"প্রচন্ড গরমে কোথাও যেনো শান্তি নেই"

in আমার বাংলা ব্লগlast year


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২রা, জুন, শুক্রবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



thermometer-4767445_1280.jpg

Pixabay

আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ কয়েকদিন হলো প্রচন্ড পরিমাণে গরম পরছে। এই প্রচন্ড গরমে যেখানেই থাকি অস্বস্তি লাগে। কয়েকদিন আগে বাড়িতে গিয়েছিলাম সেখানেও প্রচন্ড গরম তার উপর বেশিরভাগ সময়ই লোডশেডিং থাকে। গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকলে মানুষ বাড়ির বাইরে খোলামেলা জায়গায় বসে প্রকৃতির বাতাস থেকে নিজেকে জুড়িয়ে নেয়।

কিন্তু ঢাকা শহরে গরমের ভেতরে প্রকৃতির বাতাস থেকে জড়িয়ে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই বললেই চলে। আজ দুই দিন হল বাড়ি থেকে ঢাকাতে এসেছি কিন্তু ঢাকাতে এসেও গরমের জন্য আর শান্তি খুঁজে পাচ্ছি না। ঢাকাতে এমনিতেই আমার থাকতে ইচ্ছা করে না তার উপর যদি এমন গরম পড়ে তাহলে তো মনে হয় যেনো নরক যন্ত্রণায় পুড়ে মরছি।

গত পরশুদিন বাড়ি থেকে ঢাকাতে আসার পরেই গরমটা যেন আরো বেশি অনুভব করছি। গরমের জন্য কালকে সারাদিন বাসার বাইরেই বের হয় নাই। তবে দিনের বেলা বের না হলেও রাতে আমাদের ক্লাস থাকার কারণে বের হয়েছিলাম। ইউনিভার্সিটি তে ইভিনিং শিফটে ভর্তি হওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবার তিন ক্লাস করতে হয়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়ছে তাতে ক্লাস দিনে হোক আর রাতে হোক কখনোই ধৈর্য ধরে করতে ইচ্ছা করে না।

গত কালকে ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে ধৈর্য সহকারে সবগুলো ক্লাস করেছিলাম। কিন্তু আজকে শুক্রবারে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ক্লাস চলে আমাদের। তবে মাঝে দুপুর একটা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত লাঞ্চের ব্রেক থাকে। আজকে গরমের ভিতরে ইউনিভার্সিটিতে এমনিতেই যেতে ইচ্ছা করছিল না, তার পরেও একটা ক্লাস টেস্টের কারণে গেলাম।

কিন্তু ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার পথে মনে হচ্ছিল যেনো আগুনের হাওয়া গায়ে এসে লাগছে। আমাদের ইউনিভার্সিটিতে যেতে পথ মাত্র ৬ কিলোমিটারের। কিন্তু প্রচন্ড জ্যাম থাকার কারণে ছয় কিলোমিটার পথ যেনো ৩০ কিলোমিটার পথের সমান হয়ে যায়।আজকে গিয়ে দেখি যে স্যারের সাবজেক্টে ক্লাস টেস্ট দিবো সেই স্যার নেই। কি আর করার উদ্দেশ্য ছিল ক্লাস টেস্ট পরীক্ষাটা দেওয়ার কিন্তু সেটা তো আর হলো না।

আর প্রচন্ড গরমে দুই ঘন্টা বসে থাকার পরে দুপুর ৩ টা থেকে আবার ক্লাস করতেও ইচ্ছা করছিল না। গরমের প্রকোপে শরীরের ভেতরে যদি শান্তি না থাকে তাহলে কি আর ক্লাস করতে ইচ্ছা করে নাকি ! এমনিতেই আমার ক্লাস করতে ইচ্ছা করছিল না গরমে, তার উপর আবার বন্ধু রাহুল বলতেছে যে তার নাকি খুব ঘুম পাচ্ছে । তাই ক্লাস করা বাদ দিয়ে আবার বাসায় চলে আসলাম।

