"ছোট ভাইকে নিয়ে আমাদের সরিষা এবং গমের মাঠ পরিদর্শন"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৭ ই জানুয়ারি, শুক্রবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে একটি কাভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কয়েকদিন আগেই আমি আমার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। আমার গ্রামের মাঠঘাট, নদী-নালা প্রকৃতি যেন আমার হৃদয়কে মুগ্ধ করে দেয়। বাড়িতে আসার পরে আমার ছোট ভাই দীপ্ত আমার সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর আবদার করতে থাকে।
আর আমিও ওর এই ছোট ছোট আবদার গুলো পূরণ করতে থাকি কারন আমারও ঘুরতে ভীষণ পছন্দ হয়। গ্রামের প্রকৃতিক পরিবেশে বিস্মরণ করার মাঝেও আলাদা একটি মানসিক শান্তি অনুভব করি আমি।
গ্রামের প্রকৃতিতে যেন আমি আমার নিজেকে খুঁজে পাই। গ্রামের মানুষের প্রধান কাজ চাষাবাদ আরে চাষাবাদ করে গ্রামের মানুষজন তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।
গ্রামে আমাদের কয়েকটি ফসলের ক্ষেত আছে। গ্রামের বাড়ির পাশে আমাদের ফসলের ক্ষেতটি। ঢাকা থাকার কারণে অনেক দিন মাঠে যাওয়া হয় না। তাই আর কি ভাবলাম যে দীপ্ত কে নিয়ে আমাদের সরিষা এবং গমের ক্ষেত দুটি ঘুরে আসি।
আমার ভাই দীপ্ত ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। দীপ্ত বিকেলের দিকে প্রতিদিনই আমাকে বলে যে দাদা আমাকে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাও। গ্রামের আশেপাশে যেখানে ইচ্ছা হয় আমি ওকে নিয়ে যায় ঘুরতে তো একদিন ভাবলাম যে আমাদের সরিষা এবং গমের মাঠে দিক থেকে ঘুরে আসি।
তারপর দীপ্তকে নিয়ে বাড়ির পাশে আমাদের মাঠের দিকে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি সুন্দর সরিষার ফুলে ভরে গেছে এবং সরিষা ফুলের গন্ধে যেন চার দিকটা মৌ মৌ করছে।
দীপ্ত তো আমাদের সরিষা মাঠে গিয়ে খুবই খুশি। কারণ ওদের বাসা সিলেটে হওয়ার কারণে এসবের কিছুই ওখান থেকে দেখতে পারে না। ছোট চিকন আইলের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে কয়েকবার পড়ে গিয়েছিল। তারপরে আমি নিজে হাত ধরে হাঁটতে থাকলাম আর ওর সাথে গল্প করতে থাকলাম।
ছোটদের সাথে গল্প করার অনুভূতিটাই আলাদা। আধো আধো কথাগুলো খুবই সুন্দর লাগে আমার কাছে। এত সুন্দর শুদ্ধ ভাষায় কথা আসলে গ্রামের লোক খুব একটা বলে না।
সরিষা ও গমের মাঠ থেকে বিভিন্ন পজিশনে ছবি উঠাতে শুরু করলাম ভাইয়ের, তো ছবি উঠাতে গিয়ে দেখলাম ভাই আমার স্টাইলে বেশ দুর্দান্ত। আরে আমাকেই শিখিয়ে দেয় যে দাদা এভাবে ছবি তোলো।
আমাদের সরিষা এবং গমের ক্ষেতের চারপাশে দিয়ে ঘোরাঘুরি করে। আর দেখলাম যে বেশ ভালই সরিষা এবং গম গাছ জমে উঠেছে আশা করি ফসল বেশ ভালই হবে। ছোট ভাইয়ের অনেকগুলো ছবি তুলে আবার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
গ্রামের মাঠগুলোতে এভাবে বিকালে ঘুরে বেড়ানোর মাঝেও মনে অফুরন্ত আনন্দ লাভ করা যায়। আর সাথে যদি ছোট কোন কিউট বাচ্চা থাকে তাহলে তো আনন্দটা বহু গুণে বৃদ্ধি পায়।
পোস্টের ছবির বিবরন
| ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
|---|---|
| ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
| ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
| তারিখ | ২৪ জানুয়ারি |
| লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
গ্রামের প্রকৃতির সৌন্দর্য জেনো সত্যি মনকে মুগ্ধকর করে তোলে। আপনার ছোট ভাই তো দেখতে অনেক কিউট লাগছে। সরিষা ও গমের ক্ষেত দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এত সুন্দর মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু গ্রামের সৌন্দর্য সত্যিই মনমুগ্ধকর। আর আমার ভাইটাও খুবই কিউট ঠিকই বলেছেন। সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের দেশে গ্রামের মানুষ চাষাবাদ কে এখনো আকড়ে ধরে আছে। যদিও এখন অনেক আবাদি জমিতে ফসল হয় না। আপনি সরিষা এবং গম ক্ষেতের অনেক সুন্দর ছবি শেয়ার করেছেন। গ্রামের বাড়ি গিয়ে নিজেদের জমি দেখে নিশ্চয়ই আপনার আর ছোট ভাইয়ের মন আনন্দে ভরেছিল। আপনার ছোট ভাই দীপ্তকে অনেক কিউট লাগছে। তার বিভিন্ন পোজ দিয়ে তোলা ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে। গমের ছবি দেখতে পারলে আরো ভাল লাগত। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই দীপ্ত অনেক কিউট। সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।