"ঈদের ছুটিতে গ্রামে এসে পিকনিক"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২১ ই এপ্রিল, শুক্রবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি কয়েকদিন হলো গ্রামে আসছি গ্রামে এসে বেশ ভালই লাগছে। গ্রামে সে নিজের পরিবার গ্রামের বন্ধুবান্ধব আর পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে বেশ ভালই দিন কাটাচ্ছে। গ্রামের এই মনোরম প্রকৃতি আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। যদিও এখন গ্রামে প্রচুর পরিমাণে গরম এবং রোদ হচ্ছে তবুও আমার কাছে গ্রাম অনন্য লাগে। আমি যখন বাড়িতে থাকতাম গ্রামে প্রচুর পরিমাণে পিকনিক করতাম। আর গ্রামের পিকনিক গুলো অনেক মজাদার হয়। সবাই মিলে একসাথে পিকনিক করে সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়ার ভিতর আলাদা একটি ভালো লাগা কাজ করে। পিকনিকের মাধ্যমে মনের মিল ভালোবাসা বন্ধুত্ব সব কিছুই যেন বৃদ্ধি পায়।
পিকনিকের কয়েকটি ছবি দিয়ে সুন্দর একটি কাভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
কয়েকদিন আগে বাড়িতে আসার পর বেশ একা একা লাগছিল। কারণ আমি বাড়িতে আসার পর যাদের সাথে বেড়াই তারা ঈদের ছুটি তখনও পায়নি। কিন্তু সেই সব লোকজন গত পরশুদিন ছুটি পেয়ে যখন বাড়ি চলে তখন খুবই ভালো লাগছিল। সেসব বন্ধু এবং বড় ভাইয়েরা বাড়িতে আসার পরে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে পিকনিক করবো। কারণটা আসলে অনেকদিন সবার সাথে দেখা হয় না, একসাথে বসে গল্প করা হয় না, একসাথে বসে খাওয়া হয় না।
তারপর পিকনিকের জন্য ছোট ভাই বড় ভাই এবং বন্ধুদের নিয়ে মোট নয় জন হল। তারপরে সবার কাছ থেকে ১০০ টাকা করে তুলে পিকনিকের আয়োজন করলাম। গতকালকে বিকেলে সবার থেকে টাকা তুলে বড় ভাইদের সাথে নিয়ে বাজারে গিয়ে বাজার করে আনলাম।
এই পিকনিকে খাবারের আয়োজন করলাম পোলাও চাউলের ভাতা আর ব্রয়লারের মাংস, সালাদ এবং সবার শেষে কোল্ড ড্রিংকস। সবার থেকে যে টাকা নিয়েছিলাম এর ভেতরে যা যা হয় আর কি! পিকনিক ছোট বড় খুব একটা বিষয় না, খাবারও খুব একটা বিষয় না, আসল বিষয়টা হল সবাই মিলে একসাথে গল্প করা মজা করা এবং একসাথে বসে খাওয়া।
পিকনিকের রান্নার কাজটা আমি আর আমার এক পাড়া-প্রতিবেশী বড় ভাই দুজনেই করে থাকি সবসময়। কারণ সবাই তো আর রান্না করতে পারে না। আসলে ছোটবেলায় আমার রান্নার হাতে খড়ি এই পিকনিক থেকেই। কারণটা হলো বড়রা যখন পিকনিক করত তখন আমাকে ওরা পিকনিকে নিত কিন্তু তখন আমার থেকে কোন টাকা পয়সা নিত না।
আমাদের এই পিকনিকের রান্নার কাজে পেঁয়াজ-রসুন কাটা থেকে শুরু করে জিরা বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, গরম মসলা বাটা সবকিছুই আমাদের দুজনকেই করতে হয়েছিল।
সব মসলা গুলো রেডি হয়ে গেলে দুইটা চুলার একটাতে আমি পোলাও রান্না শুরু করলাম আরেকটাতে সেই বড় ভাই মাংস রান্না শুরু করল।
তারপর আমরা দুইজন রান্না করতে থাকলাম আর সবাই মিলে চারপাশ দিয়ে বসে গল্প করতে শুরু করলাম। সবাই মিলে একসাথে যার যার গল্প শেয়ার করতে থাকলাম।
তারপর গল্প করতে করতেই রান্না হয়ে গেল। তবে সবার খুবই ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল রান্না করতে করতে রাত প্রায় বারোটা বেজে গিয়েছিল। তারপর রান্না করা শেষে সবাই একসাথে খেতে বসলাম।
