টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ- ওয়াচ টাওয়ারে পৌছালাম।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৯ ই মার্চ, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমরা টেকেরঘাট থেকে যখন টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ শুরু করেছিলাম তখন থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের হৃদয়কে অনেক প্রশান্তি দিচ্ছিল। টাঙ্গুয়ার হাওরের ভেতরে অনেক গ্রাম রয়েছে এসব গ্রাম বর্ষার সময়ে জলে নিমজ্জিত থাকে আবার কিছু কিছু অংশ ভেসে থাকে। এখানকার স্থানীয় মানুষরা টিকে থাকার জন্য অনেক লড়াই করে। টাঙ্গুয়ার হাওরের ভেতরের এসব প্রত্যন্ত গ্রাম গুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা সবকিছুই অনুন্নত। তবে এখানকার একটা বিষয় দেখে ভালো লাগলো যে প্রায় গ্রামেই বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমার বন্ধু রাহুল বেশ কাজের একজন মানুষ। আমরা যখন থেকেই নৌকা তে ভ্রমণ শুরু করেছি বন্ধু রাহুল তখন থেকেই নৌকার বিভিন্ন বিষয়গুলো দেখভাল করছে। কখনো নৌকার ইঞ্জিনের পানি কমে গেলে পানি দিচ্ছে আবার নৌকাতে জল উঠে গেলে সেটা ছেচে ফেলে দিচ্ছে। আমরা মাঝেমধ্যে পদ্মা নদীতে নৌকা নিয়ে ভ্রমণ করি তাই নৌকা চালানোর বিষয়ে খুঁটিনাটি মোটামুটি জানা আছে। টাঙ্গুয়ার হাওরের আমাদের এই ভ্রমণটা ছিল সত্যি পুরাই অ্যাডভেঞ্চার।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমি টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমন করতে এসে সব থেকে বেশি অবাক হয়েছিলাম টাঙ্গুয়ার হাওরের একদম মাঝে এসে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই বেশি যে আপনাকে মুগ্ধ করবেই করবে। আমার কাছে মনে হল এখানকার প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য বিকালের দিকে সবথেকে ভালো দেখা যায়। যদিও আমরা প্রথমের দিকে প্লান করেছিলাম যে সকালে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করব কিন্তু আমরা পরবর্তীতে প্লান চেঞ্জ করে বিকালের দিকে টাঙ্গুয়ার হারু ভ্রমণ শুরু করি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
টাঙ্গুয়ার হাওরের এসব রেইন ফরেস্ট গুলো দিব্যি বেঁচে আছে জলের ভেতরে। টাঙ্গুয়ার হাওরের সবুজ জলের সাথে সবুজ গাছের পাতাগুলো দেখতে সত্যিই দারুন লাগছিল। টাঙ্গুয়ার হাওরের এই জায়গাটি থেকে আশেপাশের কোন কূল কিনারা দেখা যায় না শুধু চারপাশে জল আর জল। আমাদের এদিকে নদীতে ও কূলকিনারা দেখা যায় কিন্তু টাঙ্গুয়ার হাওরের মাঝে এসে কূলকিনারা খুঁজে পাটা সত্যিই কঠিন ব্যাপার।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
টাঙ্গুয়ার হাওরের মাঝেই যেহেতু ওয়াচ টাওয়ার তাই এখানে এসে মানুষজন রাত্রি যাপন করে এবং আশেপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করে। অবশ্য এখানে আমাদের মত ছোট নৌকাতে করে রাত্রি যাপন করা সম্ভব হয় না কিন্তু অনেক বড় বড় নৌকা আছে যেগুলোতে করে মানুষ এসে এখানে রাত্রি যাপন করে এবং দিনের বেলায় ছোট নৌকা ভাড়া করে আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
যদিও সিলেট ট্যুর শুরু করার আগে আমারও ইচ্ছা ছিল যে, ওয়াচ টাওয়ারে এসে রাত্রি যাপন করব তারপর দিনের বেলাতে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করব। কিন্তু আমাদের বাইক ট্যুর হওয়ার কারণে এবং আমাদের দলের মেম্বার সংখ্যা কম থাকাতে এখানে রাত্রি যাপন করাটা অনেক বেশি ব্যয়বহুল। কারণ বড় বড় নৌকাগুলোতে থাকতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। তবে আমার ইচ্ছা আছে পরবর্তীতে আবার যদি কখনো টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করি তাহলে এখানে এসে রাত্রি যাপন করে দিনের বেলাতে নৌকা নিয়ে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করব। আমরা ওয়াচ টাওয়ারের দিকে যতই অগ্রসর হচ্ছিলাম ততই মনের ভেতরে আলাদা একটি ভালোলাগার অনুভূতি কাজ করছিল।