"মামার বিয়েতে আনন্দ উল্লাস"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৬ ই আগস্ট, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেকদিন হলো ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি এখানে এসে মোটামুটি বেশ ভালোই সময় অতিবাহিত করছি। আমাদের বাংলাদেশের পরিস্থিতি বেশ কিছুদিন অনেক খারাপ ছিল আস্তে আস্তে সেগুলো ঠিক হচ্ছে। এখন দেখা যাক আমাদের দেশ কত দ্রুত অগ্রগামী হয়। সপ্তাহখানেক আগে আমার সমীর মামার বিয়ে হয়েছে আমি আর আমার পরিবার বিয়ে বাড়িতে গিয়ে অনেক মজা করেছিলাম। সমীর মামা আজ বিয়েতে আনন্দ উল্লাসের কিছু মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
কিছুদিন আগে আমাদের দেশের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে, যেকোন অনুষ্ঠান করাটা বেশ রিস্কের ছিলো। আমাদের দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে বিয়ে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।তারপরে দেশের পরিস্থিতি আস্তে আস্তে ভালো হওয়ার কারণে সবকিছুই শুরু হয়েছে। অনেকদিন আগে থেকেই আমার সমীর মামার বিয়ে ঠিক হয়ে ছিলো। আমি ঢাকা থাকা অবস্থাতেই ঠিক করে রেখেছিলাম যে, সমীর মামার বিয়েতে এবারে অনেক আনন্দ উল্লাস করবো।
তারপর দেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে ঢাকা থেকে অনেক আগেই চলে এসেছিলাম গ্রামের বাড়িতে। মামার বিয়ের দুই দিন আগে আমাকে ফোন করে বলল যে, হলুদ সন্ধ্যাতে আমাদের সবাইকে থাকতে হবে একসাথে। তাই হলুদ সন্ধ্যার দিনে আমি আমার মাকে নিয়ে মামা বাড়িতে গেলাম। মামা বাড়িতে অনেকদিন পরে গিয়ে দেখলাম অনেক আত্মীয়-স্বজন এসেছে। মামার বিয়ের হলুদ সন্ধ্যা তে আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করলাম।
হলুদ সন্ধ্যার পরের দিন ছিল বিয়ের আয়োজন। মামার বিয়ের বরযাত্রী যাওয়ার জন্য আটটি মাইক্রো এবং একটি প্রাইভেট ঠিক করেছিলো। সারাদিন বিয়ের বিভিন্ন আয়োজন শেষে সন্ধ্যার দিকে বরযাত্রী নিয়ে পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমরা যখন আলমডাঙ্গার দিকে রওনা দিয়েছিলাম তখন ঘড়ির কাঁটায় আটটা বাজে।
আমরা মোটামুটি ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের ভিতরেই আলমডাঙ্গা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পৌঁছে যায়। আমার মামার শ্বশুরবাড়িতে জায়গা কম থাকার কারণে কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আয়োজন করেছিল। আর শহরের বিয়ে গুলো এমনিতেও কমিউনিটি সেন্টারেই সব থেকে বেশি হয়ে থাকে। কারণ গ্রামের মতো বৃহৎ জায়গা শহরের বাড়িতে থাকে না। সমীর মামা বিয়েতে আমরা গেটে অনেক মজা করেছিলাম।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমাদের হিন্দুদের বিয়ে হলে গেটে অনেক মজা করা হয়। তারপর মেয়ে পক্ষ আমাদের সবাইকেই কমিউনিটি সেন্টারের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে আলাদা একটি রুমে বরের বসার ব্যবস্থা করে। সেই রুমটা অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছিল সত্যিই চমৎকার ছিলো। কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে হলে সাজ সজ্জা থাকে সত্যিই চমৎকার।
যাইহোক সেখান থেকে আমার সমীর মামার কয়েকটি ছবি তুলে চলে গেলাম নতুন মামী দেখতে। আমি যাওয়ার আগেই দেখি অনেক মানুষজন সেখানে গিয়ে ভিড় করেছে। আর সব থেকে আগে গেছে ক্যামেরা ম্যান গুলো। ক্যামেরাম্যান গুলো সবার আগে গিয়ে দেখি বিভিন্ন স্টাইলে ছবি তোলা আরম্ভ করেছে। তারপর আমিও ক্যামেরাম্যানদের সাথে সঙ্গ দিয়ে কয়েকটা ছবি তুলে বাইরে বের হয়ে আসলাম।
