ভ্রমণ:- "হৃদয়ের শান্তি সবুজ প্রকৃতি" (সিলেট)
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৯ শে আগস্ট, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা সবুজ প্রকৃতিতে ভরা ফসলের মাঠের ভেতরের মাটির রাস্তা দিয়ে মেঘালয় পাহাড়ে আরো কাছে যেতে থাকলাম। এ রাস্তাটা এত সুন্দর যে যদি কেউ এ রাস্তা দিয়ে যায় সে অবশ্যই মুগ্ধ হয়ে যাবে। এই রাস্তার একপাশে ছোট ক্যানাল তারপর সবুজ ধানের মাঠ আরেক পাশে সম্পূর্ণ ধানের মাঠ আর রাস্তার অগ্রভাগের শেষ মুহূর্তে ভারতের মেঘালয় পাহাড়। এ রাস্তা দিয়ে যখন আমরা যাচ্ছিলাম তখন বাইকের গতি খুব কম রেখে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলাম।
এমন সুন্দর রাস্তা দিয়ে বাইক বাদে হেঁটে যাওয়ার আলাদা মজা রয়েছে। যদি আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সময় থাকতো তাহলে আমরা এই রাস্তায় বাইকটা নিয়ে আরো ভালো করে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতাম। এই রাস্তার পাশের ক্যানালে দেখলাম অনেকগুলো হাঁস জলের উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ক্যানালের উপর রয়েছে সবুজ ধানের মাঠ তারপর রয়েছে সবুজে ঘেরা গ্রাম।
আমরা সবুজে আবৃত ফসলের জমির মাঝের মেঠো পথ দিয়ে বাইক নিয়ে সামনের দিকে যেতে যেতে মেঘালয় পাহাড়ের খুব কাছে পৌঁছে গেলাম। আমরা বাইকে থাকা অবস্থায় অবশ্যই অবশ্যই দূর থেকে মেঘালয় পাহাড়কে অনেক উপভোগ করছিলাম যতাহারে কাছে আসছিলাম ততই মনের ভিতরে আলাদা প্রশান্তি কাজ করছিলো। মেঘালয় পাহাড় কেটে ভারত সরকার যাতায়াতের জন্য আলাদা একটি নতুন রাস্তা করেছে যেটা বেশ সুন্দর লাগছিলো।
আর মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে বাংলাদেশের সীমান্তে বাংলাদেশ সরকারের করা অনেকগুলো বাড়ি দেখতে পেলাম। এসব বাড়িগুলো অবশ্য বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের দারিদ্র্য জনগণের থাকার জন্য নির্মাণ করেছে। এখানকার এই বাড়িগুলো দেখছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম যে, যদি এই বাড়িতে থেকে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারতাম তাহলে কতই না সুন্দর হতো।
আমরা মেঘালয় পাহাড়ের খুব কাছের রাস্তা দিয়ে বিছানাকান্দির উদ্দেশ্যে যেতে থাকলাম। মেঘালয় পাহাড়ের খুব কাছের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার ভিতরে যে, কতটা মজা আছে সেটা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। যদি কেউ কখনো আমাদের মতো এভাবে এই রাস্তা দিয়ে যেয়ে থাকেন তাহলে সে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
আমরা মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে বাংলাদেশের একটি গ্রাম দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই আমাদের চলার পথে একটি ক্যানাল দেখতে পেলাম। এখন সমস্যা হচ্ছে এই ক্যানালটি আমাদেরকে বাইক নিয়ে পার হতে হবে। এই ক্যানাল দেখে মনে হলো জল বেশি নেই মোটামুটি সর্বোচ্চ হাঁটু জল হবে। যাই হোক আমরা অনেক কষ্টে এই ক্যানালটি পার হয়েছিলাম তবে আমাদের ব্যাগসহ প্যান্ট ভিজে গিয়েছিল।
তারপর কিছু পথ অতিক্রম করার পরে আবার একাই বাতাসে শুকিয়ে গিয়েছিল। আমরা চলার পথে গ্রামের ভিতরে একটি দোকানে থেমেছিলাম হালকা কিছু নাস্তা করার জন্য। কারণ সকালে আমরা কিছু না খেয়েই বের হয়েছিলাম। এই দোকানটি খুব একটা বড় দোকান ছিল না। তাই আমরা বিস্কুট আর কেক দিয়েই সকালের নাস্তা করে নিলাম। এখানকার সবুজ প্রকৃতি দেখে হৃদয়ে খুব শান্তি অনুভূত হচ্ছিলো। তারপর সবুজ প্রকৃতির ভেতর দিয়ে বিছানাকান্দির উদ্দেশ্যে যেতে থাকলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে বিছনাকান্দি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: বিছনাকান্দি, সিলেট
তারিখ: ৩ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
ভাই আপনি আজকে আবারো আমাদের মাঝে সিলেট ভ্রমণের একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে ভাই সিলেট দেখার মত একটি জায়গা। তবে আপনার পোস্টগুলো দেখে আমার কাছে মনে হয় আমার থেকে আপনি বেশি মজা করেছেন কেননা আপনারা বাইকে জার্নি করেছেন। ঠিক বলেছেন ভাই আসলে সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্যের সঙ্গে সময় কাটালে প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে প্রশান্তি চলে আসে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ভাই সিলেট দেখার মত একটি জায়গা। আমার চোখের সামনে এখনো সিলেট ভ্রমণের স্মৃতিগুলো ভাসে খুব ভালো লাগে তখন। সবুজ প্রকৃতি সবসময় হৃদয়কে প্রশান্তি দেয়। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা ও প্রয়োজন। ভ্রমণ করা আমার একটি শখ, আর সেটা যদি হয় সবুজ প্রকৃতির মাঝে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই । আপনি খুব সুন্দর ভাবে সিলেটের এই প্রকৃতিকে উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে, আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে মেঘালয় পাহাড়ের সৌন্দর্য। এক কথায় অসাধারণ, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি প্রকৃতির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মেঘালয় পাহাড়কে খুব কাছ থেকে দেখেছি সত্যিই এর সৌন্দর্য অপরূপ। সবুজ প্রকৃতি আমাদের হৃদয়কে সবসময় প্রশান্তি দেয়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এরকম সবুজ প্রকৃতির মধ্যে আসলেই হৃদয়ে শান্তি বয়ে আনে।আমার বেশ ভালো লাগে এরকম সবুজ প্রকৃতি।বাইক জার্নি করে সিলেট গিয়ে বন্ধুদের সাথে দারুন সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছেও সবুজ প্রকৃতি অনেক ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম আপু। সিলেটে ভ্রমণ করে সত্যিই আমরা অনেক হ্যাপি ছিলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনারা সিলেটে গিয়ে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। ফসলের মাঠের মাঝখানে রাস্তা গুলো সত্যিই খুব সুন্দর। দূরে মেঘালয় পাহাড়টাও দেখা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে মনমুগ্ধকর একটা পরিবেশ। আপনারা খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ফসলের মাঠের মাঝখানে রাস্তাটা অনেক সুন্দর ছিলো। এরকম সুন্দর রাস্তা দিয়ে মনে হয় যে, সারা জীবন চলতে থাকি। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সিলেট হলো সুন্দর্যের স্বর্গভূমি। সিলেটে ঘুরলে প্রকৃতির সুন্দর দেখে সবাই মুগ্ধ হয়। আজকে শেয়ার করা আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি জাষ্ট অসাধারন হয়েছে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফিতে প্রকৃতিকে ফুটন্ত গোলাপের মত লাগছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই সিলেট সৌন্দর্যের স্বর্গভূমি। যদি কখনো সময় হয় অবশ্যই সিলেটে ভ্রমণ করবেন আশা করি অনেক ভালো লাগবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
সুন্দর কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। আর হৃদয়ের মাঝে অদ্ভুত এক ভালো লাগা তৈরি হয়। সত্যি ভাইয়া এত সুন্দর জায়গায় ঘুরতে যেতে অনেক ভালো লাগে। দারুণ হয়েছে আপনার এই ভ্রমণ পোস্ট।
হ্যাঁ আপু সুন্দর কোন জায়গা ঘুরতে গেলে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।