"স্টিমিটের টাকায় পুজো উপলক্ষে পরিবারের জন্য শপিং।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৮ ই অক্টোবর, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আপনাদের সবাইকে শারদীয় দুর্গাপূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল। আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথে অনেকদিন ধরে এই যুক্ত আছি। এই ভার্চুয়াল পরিবারের পাশাপাশিও আমাদের সবার লাইফেই পরিবার আছে। আমরা সবাই আমাদের নিজেদের পরিবারের মানুষদেরকে অনেক বেশি ভালোবাসি। যখন থেকে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগে ব্লগিং করতে আরম্ভ করেছি তখন থেকেই নিজের ছোট ছোট শখ স্বপ্ন এগুলো পূরণ করতে শুরু করেছিলাম। এ বছর পূজো উপলক্ষে পরিবারের জন্য শপিং করেছি। আর এটা সম্ভাব হয়েছে স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগে কাজ করার সুবাদে। আমার নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে জীবনের প্রথম পরিবারের জন্য শপিং করলাম শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরিবারের জন্যও শপিং করতে পেরে মনের ভেতরে ভীষণ ভালো লাগছে। আজকে স্টিমের টাকা দিয়ে পুজো উপলক্ষে পরিবারের জন্য শপিং করার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
গতকালকে সকালে এক ভাইকে হেল্প করার জন্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে গিয়েছিলাম। তারপর সেখান থেকে কাজ সেরে পরিবারের জন্য পুজোর শপিং করার উদ্দেশ্যে নিউমার্কেটের দিকে রওনা হলাম। গতকালকে বাসে মাত্র ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে নিউমার্কেট পৌঁছে গেলাম। আমি যখন নিউমার্কেটের দিকে যায় তখন প্রায় বারোটা মত বাজে। এর আগে কখনো একা একা পূজোর শপিং করিনি তাই একটু অন্যরকম লাগছিল।
তবে একা একা এর আগে অনেকবার শপিং করেছি আমার কাছে মোটামুটি ভালই লাগে। প্রথমেই নিউমার্কেটে গিয়ে তিন নাম্বার ফ্লোরে একটি শার্টের দোকানে গেলাম। আবার ইচ্ছা ছিল যে, আমার দাদার জন্য আর আমার জন্য একই ধরনের শার্ট কিনব তাই এই শার্টের দোকান থেকে প্রথমে দুইটি শার্ট চয়েজ করলাম। এই শার্টগুলো আমার কাজ বেশ ভালই লেগেছে এগুলো অনেক দামি ব্র্যান্ডের শার্ট ছিল না তবে মোটামুটি ভালো ব্র্যান্ডের শার্ট ছিলো।
আমি যে ব্র্যান্ড আর মডেলের শার্টগুলো চয়েস করেছিলাম এই শার্টগুলোর দাম ছিল ৬০০ টাকা করে। আর শার্টের দোকানটি ছিল এই ব্র্যান্ডের একটি আউটলেট। যাইহোক শার্টের দাম কমানোর জন্য বেশ অনুরোধ করেছিলাম তবে সেলার ম্যান যে, ছিল সে বলল যে যদি ১০ টাকাও কম দেন তাহলে আমরা শার্ট দিতে পারব না। এর কারণটা হচ্ছে প্রতিটি শার্ট বিক্রি করে খাতা এন্ট্রি করে রাখতে হয়। এগুলো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
যাইহোক পছন্দের শার্ট দুটি বারোশো টাকা দিয়ে নিলাম তারপর তারপর অন্য একটি দোকানে গিয়ে দুটি জিন্সের প্যান্ট কিনলাম। এরপর অবশ্য আরো একটি শার্ট কিনেছিলাম। তারপর বাবা আর পাঞ্জাবি কেনার জন্য ভালো একটি ব্র্যান্ডের দোকানে গেলাম। এর আগেও একবার এই দোকানে এসে আমার কাকাতো ভাই কনকের জন্য ব্যালেজার কিনেছিলাম। এই দোকানটি এক দরে না হলেও তাদের জিনিসগুলো অনেক ভালো এবং রিজেনেবল প্রাইজের ভেতরে বিক্রি করে থাকে।
আমার বাবার জন্য সুন্দর একটা পাঞ্জাবি কিনলাম এই দোকান থেকে। সত্যি বলতে নিজের পরিবারের জন্য পুজোর জিনিস কিনতে ভীষণ ভালো লাগছিল। আমি যখন শপিং করছিলাম তখন মনের ভিতর খুব ভালো লাগছিল। যাইহোক বাবার পাঞ্জাবীটা কিনে মায়ের শাড়ি কেনার জন্য যাই গাউছিয়া মার্কেটে। কারণ মেয়েদের ভালো ভালো কালেকশনগুলো গাউছিয়া মার্কেটে সব থেকে বেশি পাওয়া যায়।
