"জাতীয় বৃক্ষমেলা-২০২৪"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৩ ই জুলাই, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ঘোরাফেরা করতে ভীষণ পছন্দ করি, আর যে কোন ধরনের মেলায় ঘোরাফেরা করার ভিতরে আলাদা একটি মজা আছে আর যেকোনো মেলায় ঘোরাফেরা করলে এমনটা মনে হয় যে শৈশবে ফিরে গেছি। আমি বৃক্ষ মেলার কথা অনেক শুনেছি তবে কখনো এই মেলায় যাওয়া হয়নি। আর আপনারা জানেনই তো শৈশব কতটা সুন্দর হয়। কয়েকদিন আগে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল জাতীয় বৃক্ষ মেলা দেখতে গিয়েছিলাম সেই সুন্দর মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
কয়েকদিন আগে আমি আর আমার বন্ধু বাসা খোঁজার উদ্দেশ্যে মিরপুরের দিকে বের হয়েছিলাম। তারপর সেখান থেকে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে আসার সময় লক্ষ্য করলাম যে, রাস্তার পাশেই জাতীয় বৃক্ষ মেলা হচ্ছে। তখন বন্ধু রাহুলকে বললাম বৃক্ষ মেলা তো কখনো দেখা হয়নি যদি এনার্জি থাকে চল ভেতরে গিয়ে দেখে আসি। তখন বন্ধু রাহুল আমার কথা শুনে বলল যে, যাওয়া যায় সমস্যা নাই। তারপর বৃক্ষ মেলার সামনে আমাদের বাইকটি দেখে ভেতরে প্রবেশ করলাম।
জাতীয় বৃক্ষ মেলা সামনে কোন গ্যারেজ না থাকার কারণে অবশ্য বাইক রাখা রিস্কের। তারপরেও আমরা মেলায় একটু ঘোরার উদ্দেশ্যে বাইকে ভালো করে তালা মেরে রেখে ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। এবারে বৃক্ষ মেলার মূল স্লোগান ছিলো, "বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ"। জাতীয় বৃক্ষ মেলা ২০২৪ এর এই স্লোগান টা আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। কারণ বর্তমানে শুধু আমাদের বাংলাদেশেই নয় সারা পৃথিবীতে প্রচুর পরিমাণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর এই প্রচুর তাপমাত্রা থেকে বাঁচার আমাদের একটি উপায় আছে সেটা হচ্ছে বেশি বেশি করে বৃক্ষরোপণ করা। প্রতিটি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এরকম বৃক্ষমেলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অবশ্য শহরের বৃক্ষ মেলাতে শুধুমাত্র ফুলের গাছের চারা সবথেকে বেশি বিক্রি হয়, অন্যান্য বড় গাছের যারা তেমন একটা বিক্রি হয় না বললেই চলে। কারণ ঢাকা শহরে গাছ লাগানোর জায়গা নেই বললেই চলে সব জায়গায় শুধু কংক্রিটের বিল্ডিং আর বিল্ডিং। এখন দুঃখের বিষয়ে এটাই যে, সবাই গাছ কেটে বিল্ডিং তৈরি করে কিন্তু বিল্ডিং ভেঙ্গে কেউ এখন এই স্থানে আর গাছ লাগাবে না।
আমাদের ঢাকা শহরে এত পরিমান বিল্ডিং আছে যে, এসব বিল্ডিং গুলো না ভাঙলে গাছ লাগানোর জায়গায় নেই। বিশেষ করে আবাসিক এলাকার বিল্ডিং গুলো বেশিরভাগই বিল্ডিং কোড মেনে স্থাপিত হয়নি। যদি প্রতিটা বিল্ডিং যদি কোড মেনে স্থাপিত হতো তাহলে বিল্ডিং এর চারিপাশে গাছ লাগানোর জন্য উপযুক্ত জায়গা থাকতো আর সবাই বনায়ন করতে পারতো। এখন ঢাকা শহরের বিল্ডিং গুলো চারিপাশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, দুই তিন ফুট দূরত্ব নিয়ে আরো বিল্ডিং ঘিরে রয়েছে। আমার কাছে মনে হয় এই অবস্থাতে বর্তমানে ঢাকা শহরের ভেতরে বনায়ন করাটা প্রায় অসম্ভব।
যাইহোক আমরা বৃক্ষ মেলার ভিতরে গিয়ে কিছু সময় ঘোরাফেরা করলাম ভীষণ ভালো লাগলো। আমরা যেহেতু সন্ধ্যার পরে গিয়েছিলাম তাই বৃক্ষ মেলায় লোকজন তেমন একটা ছিল না বললেই চলে। আরে সব মেলাতে মানুষজন এমনিতেও কম হয়, কারণ আমরা মানুষ হিসাবে কেউই নিজেদের ভালো চাইনা। আর কেউই চায়না যে, বৃক্ষ কিনে এনে রোপন করি। এখানে বেশিরভাগ মানুষ শুধুই বৃক্ষের মেলা দেখতে আসে কিন্তু বৃক্ষ কিনতে খুবই কম মানুষ আসে।
