"আমাদের বাড়িতে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৮ শে অক্টোবর, শনিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমার বাংলা ব্লগের সকলকে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার শুভেচ্ছা রইল। আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিদিন নতুন নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকে আমাদের বাড়িতে আমার মা কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার আয়োজন করেছিলো। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে কোজাগরী মাতা লক্ষ্মী ধন সম্পদের দেবী। আর তাই প্রতিটি হিন্দু বাড়িতেই কোজাগরী মাতা লক্ষ্মী পূজা করা হয়। তাই পূজার কিছু মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, আমার মায়ের হাত ভেঙে যাওয়ার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ রয়েছে। তাই আমার মাকে কোজাগরী মাতা লক্ষ্মী পূজায় সাহায্য করার জন্য আমার মায়ের পিসিমণি গতকালকে আমাদের বাড়িতে এসেছে। আমাদের বাড়িতে আমাদের ঘরে কোজাগরী মাতা লক্ষ্মীর মূর্তি রয়েছে। আজকে সারা দিনই পূজার বিভিন্ন উপকরণ গোছানোর ব্যস্ততা চলছে। আমার মায়ের পিসিমণি সুন্দর করে ঘরের বাহির হতে কোজাগরী মাতা লক্ষ্মীর মূর্তি পর্যন্ত বেশ সুন্দরভাবে আলপনা এঁকেছেন।
প্রতিবছর পূজার আগে ঘরের বাহির হতে ভেতর পর্যন্ত এরকম সুন্দর আলপনা দেয়া হয়। আর আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এটা বিশ্বাস করে যে, এ আলপনার উপর পা দিয়ে মাতালক্ষ্মী তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এরকম সুন্দর আলপনা দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।
আমাদের ঘরে যে, লক্ষ্মী মূর্তি রয়েছে সেটা সম্পূর্ণ পিতলের তৈরি। আর এই লক্ষ্মী মূর্তিটা কয়েক বছর আগে আমি আমাদের দুর্গা মন্দিরে মোমবাতি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে আশীর্বাদস্বরূপ পেয়েছি। আমার জীবনের সবথেকে বড় পাওয়া কোজাগরী মাতা লক্ষী মূর্তি।
আমার মা সারাদিন উপবাস থাকার পরে ঠিক সন্ধার পরেই পুরোহিত এসে আমাদের বাড়িতে পূজা আরম্ভ করেন। আসলে প্রতি বছর লক্ষ্মীপে সচরাচর রাত্রে বেলায়ই হয়ে থাকে। তবে আমাদের এদিকে আগেকার মতো লক্ষ্মী পূজার আর সেই আমেজ নেই। কোজাগরী লক্ষী মাতা পূজার দিনে ছোটবেলায় অনেক বেশি আনন্দে উল্লাসে মেতে থাকতাম।
আমাদের বাড়িতে কোজাগরী মাতা লক্ষ্মী পূজা অনেক রকমের প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। আমি পূজার প্রসাদ খাইতে সবসময়ই অনেক বেশি পছন্দ করি। শৈশবের দিনে লক্ষ্মী পূজাতে পাড়ার সব ছেলেপেলেরা মিলে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে পূজার প্রসাদ খেতাম তবে এখনকার দিনে আর সেটা হয় না।
আজকে কোজাগরী মাতা লক্ষী পূজা শেষ হওয়ার পরে বাড়ির সবাই প্রসাদ খেলাম আর বাড়ি থেকে কয়েকজন অতিথি এসেছিলো তাদেরকেও প্রসাদ দিলাম। আমাদের সনাতন ধর্মে অতিথিকে নারায়ন হিসেবে আপ্যায়ন করা হয়।
আজকে খুব সুন্দরভাবে কোজাগরী মাতা লক্ষীপূজো সম্পূর্ণ হাতে বেশ ভালো লাগছে এখন। আমার মা
ভাঙা হাত নিয়ে বেশ কষ্ট করে সারাদিন উপবাস থেকে মাতা লক্ষী পূজা অঞ্জলি দিয়েছে। আমার মায়ের জন্য সবাই আশীর্বাদ করবেন যেনো খুব তাড়াতাড়ি আমার মা আবার সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৮ শে অক্টোবর ২০২৩ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
কোজাগরী লক্ষী পূজা সম্পর্কে যদিও ধারণা নেই। তবে প্রথমেই আপনাকে পূজার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ভাইয়া। যখন বাড়িতে পুজো বা কোন উৎসব থাকে তখন বেশ ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
হ্যাঁ খপু বাড়িতে এরকম পূজার উৎসব হলে অনেক বেশি ভালো লাগে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।