তারপর সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করে চলে। আমাদের বাড়ির সামনে একটি মাচা আছে সেখানে চলে আসলাম। এখানে এসে বসে আবার গল্প শুরু করলাম তারপর বাজার থেকে যে কোলড্রিংস কিনে এনেছিলাম সেটা বাড়িতে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম ঠান্ডা হওয়ার জন্য। তারপর বাড়িতে এসে ফ্রিজ থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে মাচার উপর বসে সবাই একসাথে কোল্ড ড্রিংকস খেলাম। গরমের দিনে খাওয়া-দাওয়া শেষে কোলড্রিংস খেলে একদম প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
তারপর একসাথে সবাই মিলে গল্প গুজব করে কিছু সময় পর যার যার বাড়িতে চলে আসি। সবাই মিলে একসাথে এভাবে পিকনিক করলে বেশ ভালোই মজা হয়। গতকালকে পিকনিকে আনন্দটাই ছিল অন্যরকম কারণ অনেকদিন গ্রামে আসি না আর পিকনিকে করা হয় না। গতকালকে সবাই মিলে একসাথে পিকনিক করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছিল নিজের মনের কাছে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২০ ই এপ্রিল |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার "ঈদের ছুটিতে গ্রামে এসে পিকনিক" ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
ঈদের ছুটিতে গ্রামে এসে পিকনিক করার মুহুর্ত সত্যি অসাধারণ ছিলো।এরাকম আনন্দময় মুহুর্ত সত্যি খুবি ভালো লাগে।আপনাদের অনুভূতি জানেতে পেরে খুবি ভালো লেগেছে।
পিকনিক মানেই মজা আর মজা। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
We support quality posts anywhere and any tags.
Curated by : @fantvwiki
ভাই পিকনিকের কথা শুনলেই তো আমার আবার লোভ লেগে যায়। কেননা পিকনিকের আয়োজন করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর আমার এলাকায় সবসময় আমি নিজেই এই পিকনিকের আয়োজন করি। যাক আপনারা সকলে মিলে মাচায় বসে পিকনিকের খাবারগুলো খেয়েছেন এবং আনন্দ করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ঈদের ছুটিতে গ্রামে এসে পিকনিকের আয়োজনটুকু সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনিও আমার মত পিকনিক আয়োজন করতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়ে তো আপনি অনেক আনন্দে আছেন। সবাই মিলে খুব সুন্দর করে পিকনিক করছেন আবার সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করতেছেন অসাধারণ লাগছে আপনার ব্লগটি পড়ে। অনেক ধন্যবাদ ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে সবাই মিলে খুব মজা করছি।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গ্রামে হাজার সমস্যা থাকলেও নিজের গ্রামে কয়েকটি দিন থাকতে পারাটা অনেক আনন্দের বিষয়।বন্ধু বান্ধব প্রতিবেশী নিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন ভাইয়া,ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়ে।একদম খাটি কথা বলেছেন ভাইয়া পিকনিকের মাধ্যমে মিল, মনের ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।সবাই মিলে একসঙ্গে রান্না করে খাওয়া মজাই আলাদা।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি বলেছেন আপু গ্রামের বাড়িতে এসে একটু কষ্ট হলেও মানিয়ে নেওয়া অনেক সহজ হয়। সবাই মিলে একসাথে থাকতে পারাটা আনন্দের ব্যাপার। সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Hi, @aongkon,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @rex-sumon.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP