রেসিপি: "খুব সহজে মজাদার নুডলস তৈরি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৪শে জানুয়ারি, বুধবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি সংক্রান্ত। কয়েকদিন আগে ঢাকাতে আসার পরে এই নুডুলস রেসিপি তৈরি করেছিলাম সেটা এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমি মনে করি ব্যাচেলরদের রান্না শেখাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে অনেক ছোটবেলা থেকেই রান্না করতে পারি এবং নিজে রান্না করে খেতে খুবই পছন্দ করি। নিজে নিজে রান্না করে খাওয়াটা আলাদা একটা মজা আছে আর সেটা আমি উপভোগ করি সবসময়। আমি সুন্দরভাবে আপনাদেরকে আমার রেসিপি পোস্টটি ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে রন্ধন পদ্ধতি বর্ণনা করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | নুডুলস | দুই প্যাকেট |
২ | ডিম | দুইটি |
৩ | পেঁয়াজ | চারটি |
৪ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
৫ | তেল | পরিমাণ মতো |
৬ | মরিচ | পাঁচটি |
৭ | হলুদ | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
পেঁয়াজ, মরিচ পরিমাণ মতো কেটে নিতে হবে এবং পরিষ্কার জল নিয়ে দিয়ে নিতে হবে।
রন্ধন প্রণালী
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। পরিবার মতো জল গরম করে লুডলস সিদ্ধ করে নেবো।
দ্বিতীয় ধাপে নুডুলস সিদ্ধ হওয়ার পরে কড়াই থেকে নামিয়ে ঝুরিতে করে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নেবো।
তৃতীয় ধাপে তৃতীয় ধাপে কড়াই আবার চুলায় বসিয়ে দিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে নেবো।
চতুর্থ ধাপে আগে থেকে কুটে রাখা পেঁয়াজ মরিচ দেবো।
পঞ্চম ধাপে সুন্দর মতো পেঁয়াজ ভাজি করে নিবো।
ষষ্ঠ ধাপে আলু আর পেঁয়াজ ভাজি হয়ে গেলে দুইটা ডিম ভেঙে কড়াইতে দেবো।
সপ্তম ধাপে পেঁয়াজ মরিচ আর ডিম সুন্দর মতো একসাথে মিক্সার করবো।
অষ্টম ধাপে আগে থেকে সিদ্ধ করে রাখা লুডুলস করাইতে দিয়ে নেবো। তারপর প্যাকেটের ভেতর থাকা নুডুলস এর মসলা দিয়ে নেবো। আর এভাবে কিছু সময় নাড়াচাড়া করতে থাকবো।
নবম ধাপে আমার নুডলস রেছিপি খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলবো।
আমার রেসিপি খাবারের উপযুক্ত করে পরিবেশনের জন্য পাত্রে রাখা হয়েছে।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার রেছিপি ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
গরম গরম নুডুলস খেতে কার না ভালো লাগে। আমি তো প্রায় মাঝেমধ্যে নুডুলস খেয়ে থাকি, বিশেষ করে আপনার ভাবি রান্না করে দেয় আমাকে খুব সুন্দর করে। আর ডিম ছাড়া যেন নুডুলস জমে না।
হ্যাঁ ভাই গরম গরম নুডুলস খেতে আসলে সবারই ভালো লাগে। আপনিও প্রায়ই নুডুলস খেয়ে থাকেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। ভাবীর হাতের রান্না খেতে সুন্দর তো লাগবেই ভাই।
আপনি খুব সহজ উপায়ে মজাদার নুডলস এর রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার নুডলস এর রেসিপি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।আপনি ছেলে মানুষ হয়েও মেয়েদের থেকে অনেক সুন্দর নুডলস এর রেসিপি তৈরি করেছেন।আর আমার নুডলস অনেক বেশি পছন্দের একটি খাবার।
আপনার কাছেও নুডুলস খাবারটি অনেক প্রিয় জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে চেষ্টা করি রান্নাবান্নার। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
নুডলস রেসিপি গুলো দেখলে যেন কোনভাবেই লোভ সামলাতে পারে না। অনেকদিন হয়ে গিয়েছে নুডুলস খাওয়া হয় না তাই আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা দেখে আমার খেতে ইচ্ছা করছে। বিভিন্ন ধরনের সবজি ব্যবহার করলে এটা খেতে আরো বেশি ভালো লাগে।
