"গ্রামীন পিকনিক"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৮ ই এপ্রিল, বৃহস্পতিবার,২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, আমার বাড়ি গ্রামে। আর আমি ছোটবেলা থেকেই গ্রামে বড় হয়েছি। গ্রামীণ মানুষদের সাথে মিশতে আমি সবথেকে বেশি পছন্দ করি। কিছুদিন আগে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বন্ধু বড় ভাই আর ছোট ভাইদের নিয়ে পিকনিক করেছিলাম। গ্রামে গিয়ে এরকম পিকনিক করতে সত্যি আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের পিকনিকের সুন্দর মুহূর্ত এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমি যখনই ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে যাই তখনই গ্রামে গিয়ে ছোট ভাই বড় ভাই বন্ধুদেরকে নিয়ে পিকনিক করি। সবাই মিলে গ্রামে এরকম পিকনিক করতে ভীষণ ভালো লাগে। এবারে বাড়িতে গিয়ে অবশ্য তিনবার পিকনিক করেছি। তবে প্রথম দুই বার এ ছবি তোলার কথা মনে ছিল না বলে আপনাদের সাথে সেই মুহূর্তটা শেয়ার করতে পারিনি। ঈদের পরের দিন হঠাৎ করেই সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আমরা রাতে পিকনিক করবো। তারপর আমি মিঠু দাদা, আর শ্যামল দাদা মিলে চলে গেলাম পিকনিকের বাজার করতে।
অবশ্য আজকের এই পিকনিকের জন্য কারো কাছ থেকে টাকা তুলেছিলাম না। আমাদের আজকের পিকনিকে সদস্য সংখ্যা ছিলো ৭ জন। আজকের পিকনিকের জন্য শ্যামল দাদা দিয়েছিলো ১০০ টাকা, পলাশ কাকা দিয়েছিলো ১০০ টাকা ও মিঠু দাদা দিয়েছিলো ২৫০ টাকা আর ৪০০ টাকার মতো আমি দিয়েছিলাম। আমরা আমাদের বাজেটের ভেতরে খুব তাড়াতাড়ি পিকনিকের বাজার করে আমাদের পুকুরের পাড়ে মাচার কাছে চলে আসি। মূলত পুকুরের পাড়ের এই সুন্দর জায়গাটিতে আমরা পিকনিক করে থাকি মাঝেমধ্যে।
গরমের সময়ে এ জায়গাটি বেশ ঠান্ডা থাকে। চারপাশে গাছপালায় পরিপূর্ণ এখানকার পরিবেশ দেশ সুন্দর। বাজার করে আনার পরে সবার কাছে ফোন দিয়ে এই জায়গাটিতে একত্রিত হয় তারপর সবাই মিলে পিকনিকের মূল কার্যক্রম আরম্ভ করি। আমাদের আজকের পিকনিকের আইটেম ছিলো মাংস ভুনা, ডিম ভুনা, সাদা ভাত, সালাদ আর সবার শেষে কোমল পানীয়।
পিকনিকের স্পট থেকে আমাদের বাড়ি খুব কাছে হওয়াতে পিকনিক করতে যা যা প্রয়োজন সবকিছুই আমাদের বাড়ি থেকে এনেছিলাম। ঈদের পরের দিন রাতে স্পেশাল হ্যাংআউট থাকার কারণে আমি রাত ৯ টার আগেই খুব তাড়াতাড়ি পিকনিকে যাযা প্রয়োজন সবকিছু রেডি করে দিই। কারণ আমি আগেই ওদেরকে বলে দিয়েছিলাম যে, আমি আজকে রাত ৯ টার থেকে ১১ টা পর্যন্ত পিকনিকের কোন কাজ করতে পারবো না। অবশ্য এই দিন মিঠু দাদা থাকাতে আমার একটু সুবিধা হয়েছিলো। কারণ আমাদের পিকনিকে যত রান্নার কার্যক্রম আমি আর মিঠু দাদা করে থাকি।
স্পেশাল হ্যাংআউট শুরু হওয়ার পরে আমি বাড়িতে চলে আসি। আর এদিকে মিঠু দাদা পিকনিকের রান্নাবান্না করতে থাকে। স্পেশাল হ্যাংআউটে গান গাওয়া শেষ করে তারপর আমি আবার এসে পিকনিকে সবার সাথে যুক্ত হয়। একই দিনে এর একই সময়ে পিকনিক আর হ্যাংআউট হওয়াতে যদিও আমার একটু সমস্যার ভিতরে পড়তে হয়েছিলো। তবে আমি দুটো জায়গাতেই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে পেরেছিলাম। হ্যাং আউট শেষ করে এসে দেখি সব রান্না প্রায় শেষ।
তারপর আমি আর শ্যামল দাদা কলার গাছ থেকে কয়েকটি কলার পাতা সংগ্রহ করলাম। কারন আমরা সবাই মিলে একসাথে এক জায়গায় বসে খাবো। সত্যি বলতে এইটাই পিকনিকের আসল মজা। পিকনিকের বেশিরভাগ সময়টাতে আমরা অবশ্য কলা পাতায় খেয়ে থাকি তবে এবারে ওয়ান টাইম প্লেট কিনে এনেছিলাম। তবে কলার পাততে পিকনিকের খাওয়া খেয়েই সব থেকে বেশি মজা পাওয়া যায়।