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমরা টাঙ্গুয়ার হাওরে টেকের ঘাট থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা নৌকা ভ্রমণ শেষে ওয়াচ টাওয়ারে পৌঁছালাম। আমরা ভেবেছিলাম যে ওয়াচ টাওয়ারের উপরে উঠে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করব। কিন্তু ওয়াচ টাওয়ার বন্ধ থাকাতে আমরা ওয়াচ টাওয়ারে উঠতে পারিনি। তবে ওয়াচ টাওয়ারের পাশে নৌকা রেখে আমরা স্নান করার জন্য প্রস্তুতি আরম্ভ করি।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরাঘুরি মুহূর্ত আপনি আজ শেয়ার করেছেন। টাঙ্গুয়ার হাওরে ওয়াচ টাওয়ারে নিয়ে না গেলে যেন ঘোরাঘুরির পূর্ণতা পায় না। ওয়াচ টাওয়ারে উঠলে খবরটা ভালোভাবে দেখা যায়। বন্ধু তোমার ভ্রমণের গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। পরের পর্ব গুলোর আশায় থাকলাম।
হ্যাঁ বন্ধু টাঙ্গুয়ার হাওরে ওয়াচ টাওয়ারে না গেলে সেখানে ভ্রমণের পূর্ণতা পায় না। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
অপরূপ সৌন্দর্য লীলাভূমি হল টাঙ্গুয়ার হাওর। এই হাওরের ভ্রমণ অভিজ্ঞতাটা অনেক বেশি ভালো ছিল। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে আমরা হারিয়ে গিয়েছিলাম। তবে কাহিনী ওটা না আমার ছবিটা দিয়ে দিলা এভাবে ভাইরাল করে। সব মিলিয়ে দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছো সেই দিনের ভ্রমণটা।
সত্যি বলেছো বন্ধু টাঙ্গুয়ার হাওরের ভ্রমণের অভিজ্ঞতাটা সত্যি দারুন ছিল। প্রকৃতির মাঝে এরকম ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এরকম ভ্রমণ জাতীয় পোস্টগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। কারণ দেশের বিভিন্ন স্থান দেখতে পাওয়া যায় যে জায়গায় যাওয়া হয়নি সেগুলো চিনতে পারা যায়। খুব সুন্দর বর্ণনার সাথে আপনি টাঙ্গুয়ার হাওড়ের বর্ণনা করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট।
এরকম ভ্রমণ জাতীয় পোস্ট আপনার কাছে ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম ভাই। আমার নিজের কাছেও ভ্রমন পোস্টগুলো ভীষণ ভালো লাগে কারণ নতুন নতুন জায়গা সম্বন্ধে জানতে পারা যায়। আবার ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ওয়াচ টাওয়ারে পৌঁছে গিয়েছেন শুনে খুবই ভালো লাগছে৷ আপনি প্রতিনিয়ত ভ্রমণের সুন্দর সুন্দর কিছু পর্ব শেয়ার করে আসছেন৷ অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা সম্পর্কে অনেক কিছুই আমাদেরকে দেখিয়েছেন এবং খুব সুন্দরভাবে সবকিছু এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ যা দেখে খুবই ভালো লাগছে। একইসাথে এরকম সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখার মাধ্যমে আপনার ভ্রমণের স্থান সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম৷
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো আছি আমি। আর আমি চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত সেসব ভ্রমণ পোস্টগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার। টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণে বেশ মজা হয়েছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
দেখেই বুঝতে পারছি আপনারা অনেক মজা করেছেন৷
রাহুল ভাই তো আসলেই বেশ কাজের ছেলে। কখনোই চুপ থাকে না। নৌকাতেও সে মাঝিকে সাহায্য করছিল হা হা। টাঙ্গুয়ার হাওর এই জায়গাটা বাংলাদেশের ভ্রমণপিপাসুদের জন্য উপযুক্ত একটা স্থান। কী সুন্দর জলরাশি এবং চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। এলাকার মানুষদের জীবন ধারণ বেশ কঠিন। এটা একটা দিক। শেষ পযর্ন্ত অনেক টা যাএার পরে ওয়াচ টাওয়ারে তাহলে পৌছেই গেলেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই রাহুল বেশ কাজের ছেলে। রাহুলের সাথে কোথাও ঘুরে বেড়ানোর মজাটা সত্যিই অনন্য। টাঙ্গুয়ার হাওরের ভেতরের যারা বসবাস করে তাদের জীবন অনেক কষ্টের। ওয়াচ টাওয়ারে পৌঁছানোর পর বেশ ভালো লাগছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।