তারপর কমিউনিটি সেন্টারে ডাইনিং রুমে গিয়ে প্রথমে নাস্তা খেলাম। তারপর কিছু সময় পরে বিয়ে আরম্ভ হলে আমরা বিয়ে দেখে তারপর রাতের খাবার খেলাম। সমীর মামা শশুর বাড়ির সবাই আত্মীয় আপ্যায়নের দিক দিয়ে সত্যিই বেস্ট ছিলো। আমরা খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করে কিছু সময় বিয়ে দেখলাম তারপর যেসব বরযাত্রীগুলো রাতেই বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য রাজি হলো তাদেরকে নিয়ে আবার মামা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সমীর মামার বিয়েতে অনেক আনন্দ উল্লাস করেছিলাম কয়েকদিনে সবাই মিলে খুব মজা করেছি। আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করুন যেনো মামার বৈবাহিক জীবন সুখের হয়
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১১ ইং আগস্ট ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
মামার বাড়ি মানে হচ্ছে অনেক আনন্দের। সেখানে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করা যায়। আপনি ঠিক বলছেন এখন কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি আমরা দেশের পরিস্থিতি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। আপনি বিয়ে বাড়িতে গেলেন অনেক আনন্দ করলেন। পুরো মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু মামার বাড়ি মানেই অনেক আনন্দের। মামার বিয়েতে আমরা সবাই মিলে অনেক আনন্দ উল্লাস করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
বিবাহ মানে আনন্দের মুহূর্ত। আর সেখানে যদি আপনজনের বিবাহ হয় তাহলে তো কথাই নেই। ঠিক আপনার মামার বিয়েতে আপনি খুবই আনন্দ করেছেন। আপনাদের এই আনন্দের মুহূর্তটা আমাদের মাঝে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ।
এটা সত্যি বলেছেন বিবাহ মানে এই আনন্দের মুহূর্ত। আমার মামার বিয়েতে অনেক মজা করেছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বিয়ের গেইট কিন্তু দারুণ সাজানো হয়েছে! আর বিয়ে মানেই তো মজা!! তার উপর আবার বরপক্ষ আপনারা! তবে বিয়েতে রাতে না থাকলে তো অর্ধেক মজাই মিস করা!
হ্যাঁ দিদি এটা সত্যি বলেছেন যে, বিয়েতে রাতে না থাকলে অর্ধেক মজাই মিস হয়ে যায়। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি তখন খারাপ থাকার কারণে আমরা রাতেই আবার মামার বাড়িতে চলে এসেছিলাম।
বুঝতেই পারছি বিয়ে বাড়িতে খুব আনন্দ করছেন। মামার বিয়েতে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। বরযাত্রী যেতে বরাবরই ভালো লাগে খুব। মনে পড়ে যায় ছোটবেলায় দাদা দিদিদের বিয়ের স্মৃতি। আপনার মামার ও মামীর দীর্ঘ সুখী দাম্পত্য জীবন কামনা করলাম। সকলে মিলে সুখে থাকুন।
এটা সত্যি যে ছোটবেলায় বিয়ের বরযাত্রী যাওয়ার ভিতরে আলাদা মজা লুকিয়ে থাকে যেটা বড় হলে কমে যায়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনি আপনার মামার বিয়েতে গিয়ে অনেক আনন্দ করেছেন তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বিয়ে মানেই আনন্দের মুহূর্ত। আপনি বিয়েতে গিয়ে অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ এটা সত্য বলেছেন বিয়ে মানেই আনন্দের মুহূর্ত। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে সুস্বাগতম জানাচ্ছি। আমার মন্তব্য আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ভাইয়া আপনি তো দেখছি বেশ ভালো আনন্দ করেছেন। মামার বিয়েতে অনেক মজা করেছেন। কোন আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ভাই আত্মীয়-স্বজনের বিয়ে অনুষ্ঠানে গেলে সত্যিই অনেক আনন্দ হয়। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
বিয়ে মানে খাওয়া দাওয়া, গল্প গুজব সকলের সাথে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করা। আপনার মামার বিয়েতে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মামার বিয়ের বেশ কিছু সুন্দর মুহূর্ত ফোটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মামার বিয়েতে কাটানোর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার সমীর মামার বিয়েতে সত্যিই অনেক মজা করেছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।