এবার শুরু হবে পিকনিকের আসল পর্ব খাওয়া-দাওয়া। যদিও পিকনিকের খাওয়া দেওয়ার আগে রান্নাবান্না আর অন্যান্য পর্বগুলোতেই সব থেকে বেশি মজা হয় তারপরেও সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়া দাওয়াতে সব থেকে বেশি তৃপ্তি অনুভব হয়। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমাদের বাড়ির সামনের মাচার উপরে বসে সবাই মিলে বেশ গল্প গুজব করে আমাদের পিকনিকের পর্ব সমাপ্ত করলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১২ ই এপ্রিল ২০২৩ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
এজাতীয় গ্রাম্য পিকনিক গুলো আমার খুবই ভালো লাগে ভাইজান। আগে আমরা খুবই এই জাতীয় পিকনিক করেছি। কিন্তু সময় সাপেক্ষে এখন আর যেন হয়ে ওঠে না। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো আনন্দঘন এই পিকনিকের মুহূর্ত দেখে।
আপনিও একটা সময় গ্রামে এরকম পিকনিক করতেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। গ্রামীণ পিকনিক গুলাতে অনেক মজা হয় ভাই। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আপনার পিকনিক দেখেই পিকনিকের কথা মনে হয়ে গেল সিনিয়ার বড় ভাইদের সাথে অনেক পিকনিক করেছি। কিন্তু তারা জীবনের তাগিদে আজ সবাই প্রবাসী তাই আর আগের মত মজা নেই পিকনিকে। আপনাকে অনেকেই ১০০ আড়াইশো এবং আপনি ৪০০ টাকা দিয়েছেন। দেখে মনে হচ্ছিল অনেক আনন্দ করেছেন পিকনিকে ধন্যবাদ।
যারা গ্রামে থাকে তারাই একমাত্র বোঝে এ গ্রামীন পিকনিক গুলাতে কত বেশি মজা হয়। সবাই মিলে একসাথে পিকনিক করার মজাই আলাদা। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন গ্রামীন পিকনিক এর বিষয় নিয়ে পোস্ট। সত্যি গ্রামে বন্ধুদের সাথে রাতের আঁধারে পিকনিক করতে বেশ ভালো লাগে। আমিও মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে এমন আড্ডায় মেতে উঠি। তবে রাতের আঁধারে কলার পাতায় ভাত খাওয়া সত্যি বেশ মজার ব্যাপার। এত সুন্দর একটি অনুভূতিমূলক পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই ভাই গ্রামের রাতের আঁধারে পিকনিক করতে ভীষণ ভালো লাগে। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে গ্ৰামাঞ্চলের পিকনিক গুলো একটু অন্যরকম হয়ে থাকে। আপনি দীর্ঘ দিন পর ঢাকা থেকে বাসায় এসে আপনার এলাকার ছোট ও বড় ভাইদের নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন। আপনাদের পিকনিকের আয়োজন দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আসলে গ্ৰামের পিকনিকের মধ্যে খাওয়া দাওয়া কোন বিষয় নয়, আসল বিষয় হচ্ছে অনেক বেশি মজা হয়।
ঢাকা থেকে মাঝেমধ্যে গ্রামে গিয়ে সবার সাথে পিকনিক করতে অনেক ভালো লাগে। আপনার কাছে আমাদের পিকনিকের আয়োজনটা অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে পিকনিক মানে মজার ব্যাপার। আর গ্রামীন পিকনিক হলে তো কথায় নেই। এভাবে কয়েকজন মিলে নিজেরা রান্না করে কলা পাতায় খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনার পিকনিকে দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় যখন নানু বাড়িতে যেতাম। কাজিনরা সবাই মিলে টাকা তুলে পিকনিক করতাম। সময়গুলো বেশ ভালই কাটতো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলায় আপনিও নানু বাড়িতে গিয়ে কাজিনরা সবাই মিলে এরকম পিকনিক করতেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গ্রামে পিকনিক খাওয়ার মজাই আলাদা।গ্রামের পিকনিকে খুবই আনন্দ হয়।আপনার পিকনিক খাওয়া দেখে আমার পিকনিকের কথা মনে পড়ে গেল।আপনাদের পিকনিকের সুন্দর একটি আয়োজন দেখে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এটা সত্যি আপু গ্রামীণ পিকনিক গুলোতে সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়ার মজাই আলাদা। আমাদের পিকনিকের আয়োজনটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।