ইউনিভার্সিটি থেকে দুপুরের দিকে বাসায় আসার পথে গরম আরো বেশি লাগছিলো। আমার বন্ধু রাহুল বলতেছিলো যে, রোডের উপর নাকি ডিম ভাজি করে খাওয়া যাবে আজকে। বাসায় এসেও শান্তি নেই ফ্যানের বাতাস আগুনের মতো গরম। তারপর ভাবলাম গুগলে সার্চ দিয়ে দেখি আজকের ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে বৃষ্টি হওয়া খুবই জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চারপাশের পরিবেশ ঠান্ডা হওয়া সম্ভব নয়। তাই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন আমাদের সবাইকে এই প্রচন্ড গরম থেকে মুক্তি দেয়।



পোস্টের বিবরন

পোস্টের ধরনজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসস্যামসাং জে-৭ প্রো
তারিখ২ জুন ২০২৩
লোকেশনমোহাম্মদপুর,ঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 last year 

সৃষ্টিকর্তার কাছে আমিও প্রার্থনা করি যাতে আমাদেরকে এই গরমের আজাব থেকে মুক্তি দেয়। আসলে ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমানে এত গরম পড়তেছে এর আগে এত গরম ছিল না। যদিও আবহাওয়া খবর বা বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারি যে আমরাই এর জন্যই দায়ী। যেভাবে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে, পাহাড় কেটে ফেলা হচ্ছে, নদী ভরাট করা হচ্ছে এজন্যই মূলত আবহাওয়ার এতটা পরিবর্তন। আসলে একটা জিনিস আমিও খেয়াল করেছি যেদিন যে বিষয়টির উপরে একটু অনিহা আসে সেদিন আর সে কাজটা হয় না কেন জানি অলৌকিকভাবে কাজটা পন্ড হয়ে যায়। আসলে কোথাও এই অসহ্য গরমের জন্য শান্তি নাই এত গরম তার চেয়ে ভালো শহরের চাইতে গ্রামেই শান্তি।

 last year 

এই গরমে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই আপু । সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

অসম্ভব গরম পরেছে ভাই।
বাসায় ফ্যানের বাতাস প্রচন্ড গরম আর সাথে লোডশেডিং গরমের অত্যাচার চরম মাত্রায় নিয়ে গেছে। এখন এক পসলা বৃষ্টি হয়তো পুরো পরিবেশটা ঠান্ডা করতে পারে।

 last year 

হ্যাঁ ভাই একটু বৃষ্টি হলে প্রানে শান্তি মিলতো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

এখন সব জায়গায় গরমটা অনেক বেশি পরিমাণে পড়েছে। আর গ্রাম থেকে ঢাকাতে আসলে তখন আরো বেশি গরম অনুভব করা যায়। ঘরের ভেতরে থাকলে যেমন তেমন আর বাইরে বের হলে যেন একেবারে অস্থির হয়ে যাওয়ার অবস্থা। কিন্তু বাইরে বের না হয়েও তো পারা যায় না। মনে হয় যেন সারাদিনই যেন এসির ভিতরে বসে থাকি।

 last year 

হ্যাঁ আপু কাজ থাকলে বাইরে তো বের হতেই হবে। বর্তমানে গরমের যা অবস্থা তাতে করে জনজীবন বিপর্যস্ত। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আসলে এই গরমের সময় প্রয়োজনীয় কারণ ছাড়া বাহিরে বের হওয়া ও অসম্ভব না এখন। গ্রামে কারেন্ট চলে গেলে তবুও বাইরে বের হয়ে থাকা যায়, কিন্তু শহরে এটার কোন ব্যবস্থা নেই। যার জন্য শহরের মানুষরা একটু বেশি কষ্ট করতেছে বুঝতে পারছি। সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত আপনাদের ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস রয়েছে, এই গরমের সময় ক্লাস করা একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না আপনার পক্ষে। আসলে আপনার বন্ধু এটা কিন্তু ঠিক বলেছে, বাহিরে যে গরম পড়ছে রাস্তায় ডিম ভাজা যাবে। লোডশেডিং এর কারনে কিছুই করতে পারতেছি না। কোন কাজ সম্পূর্ণ হচ্ছে না। এখন বৃষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি সবাই। পরিবেশটা যদি একটু ঠান্ডা হয় তখন অনেক বেশি ভালো লাগবে।

 last year 

রাহুল আসলে মজা করে বলেছিল কিন্তু আমার মনে হয় সত্যি ডিম ভাজি করা যাবে। আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