গাউছিয়া মার্কেটের অনেকগুলো দোকানের ভিতর থেকে একটি দোকান সিলেক্ট করে গেলাম মায়ের শাড়ি কেনার উদ্দেশ্যে। তারপর মায়ের জন্য নিজের মন মত একটা শাড়ি কিনলাম। প্রথমে অবশ্য শাড়ির দামটা অনেক চেয়েছিল কিন্তু দোকানদারের কাছে যখন বললাম যে, এই শাড়িটা আমার মায়ের জন্য নিবো তখন দোকানদার দামটা অনেক কমিয়ে এনেছিলো। আর আমার কাছেও শাড়িটা অনেক পছন্দের লেগেছিল তাই নিয়েছিলাম।
জীবনের প্রথম নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে পরিবারের জন্য পুজোর শপিং করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। আগামীকালকে বাড়ি যাবো তারপর পরিবারের সবাই মিলে এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা উপভোগ করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৭ ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে পরিবারের জন্য পুজোর শপিং করেছেন যেনে ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগলো সেই ইনকামের টাকাটা আমাদের সবার প্রিয় স্টিমিট থেকে উত্তোলন করেছেন জেনে। আপনার পূজার আনন্দ এবার দ্বিগুন হলো। আপনিসহ সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা। পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
নিজের পরিবারের জন্য কিছু করতে পারা সত্যিই অনেক আনন্দের ব্যাপার। এটা সত্যি বলেছেন আপু আমার পূজার আনন্দ এবার দ্বিগুণ হয়েছে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি স্টিমিটের টাকায় পুজো উপলক্ষে পরিবারের জন্য শপিং করলেন এটা জেনে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি নিউ মার্কেট ও গাউছিয়ায় গিয়ে সবার জন্য পছন্দ মতো জিনিস কিনলেন।প্রত্যেকে গিফট গুলো পেয়ে ভীষণ খুশী হবেন।নিজের প্রথম ইনকামের টাকা দিয়ে সবার জন্য কেনাকাটা করা সত্যি ই খুব ভালো লাগা বিষয়। ভালো লাগলো অনুভূতি গুলো জেনে।
হ্যাঁ আপু গিফটগুলো পেয়ে অনেক খুশি হবে অবশ্যই। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে কাউকে কিছু দিতে পারলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে দাদা আমাদের ঘরে বসে ইনকামের সুযোগ করে দেখিয়েছে।আপনি সবার জন্য কিনেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। নিশ্চয় সবাই অনেক খুশি হয়েছে।
এটা সত্যি বলেছেন আমাদের দাদা ঘরে বসে ইনকামের সুযোগ করে দিয়েছে। সবার জন্য জোর পোশাক কিনতে পেরে সত্যিই অনেক ভালো লাগছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
স্টিমিটের টাকা দিয়ে অনেক অনেক রকম স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। আপনি দেখছি স্টিমিটের টাকায় পুজো উপলক্ষে পরিবারের জন্য শপিং করেছেন। আপনার ছোট একটি স্বপ্ন পূরণ দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। আশা করছি সামনের দিকে আমরা আরো অনেক বড় বড় স্বপ্ন গুলো পূরণ করতে পারবো।
স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম থেকে ইনকাম করা টাকা দিয়ে অনেক কিছু করার ইচ্ছা হয়েছে। আশা করছি সেসব ইচ্ছা গুলো আস্তে আস্তে পূরণ করতে পারবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
স্টিমিটের টাকায় সবার জন্য পুজোর শপিং করেছেন এটা জেনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে কাউকে কোন কিছু উপহার দিতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর যদি বিশেষ কোনো উৎসব উপলক্ষে উপহার দেওয়া হয় তাহলে আনন্দ আরও বেশি হয়।
নিজের পরিবারের মানুষদেরকে উপহার দিতে পারলে মনের ভিতর খুব ভালো লাগে। বিশেষ উপহারের মাধ্যমে বিশেষ আনন্দ পাওয়া যায়। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।