আসলেই আপু নুডুলস রেসিপিটি দেখলে কোন ভাবেই লোভ সামলানো যায় না। হঠাৎ করে একদিন তৈরি করে খাবেন দেখবেন অনেক ভালো লাগবে আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এটি ঠিক বেচালার জীবনের রান্না করা শিখা দরকার। আপনি দেখতেছি খুব সহজে নুডলস্ এর চমৎকার রেসিপি করেছেন। তবে নুডলস খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে এই রেসিপিটি খুব তাড়াতাড়ি করা যায় এবং খুব সুস্বাদুভাবে খাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে নুডুলস তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি চেষ্টা করেছি সুন্দর করে নুডুলস তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে এই রেসিপিটি। সুন্দর মতামত প্রকাশের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমি কিন্তু আপনার মত রান্না করতে জানিনা ভাই। তবে আপনি রান্না করতে পারেন এটা শুনে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। খুব সহজে মজাদার নুডুলসের রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি, যেটা দেখেই অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। সকাল এবং সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে এটা একেবারে পারফেক্ট। নিশ্চয়ই অনেক বেশি মজা করে খেয়েছিলেন নুডুলসের এই মজাদার রেসিপি টা। ধন্যবাদ ভাই রেসিপিটা তৈরি করে সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি পারেন না তাতে কি ভাই ভাবি তো অবশ্যই পারে। তাহলে মজা করে ভাবীর হাতের রান্না খাবেন সব সময়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
নুডুলস্ খেতে সত্যি মজাদার হয়।নুডুলস্ আমরা সবাই কম বেশি ভালোবাসি।বিকেলের নাস্তার টেবিলে অথিতি আপ্যায়নে নুডুলসের চাহিদা অনেক।ধাপে ধাপে নুডুলস্ তৈরি পদ্ধতি গুলো সুন্দর করে তুলে ধরেছেন ও বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ দিদি বর্তমানে বিকালের নাস্তাতে অতিথি আপ্যায়নের নুডুলসের চাহিদা অনেক। আমার কাছেও নুডুলস খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। সুন্দর মতামত প্রকাশের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
এটা ঠিক বলেছেন ব্যাচেলরদের রান্না শিক্ষা খুবই জরুরী। বিকেলের নাস্তায় বা টিফিনে নুডুলস আমার বেশ পছন্দের। নুডুলস খেতে আমার কাছে ভালই লাগে। আপনি খুব সহজেই অল্প উপকরণ দিয়ে সুন্দরভাবে নুডুলস রান্না রেসিপি শেয়ার করেছেন। মজাদার রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু অল্প উপকরণ দিয়ে খুব সহজে নুডুলস তৈরির চেষ্টা করেছি। আপনিও নুডুলস খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।
আপনার কাছে নিজে রান্না করে খেতে খুব ভালো লাগে আর আমার কাছে নিজে রান্না করে খেতে একদমই ভালো লাগেনা বরং খুব বিরক্ত লাগে। কেউ রান্না করে দিলে খুব খেতে ইচ্ছে করে। যাই হোক আপনি ঢাকায় এসে এই রেসিপি তৈরি করেছিলেন আর সেটাই এখন শেয়ার করছেন দেখে ভালো লাগলো। আমিও আজ সকালে এভাবে নুডুলস রেসিপি তৈরি করেছি। আমার ছেলে নুডুলস খেতে খুব পছন্দ করে। তার জন্য প্রায় প্রতিদিনই নুডুলস রেসিপি তৈরি করতে হয়। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমার কাছে নিজে রান্না করে খেতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ নিজে রান্না করলে নিজের মন মত রেসিপি তৈরি করা সম্ভব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
দারুন রেসিপি শেয়ার করলেন আপনি। সত্যিই নুডুলস তৈরি করতে খুব সহজ। আমার কাছেও তাই মনে হয় ভাইয়া। ডিম দিয়ে বেশ মজার করে নুডুলস তৈরি করলেন। স্টিক নুডুলস গুলো আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করলে ভালো লাগলো।
আপনিও নুডুলস খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু। হ্যাঁ আপু ডিম দিয়ে নুডুলস রান্না করা বেশ সহজ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।