হয় না। কারণ আখের গুড়টা বেশ ভালো করেই জানি আমি। বাজারে যেসব আখের গুড় পাওয়া যায় সবই এক কথায় ভেজাল। আর আমি ঢাকা থেকে ওয়াখের গুড়ের চা খেয়েছি কিন্তু বাড়িতে তৈরি আখের গুড়ের চা আর ঢাকাতে তৈরি আখের গুড়ের চা এক কথায় বলতে গেলে রাত-দিন তফাৎ।
আমাদের বাড়ির পাশেই একটি চায়ের দোকান আছে এখানকার দোকানের চায়ের মান আর ঢাকা শহরের চায়ের মান স্বাদে অনেক পার্থক্য মনে হয়েছে আমার কাছে। আমি বরাবরই একজন চা প্রেমি মানুষ তবে এমন যা প্রেমিক নয় যে চা আমার সব সময় লাগবেই। চা খাওয়াটা পুরোপুরি আমার নিজের ইচ্ছার উপর যখন মন চায় তখনই খায়। গতকালকে আমি ঢাকা থেকে এসে আমার এক পিসির বাড়িতে ছিলাম।
তাদের বাড়ির পাশে একটি ছোট্ট চাই স্টল আছে। আসার পরেই বিকালের দিকে সেখানে গিয়ে এক কাপ চা খেলাম সেটা আমার কাছে সত্যি বলতে অসাধারণ সুন্দর লেগেছে। আমার কাছে যেখানকার চা ভালো লাগে আমি সেখানকার চা বারবার গিয়ে খাই তাই আজ দুপুর পর্যন্ত সেখানে ছিলাম এর ভিতর কয়েকবার গিয়ে সেখান থেকে চা খেয়ে এসেছি কারণ একটাই সেখানকার চামার ভালো লেগেছিলো। আমি আজকে বিকালের দিকে বাড়ি এসেছি বাড়িতে এসে প্রথমেই চা দিয়ে শুরু হলো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২১ জানুয়ারি |
লোকেশন | খোকসা,কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
জ্বি ভাই আপনার অনুভূতিগুলো সত্যি খুব বাস্তব। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনি চা প্রেমিক মানুষ শুনে খুশি হলাম আমি মাঝে মধ্যে চা খেয়ে থাকি। আখের গুড় কিছুটা ভেজাল মুক্ত। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
যদিও আমি চা একেবারেই খাইনা তবে চা বানাতে বেশ ভালোই লাগে।আমি বেশ ভালো চা বানাতে পারি।আমি আখের গুড়ের চায়ের কথা শুনেছি বিভিন্ন দোকানের সামনে লিখা থাকে।কি আর করার দুনিয়াতে সব কিছুই ভেজাল ভাই,কোথাও কম কোথাও বেশি এই আরকি।যাই ভাই শেষের দিকে চা মামা লিখতে গিয়ে চামার লিখে ফেলেছেন।চেক করে নিয়েন।ধন্যবাদ আপনাকে
সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নিশ্চয়ই আপনি খুব সুন্দর চা বানাতে পারেন যার কারণে কোনো অতিথি এলেই আপনার উপর চা বানানোর দায়িত্ব এসে পড়ে ৷ আসলে চা প্রিয় মানুষ আমিও ৷ এক কাপ চায়ের মাঝে অনেক প্রশান্তি মিশে আছে ৷ যাই হোক চায়ের প্রতি আপনার মিশে থাকার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই একজন যা প্রেমিক মানুষই বলতে পারে যে এক কাপ চায়ে কতটা প্রশান্তি পাওয়া যায়। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।