একটা সময় ভাবতাম শুধু বিদেশে প্রচন্ড গরম পড়ে। এখন দেখতেছি সেই গরম ক্রমান্বয়ে আমাদের দেশেও পড়ছে। এদিক থেকে লোডশেডিং এর এত বাজে অবস্থা মনে হয় আমাদের জীবন যাপনের কোন মূল্যই নেই উপরমহলে। যাইহোক ভালো ছিল ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

বর্তমানে যত বেশি গরম পড়ছে তত বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

একদম ঠিক কথা বলছেন ভাইয়া বর্তমানে গরমের যে খারাপ অবস্থা এমন অবস্থাতেই শহরের বন্দী জীবনে বেশ খারাপ অবস্থা হবে। গ্রামে থাকলে একটু খোলামেলা পরিবেশে বেশ ভালই লাগে গরমের দিনে। তবে শহরের জীবন যাপন অতিষ্ঠ করে দেবে এমনিতেই অনেক কোলাহলপূর্ণ একটি জায়গা। সেই সাথে যদি এমন গরম হয় তাহলে অস্থিরতা স্বাভাবিক। তাও আবার আপনি রাতে ক্লাস করেন বেশ বিরক্তিকর অবস্থা হবে।

 last year 

হ্যাঁ আপু গ্রামে তো তাও একটু খোলামেলা পরিবেশে বেড়ানো যায় কিন্তু শহরে তো আর সেটা সম্ভব নয়। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

এরকম গরমের কারণে তো বাহিরে ও বের হতে পারছি না। সত্যি জীবনটা একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে এই গরমের কারণে। সত্যি কোথাও যেন শান্তি নেই এই গরমের জন্য। আমি তো মনে করি শহরের থেকে গ্রাম অঞ্চল অনেক বেশি ভালো, কারেন্ট চলে গেলে বাহিরে বের হলে তবুও ভীষণ ভালো লাগে। আমি তো শুনেছি, আরো কয়েকদিন এরকমই গরম পড়বে এবং এর থেকে আরও বেশি বেড়ে যাবে গরমের তাপমাত্রা। আপনি সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ভার্সিটিতে ক্লাস করে একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বুঝতে পারছি, গরমের মধ্যে ক্লাস করাটাও যায় না।

 last year 

বর্তমানে যে গরম পড়ছে তাদের করে বাইরে বেরোনো অনেক কষ্টদায়ক হয়ে গেছে। সারাদিন ক্লাস করতেও অনেক কষ্ট হয়। ‌ সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

এই সময় যেইভাবে গরম পড়তেছে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তার ওপর ঠিক মতো কারেন্ট থাকে না। তবে ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রামে কারেন্ট না থাকলে মানুষ বাইরে বসে প্রাকৃতিক পরিবেশে বাতাস খাচ্ছে। তবে শহরে বসার কোন জায়গা নেই। শুনে খারাপ লাগলো ৬ কিলোমিটার রাস্তা যেটি আপনাদের কলেজে। অথচ জ্যামের কারণে ৩০ কিলোমিটারের মতন লাগতেছে। ঢাকাতে ৩৮ ডিগ্রী গরম তাহলে তো মনে হয় আপনারা গরমের কারণে পাগলের মতো হয়ে গেলেন। আমরা যারা গ্রামে আছি তারপরও আমরা বাইরে বসে একটু শীতল হতে পারতেছি। তারপর বলবো আল্লাহ তাআলা একটু বৃষ্টি দিলে মানুষের অনেক ভালো হবে।

 last year 

আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

গরমের কথা কি আর বলব গরমের কারণে রাতে আজকে অনেকদিন ঘুমোতেও পারি না এতটাই গরম পড়ছে। আর অনেক বেশি গরম লাগার কারণে কোন কাজই করতে ভালো লাগে না। খেতে তো আপনি কলেজে ক্লাস করছেন এটা তো খুবই বিরক্তিকর লাগবে স্বাভাবিক। আর বৃষ্টি তো আজকে দুইদিন ধরে যা করছে অন্ধকার হয়ে মেঘ করে আসছে বাতাস হচ্ছে খুশি হয়ে যায় বৃষ্টি হবে কিন্তু এর পরে আবার রোদ উঠে যায়। এরকমই হচ্ছে আজকে দুদিন আমাদের এই দিকে।

 last year 

সত্যি বলেছেন আপু গরমে আর ঘুম পাড়ার উপায় নাই। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.17
JST 0.031
BTC 89292.75
ETH 3408.90
USDT 1.00
SBD 3.00