"গ্রামীণ পিকনিক"

in আমার বাংলা ব্লগ20 days ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২৯ শে জুন, শনিবার,২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000086656.jpg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, আমার বাড়ি গ্রামে। আর আমি ছোটবেলা থেকেই গ্রামে বড় হয়েছি। গ্রামীণ মানুষদের সাথে মিশতে আমি সবথেকে বেশি পছন্দ করি। ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়ে বন্ধু-বান্ধব আর বড় ভাই ব্রাদার সাথে নিয়ে পিকনিক করেছিলাম। গ্রামে গিয়ে এরকম পিকনিক করতে সত্যি আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের পিকনিকের সুন্দর মুহূর্ত এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।



20240511_220433.jpg

আমি ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে গেলে সবার সাথে সুন্দর সময় মুহূর্ত কাটানোর চেষ্টা করি। এবারে আমরা যেদিন পিকনিক করেছিলাম সেদিন আমি আর আমাদের শ্যামল দাদা কুষ্টিয়াতে ছিলাম। আমরা দুজনেই কুষ্টিয়া থেকে প্ল্যানিং করেছিলাম যে, সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে গিয়ে রাতে সবাই মিলে পিকনিক করবো। আর সেজন্যই কুষ্টিয়া থেকে সবাইকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, আজকে রাতে পিকনিক হবে। যদিও সেদিন আগেই বলেছিলাম না যে, কি দিয়ে পিকনিক করবো। সেদিন অবশ্য পিকনিক করার জন্য জন প্রতি টাকাও ধরেছিলাম না, যে যা দিয়েছিলো সেটা নিয়েই এক ছোট ভাইকে বাজারে আসতে বলেছিলাম।

20240511_233159.jpg

তারপর আমি আর শ্যামলদা এসে আমরা দুজন নিজেরা কিছু কন্ট্রিবিউট করে বাজার থেকে সবকিছু কিনে নিয়ে গেলাম। কুষ্টিয়া থেকে আসতে আসতে একটু লেট হওয়াতে পিকনিক শুরু করতে বেশ ভালই রাত হয়ে গিয়েছিলো। অবশ্য পরের দিন শুক্রবার থাকাতে রাত হলেও কারো প্রবলেম হওয়ার কথা ছিল না। আর আমরা যে, কজন পিকনিক করি তারা এমনিতেও প্রতিদিন কেরাম খেলে অনেক রাগ পর্যন্ত জেগে থাকি। আমরা বাজার থেকে সবকিছু কিনে নিয়ে আমাদের মাচার উপর প্রথমে পিকনিকের জন্য যা যা লাগবে সব কিছু প্রসেসিং করি।

20240511_230704.jpg

তারপর সেখান থেকে সবকিছু নিয়ে পুকুরের চালায় চলে আসি। মূলত এই জায়গাটিতেই আমরা সব থেকে বেশি পিকনিক করে থাকি। পুকুরের চালার পরিবেশটা অনেক ঠান্ডা এবং সুন্দর। আর পুকুরের চালায় একটা সুপারি গাছের মাচা থাকাতে এখানে বসে বেশ ভালই গল্পগুজব করা যায় পিকনিকের সময়টাতে। আমরা পুকুরের তলায় এসে প্রথমে মাটি খুঁড়ে চুলা বানিয়ে নিলাম। তারপর চাল আর মেহগনি গাছ থেকে শুকনা খড়ি যোগাড় করলাম রান্না করার জন্য।

20240511_222016.jpg

পিকনিকের রান্না গুলোতে প্রায় দিনই আমি নিজেই রান্না করি তবে এই দিন রান্না করার জন্য আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ছিল ছোট ভাই রাজু। পিকনিকের রান্না গুলো করার মেইন দায়িত্বে থাকতে থাকতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। আর সবাই যখন রান্না খেয়ে সুনাম করে তখন মনের ভিতর খুব খুশি লাগে। আমার কাছে যেটা মনে হয় যারা রান্না করে তাদের ক্ষেত্রেই এইটা হয়। প্রথমে আমরা মুরগির মাংসের রেসিপি করে নিয়েছিলাম।

20240512_001207.jpg

তারপর শুরু করলাম খিচুড়ি রেসিপি রান্না করা। যদিও গ্রামে সাদা ভাতের রেসিপি সব থেকে বেশি করে থাকি কিন্তু আমাদের পিকনিক করার ২-৩ দিন আগে বৃষ্টি হতে পরিবেশটা বেশ ঠান্ডা ছিল তাই সবাই মিলে খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আর এমনিতেও আমি খিচুড়ি ভীষণ পছন্দ করি বিশেষ করে ঠান্ডা পড়লে খিচুড়ি খেতে দারুন লাগে। সবাই মিলে চুলার পাশে বসে গল্প করতে করতে খিচুড়ি রান্না করি। তারপর রান্না শেষে আমি আর শ্যামলদা যাই কলার পাতা কেটে আনতে।

