"বৈশাখী নগর কীর্তন"

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৭ ই মে, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000084094.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি বেশ কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি গ্রামের বাড়িতে এসে প্রকৃতির মাঝে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। আমি সব সময় কাজ করতে ভীষণ পছন্দ করি। সেটা হোক নিজের বাড়ির কাজ অথবা সামাজিক বা ধর্মীয় যে কোন কাজ। আমাদের পাড়ার বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলো আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে করে থাকি আর সার্বিকভাবে সবার বেশ দারুন সহযোগিতা পায়। কয়েকদিন আগে পাড়ায় নগরকীর্তনে বের হয়েছিলাম সেই সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

1000083887.jpg

প্রতিবছর বৈশাখ মাসের প্রথম দিন থেকে গ্রামে নগর কীর্তন আরম্ভ করা হয় আর এটা বৈশাখ মাসের শেষের দিন শেষ হয়। আর নগর কীর্তন কে উদ্দেশ্য করেই প্রতিবছর শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ভোগ অনুষ্ঠান করা হয়। এবছরেও আমাদের পাড়ায় পহেলা বৈশাখের দিনে নগর কীর্তন শুরু হয়েছে। আমি ঢাকাতে থাকার কারণে নগরকীর্তনে তেমন একটা অংশগ্রহণ করতে পারি না।

1000083889.jpg

যদিও কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছি তারপরেও বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে নগরকীর্তনে যাওয়া হয় না। আর নগরকীর্তনে মানুষ কম হওয়ার কারণে এ বছরে একদিনও পাড়ায় যাওয়া হয়েছিল না। সেদিনে হঠাৎ করেই আমাদের পাড়ার শ্যামল দা বলল যে, তাদের বাড়িতে নাকি নগরকীর্তন শেষে খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়াবে। প্রতি বছর অবশ্য নগরকীর্তনে অনেক বাড়ি থেকেই প্রসাদ খাওয়া হয়।

1000083902.jpg

প্রতিদিন যেহেতু নগর কীর্তনে মানুষজন কম হওয়াতে পাড়ায় বেরোনো হয় না তাই আজকে সবাইকে আগেই বলে রেখেছিলাম যে, নগর কীর্তন নিয়ে পাড়ায় বের হবো। সন্ধ্যার পরেই দেখি আমাদের শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সামনে বেশ ভালো লোকজন জড়ো হয়েছে নগরকীর্তন করার জন্য। আমাদের নগরকীর্তনের দলের বেশিরভাগ সদস্য থাকে শিশু কিশোর।

1000083908.jpg

প্রথমে আমরা শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সামনে থেকে নগরকীর্তন আরম্ভ করে আমাদের পাড়ার প্রতিটি বাড়িতে নগর কীর্তন করলাম। ‌ তারপর আমাদের পাড়ার আরো একটি মন্দির রয়েছে সেটা হলো শীতলা মন্দির এখানেও প্রতিদিন নগর কীর্তন করা হয়। সেদিন নগরকীর্তনের শুরুর সময়ে লোকজন একটু কম থাকলেও আস্তে আস্তে বেশ ভালই লোক হয়ে যায় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন মতো।

1000083904.jpg

আমরা ছেলেপেলেরা মিলে এই প্রতিবছর নগর কীর্তন করে থাকে। আমরা সেদিনে নগর কীর্তন করার সময় হঠাৎ করে দেখি আমাদের এলাকার ধর্মীয় গায়ক সন্তোষ কুমার মন্ডল এসে নগরকীর্তনে যুক্ত হলো। বাবু সন্তোষ কুমার মন্ডল আমাদের ব্যাঙগাড়িয়া মহাশ্মশানের সাংস্কৃতিক সম্পাদক। আমাদের এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান গায়ক।

1000083911.jpg

আমরা সেদিনে সবাই মিলে অনেক মজা করে নগর কীর্তন করলাম পুরো পাড়াতে। এভাবে প্রতিদিন নগর কীর্তন করতে পারলে আসলে ভালোই লাগে মনের কাছে আলাদা একটি শান্তি অনুভূত হয়। আমাদের পাড়ার বড় মানুষজনদের থেকে ছোট ছোট বাচ্চাদের ভেতরে ধর্মপরায়ণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

1000083916.jpg

এর অবশ্য একটা কারণ আছে সেটা হল বর্তমানে আমাদের ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানে প্রতি শুক্রবারে ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে শ্রীমদ্ভগবত গীতা পাঠ শেখানো হচ্ছে এবং প্রতি শুক্রবারে সেখানে ধর্মীয় অনেক আলোচনা হয়। যাইহোক নগর কীর্তন শেষে সবাই মিলে খিচুড়ি প্রসাদ গ্রহণ করলাম বেশ দারুন হয়েছিলো। সেদিনে নগরকীর্তনের সুন্দর মুহূর্ত বেশ উপভোগ্য ছিলো।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ৫ ইং মে ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 5 months ago 

দীর্ঘ একমাস ধরে এই নগর কীর্তন হয় এটা কিন্তু আমার জানা ছিল না। তবে আপনার এই পোষ্টের মধ্যে থেকে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো। খুব সুন্দর ভাবে আপনি বৈশাখী নগর কীর্তন বিষয়ক তথ্যমূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট পড়ে।

 4 months ago 

আমার পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 5 months ago 

বাইরে থেকে আসলে সত্যি কোন কিছুতে অংশগ্রহণ করা হুজ করে হয়ে ওঠেনা। তবে আপনাদের এই নগর কীর্তন অনুষ্ঠান সম্পর্কে বেশ ভালো লাগলো জেনে। বৈশাখ মাস শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এটা হয়ে থাকে এটা আমার মোটেও জানা ছিল না। তবে অনেক কিছু জানতে পারলাম ভাইয়া।

 4 months ago 

আসলে বাড়ির বাইরে থাকলে গ্রামীন বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলো মিস হয়ে যায় কিছু করার থাকে না। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 5 months ago 

অসাধারণ পোস্ট! আপনার বৈশাখী নগর কীর্তনের অভিজ্ঞতা পড়ে মন ভরে গেল। আপনার বর্ণনা এবং ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে যেন আমি নিজেও সেই উৎসবে অংশ নিয়েছি। ধর্মীয় ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক উৎসবের এই ধরনের উদযাপন সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার পোস্ট আরো অনেকের মাঝে পৌঁছাক ও আপনাদের এই উদ্যোগ অব্যহত থাকুক এই প্রার্থনা করি।

 4 months ago 

হ্যাঁ দাদা ধর্মীয় ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক এই ধরনের উৎসবগুলো সত্যিই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমরা নগরকীর্তনে সবাই মিলে অনেক মজা করি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।

 5 months ago 

আমাদের গ্রামেও বৈশাখ মাস জুড়ে নগরকীর্তন এর দল রাতের বেলা করে কীর্তন করে বেড়ায়। দাদার বিয়ে উপলক্ষে গ্রামে গিয়ে আমিও দেখেছিলাম। আসলে বেশ ভালোই লাগে। এতজন মানুষ মিলে একসাথে খোল কর্তাল ব্যবহার করে যখন কীর্তন করে বেড়ায়, সেই কীর্তন শুনে মনে আলাদা প্রশান্তি আসে৷ আপনাদের কীর্তনের দলে অনেক ছোট ছোট ছেলেদের দেখে ভালো লাগলো।

 4 months ago 

আপনাদের গ্রামেও বৈশাখ মাস জুড়ে নগর কীর্তন হয় রাতের বেলায় জেনে অনেক ভালো লাগলো দিদি। সবাই মিলে খোল, কর্তাল নিয়ে নগর কীর্তন করার মজাই আলাদা। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65037.75
ETH 2638.96
USDT 1.00
SBD 2.81