ভ্রমণ: সিলেটের বিছনাকান্দির পথে।

আমরা যেদিন সিলেটের বিছানাকান্দির উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম সেই দিনটা ছিলো অনেক সুন্দর। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর রোদ্রউজ্জ্বল দিনটা আমাদের ভ্রমণের জন্য উপযোগী ছিলো। এরকম দিনে বাইক নিয়ে ভ্রমণ করার মজাই আলাদা। সিলেটের আবহাওয়ার উপর খুব একটা বিশ্বাস নেই বলে আমরা সাথে রেইনকোট নিয়েছিলাম। এই রোডটা হচ্ছে সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে সোজা কোম্পানীগঞ্জে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত চলে গেছে।

আমরা যে পাশ দিয়ে বিছানাকান্দির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম সেটা মেঘালয় পাহাড়ের খুবই কাছে ছিলো। আর এই কারণেই এখানে কখন বৃষ্টি হবে আর কখন রোদ হবে এটা আগে থেকে বলাটা অনেক মুশকিল। এর আগে অবশ্য আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম যে, সিলেটের রাস্তাগুলোতে শুধু যে যানবাহন চলাচল করে এমনটা নয় মানুষ, গরু, ছাগল, ভেড়া সবকিছুই চলাচল করে। আর এসব রাস্তায় বাইক চালানো বেশ রিস্কের।

আরে কারণে আমরা আপুরও সিলেট বাইকে ভ্রমণ করেছিলাম অনেক সতর্কতার সাথে, যাতে এখনো ধরনের অঘটন না ঘটে আমাদের সাথে। আমি বা আপনি যেখানেই ভ্রমণ করতে বা বেড়াতে যায় না কেন সব থেকে প্রথমে আমাদের জীবনকে সুরক্ষিত রাখতে হবে অর্থাৎ সবসময় সতর্কতা সহকারে ভ্রমণ করাটা জরুরী। মানুষের জীবনের মূল্য সব থেকে বেশি।

যাই হোক আমরা আজ সিলেট হাইটেক পার্ক থেকে বিছনাকান্দির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় বেশ কয়েক জায়গা বাইক থামিয়ে রেস্ট করেছিলাম। কারণ হচ্ছে লংড্রাইভ ভ্রমণ করলে এরকম মাঝেমধ্যে রেস্ট নিলে নিজের জন্য ভালো আবার বাইকের জন্যও ভালো হয়। আর এমন সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখলে বাইক না থামিয়ে কি পারা যায় ! এমন সুন্দর প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যময় জায়গা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম।

আর আমরা যে, পথ দিয়ে বাইক নিয়ে বিছানাকান্দির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম সেটা বেশিরভাগই অপরোডিং রাস্তা ছিলো। আরো অফরোডিং রাস্তায় বাইক চালানো অনেক কঠিন। আমাদের এই ভ্রমণে বিটুমিনের রাস্তা থেকে শুরু করে, আরসিসি রাস্তা সিসি রাস্তা আবার গ্রাম্য মাটির রাস্তা দিয়েও যেতে হয়েছিলো। গ্রামীণ পরিবেশ প্রকৃতি উপভোগ করতে আমার কাছে সবসময় অনেক বেশি ভালো লাগে।

সিলেটের বিভিন্ন গ্রামের ভিতর দিয়ে যতই বিছনাকান্দির উদ্দেশ্যে যা ছিলাম ততই প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করছিলো। এরকম প্রাকৃতিক সুন্দর পরিবেশ দেখলে চোখ এমনিতেই ঠান্ডা হয়ে আসে। এসব প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো আসলে স্বর্গীয় দৃশ্যের মতোই সুন্দর। এই লেইকের ওপারেই মেঘালয় পাহাড় আর পাহাড়ের উপরে আকাশে সাদা মেঘের ভেলাগুলো ভীষণ সুন্দর লাগছিলো।

জীবনে যদি কেউ সুখে স্মৃতি জমাতে চায় তাহলে তার ভ্রমন করাটা অনিবার্য। কারণ আমি মনে করি ভ্রমন অভিজ্ঞতা কখনোই খারাপ হতে পারে না যদি ভ্রমণের উদ্দেশ্য প্রকৃতির প্রেম লাভ করা হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানগুলোতে ভ্রমণে বের হলে ইচ্ছা করে প্রকৃতির মাঝে একদম মিশে যেতে।

আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে বিছনাকান্দি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।

প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।

VOTE@bangla.witness as witness