20240512_001148-01.jpeg

আসলে গ্রামীন পিকনিক গুলোতে প্লেটে খাওয়ার থেকে কলার পাতায় খাওয়ায় সবচেয়ে বেশি মজা লাগে আমার কাছে। আমি কলার পাতায় যখনি খাই তখনই পুরনো দিনের স্মৃতি ভেসে ওঠে হৃদয়ে। একটা সময় ছিল যখন গ্রামীণ যে, কোন অনুষ্ঠানে প্লেট ব্যবহার করা হতো না, তখন কলার পাতাতে খেতে দেওয়া হতো কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এখন আর কলার পাতায় খাইতে দেওয়া হয় না।

20240512_001009.jpg

কলার পাতা কেটে এনে সুন্দরভাবে কেটে ধুয়ে আলাদা আলাদা করে দিলাম। তারপর খিচুড়ি, মাংস এবং সালাদ কলার পাতায় সুন্দরভাবে সবার মাঝে ডিস্ট্রিবিউশন করলাম। তারপর শুরু হলো আমাদের পিকনিকের সেই কাঙ্ক্ষিত পর্ব খাওয়া-দাওয়া। যদিও এসব গ্রামীন পিকনিকে খাওয়া-দাওয়া থেকে বেশি মজা হয় রান্না করার সময়টাতে। তবে আমরা সবাই গ্রামীন পিকনিকের প্রতিটি সময় সুন্দরভাবে উপভোগ করি। এক কথায় পিকনিকের বাজার করা থেকে খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত।

সেদিনে পিকনিকের খিচুড়ি এবং মাংস রান্নাটা বেশ দারুন হয়েছিল সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছিল এটা সবথেকে বেশি ভালো লেগেছিলো। আমরা সবাই মিলে এই পিকনিকটা দারুন উপভোগ করেছিলাম।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ১২ ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 19 days ago 

এই বছর যখন বাড়ি ছিলাম প্রতি মাসের শুরুতেই আমরা এলাকার কয়েকজন বন্ধু এবং বড় ভাই মিলে পিকনিক করতাম। আমাদের প্রধান আইটেম ছিল খিচুড়ি এবং মুরগির মাংস। এলাকায় সবার সাথে পিকনিক করার মজাটাই কিন্তু আলাদা একেবারে। দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা। আবার একটা বিষয় ভালো লাগল হঠাৎ করে আপনাদের পিকনিক এর সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং কোন চাঁদা ছাড়াই পিকনিক।

 17 days ago 

গ্রামের পিকনিক গুলোতে মেইন খাবারই হলো খিচুড়ি আর মুরগির মাংস। আমরা পিকনিক গুলো হঠাৎ করেই করে থাকি যখন ইচ্ছা হয় তখনই। সবাই মিলে অনেক মজা করেছিলাম এই পিকনিকে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 20 days ago 

কলাপাতা তে খাওয়া দাওয়া করেছেন। বন্ধুরা মিলে খুব সুন্দর পিকনিকের আয়োজন করেছেন রাতের বেলা। খাবারের আয়োজন তো খুবই ভালো ছিল। গ্রামীন পরিবেশে এরকম পিকনিক করার মজাই আলাদা। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা সবাই।

 18 days ago 

হ্যাঁ আপু গ্রামীণ পরিবেশে এরকম পিকনিক করার মজাই আলাদা। যখনই গ্রামে যায় সবার সাথে মাঝেমধ্যে এমনই পিকনিক করে থাকি। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

 20 days ago 

প্রতিদিন কেরাম খেলে অনেক রাগ পর্যন্ত জেগে থাকি

ভাইয়া আপনার এই লাইনে হয়তোবা রাগের কাছে রাত হবে। একটু ঠিক করে নিবেন। আপনারা কুষ্টিয়া থেকে প্ল্যানিং করেছিলেন যে বাড়িতে গিয়ে পিকনিক করবো তবে কি দিয়ে পিকনিক করবো সেটা ঠিক করেননি। পরে বাড়িতে এসে সবাই মিলে কিছু টাকা তুলে পিকনিক করেছিলেন এতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। গ্রামে সব বন্ধুরা মিলে এভাবে পিকনিক করলে ভীষণ মজা লাগে। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।

 17 days ago 

গ্রামের এসব পিকনিকে অনেক মজা হয়।অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 20 days ago 

বাহ খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন আপনি। আপনি তো পিকনিক খেতেই থাকেন। আপনারা সবাই মিলে এত পিকনিকের আয়োজন করেন সত্যি মন চাই আপনাদের সাথে পিকনিক খেতে চলে যেতে হি হি হি। এত সুন্দর আয়োজন সবাই মিলে। তাছাড়া কলা পাতায় বসে খাবার মজাই আলাদা। আপনাদের পিকনিকের আয়োজন দেখেই আমার সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোট বেলায় সবাই মিলে অনেক পিকনিকের আয়োজন করতাম। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্তটি শেয়ার করার জন্য।

 17 days ago 

এটা সত্যি যে, গ্রামীণ এসব পিকনিকের মাঝে সবার ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আমারও অনেক স্মৃতি রয়েছে আর এই স্মৃতিগুলো জাগিয়ে তোলার জন্যই মাঝেমধ্যে এ ধরনের পিকনিক করে থাকি। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 20 days ago 

গ্রামীণ পিকনিক দেখে খুব ভালো লাগলো। সবাই মিলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে আগে বন্ধুরা সবাই মিলে এমন মুহূর্ত পার করতাম। পিকনিকের আনন্দ অন্যরকম হয়ে থাকে। সবাই মিলে বেশ আনন্দ সকালে খাওয়া দাওয়া করেছেন। গ্রামীণ পিকনিকের চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 17 days ago 

গ্রামে গিয়ে সবার সাথে মিলেমিশে এভাবে পিকনিক করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। আমরা সেদিনের পিকনিকে অনেক বেশি মজা করেছিলাম। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 20 days ago 

গ্ৰামের পিকনিক গুলোর মধ্যে একটু আলাদা রকম আনন্দ উপভোগ করা যায়। আপনি দেখছি ঢাকা থেকে গ্ৰামে এসে গ্ৰামের ছেলেদের সাথে হালকা পরিসরে পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন।আর আমার কলা পাতার উপর পরিবেশনের দিক টি আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে।সব মিলিয়ে আপনারা বেশ দারুন মজা করেছেন।

 18 days ago 

গ্রামে গিয়ে পিকনিকের মাধ্যমে সবাই মিলে কলাপাতায় একসাথে একার ভেতরে আলাদা আনন্দ লুকিয়ে থাকে। জীবন তো তখনই সার্থক মনে হয় যখন হৃদয়ে সুখ অনুভূত হয়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

 18 days ago 

গ্রামীন পিকনিক টি দেখে খুব ইচ্ছা করছে পিকনিক করতে। পিকনিক মানেই আনন্দ। পিকনিক করেনি এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। আয়োজনটাও বেশ ভালোই ছিল। আর কলা পাতায় খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা।
অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে ধন্যবাদ ভাই।

 17 days ago 

হ্যাঁ আপু এটা সত্যি বলেছেন পিকনিক মানেই আনন্দ। যাদের শৈশব গ্রামে কেটেছে তারা এ ধরনের পিকনিক জীবনে অনেক বার করেছে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 18 days ago 

এভাবে গ্রামে গিয়ে কলাপাতায় পিকনিক করার আনন্দই আলাদা। এর চেয়ে ভালো অনুভূতি কিছুতে হয় না। তার ওপর খিচুড়ি৷ আহা। এই পিকনিকে আমাদের সবাইকে ডাকলেও আমরা পৌঁছে যেতাম ভাই৷ হা হা হা। আপনার পোস্টও বেশ সুসজ্জিত। ছবিগুলো অন্ধকারে দারুণ লাগছে। এমন পিকনিকের অনুভবও একদম অন্যরকম।

 18 days ago 

হ্যাঁ দাদা গ্রামে গিয়ে কলাপাতায় পিকনিক করার ভেতরে আলাদা মজা লুকিয়ে থাকে আর এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না এটা সত্য। আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 18 days ago 

নিজের ছোটবেলা মনে পড়ে যাচ্ছে আপনার পোস্টটি দেখে। ছোটবেলা এরকম আমরাও চাঁদা তুলে প্রথমে যখন রান্না করতে জানতাম না তখন আলুসিদ্ধ ভাত ফিস্ট হত, তারপর আস্তে আস্তে ডিমের ঝোল ভাত হলো, তারপর মাংসের ঝোল ভাত হলো। তবে আমরা বেশিরভাগ পিকনিকে দুপুরবেলায় করতাম। শুকনো গাছের পাতা বা এর ওর বাগান থেকে গাছের শুকনো ডাল খুঁজে এনে লেগে পড়তাম। সত্যি গ্রামের কিছু কিছু জিনিস বড়ই মনোরম। এই ছোট ছোট পিকনিকের মধ্যেই আমরা একে অন্যের বন্ধু হয়ে থাকতাম। সমস্ত শিশু ঝগড়া ভুলে যেতাম।

আপনার পোস্ট টি ভীষণই মনকাড়া৷

 18 days ago 

বাহ্ দিদি আপনার মন্তব্যটি পড়ে আপনার শৈশব সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারলাম। গ্রামীণ জীবন আমার কাছে এই কারণেই অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 66794.56
ETH 3501.55
USDT 1.00
SBD 2.71