তারপরেও যতটা বৃক্ষ মানুষ কিনবে আমাদের পরিবেশের জন্য ততটাই লাভজনক হবে। বর্তমানে ঢাকা শহরের পরিবেশের অবস্থা ব্যাপক খারাপ। ঢাকা শহরে খুবই কম গাছপালা থাকাতে এখানকার বাতাস ভীষণ দূষিত। ঢাকার বায়ুর পরিমাণ এতটাই বিষাক্ত যে মানুষ যেকোন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার স্বীকার হতে পারে। এতকিছুর পরেও ঢাকার মানুষের তেমন বৃক্ষ রোপনের প্রতি মাথা ব্যথা নেই বললেই চলে। আমার কাছে মনে হয় ঢাকা শহরে যতো মানুষ আছে তার চার ভাগের এক ভাগও যদি গাছ থাকতো তাহলে শহরটা সুন্দর দেখাতো আর পরিবেশটা সুন্দর থাকতো।
যাইহোক আমাদের বাইকটা যেহেতু বৃক্ষ মেলার সামনে সেভ ছিল না, তাই আমরা তাড়াতাড়ি মেলা দেখা শেষ করে বাইরে বেরিয়ে আসি। তাই বৃক্ষ মেলা দেখতে হলে বিকালের দিকে যাওয়ায় সব থেকে বেশি ভালো। জাতীয় বৃক্ষ মেলাতে অনেক গাছের সমাহার রয়েছে যা আমি এর আগে কখনো দেখিনি। আমি আর আমার বন্ধু রাহুল মিলে বৃক্ষ মেলায় বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৮ ই জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
আপনারা বাইক রিস্কের মধ্যে রেখে বৃক্ষ মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।আসলে বৃক্ষ মেলায় গেলে অনেক নতুন নতুন গাছ সম্পর্কে জানা যায়।তেমনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে নতুন কিছু বৃক্ষ দেখলাম।আপনারা দুইজন দারুণ ঘোরাঘুরি করেছেন আশা করি, ধন্যবাদ দাদা।
ঘুরাঘুরি করার মধ্যে দারুন একটা মজা রয়েছে। যেটা অনেকদিন হলো পাই না । আবার ঘুরতে যেতে হবে বন্ধু। বাসা খোঁজার পাশাপাশি শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় বৃক্ষ মেলায় দারুন সময় কাটিয়েছো বন্ধু। আমরাও উপভোগ করলাম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বৃক্ষ মেলার মধ্যে ঘুরতে গেলে বিভিন্ন ধরনের গাছ গাছালির দৃশ্য দেখার সুযোগ হয়। আপনার বন্ধু সহ বৃক্ষ মেলার মধ্যে ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালোই মজা করেছিলেন আপনারা। আসলে আমি এখন পর্যন্ত কোনদিন বৃক্ষ মেলার মধ্যে ঘুরতে যাইনি।তবে, আপনার মাধ্যমে বৃক্ষ মেলার কিছু টা ধারণা পেয়ে গেলাম।
বৃক্ষ মেলায় দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনার বন্ধুর পোস্টে অবশ্য কিছুটা দেখেছিলাম। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখেও খুব ভালো লাগলো। পানির ফোয়ারা অনেক বেশি সুন্দর লাগছে দেখতে। এটা ঠিক বলেছেন বৃক্ষ মেলায় বৃক্ষ কেনার চেয়ে ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা বেশি। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমারও ইচ্ছে রয়েছে জাতীয় বৃক্ষ মেলা ভ্রমণ করা তবে আমাদের নিকটস্থ শহরে উপজেলার মধ্যে এই মেলাগুলো বসে থাকে আজকে সেখানে গিয়েছিলাম কিন্তু মেলায় অংশগ্রহণ করা বা ভিডিও ধারণ করার সুযোগ হয়নি। তবে এই মেলাগুলোতে গেলে বিভিন্ন প্রকার গাছ দেখতে পাওয়া যায় এবং কিনতে পাওয়া যায়। বেশ ভালো লাগে নিত্যনতুন অপরিচিত ও পরিচিত গাছের সাথে পুনরায় পরিচিত লাভ করায়
আমিও কয়েকদিন আগে বৃক্ষমেলা থেকে ঘুরে আসছি।খুব ভালো করে দেখলে মেলায় ঘুরতে অনেক সময় লাগে।তবে আমি যেদিন গিয়েছি সেদিন ফুয়ারাটা অন ছিলো না।ভালো লাগলো ছবিগুলো দেখে। ধন্যবাদ
আপনি দেখতেছি আপনার বন্ধু রাহুলকে নিয়ে বৃক্ষ মেলায় ঘুরতে গেলেন। তবে বৃক্ষ মেলায় গেলে পরিবেশ এবং বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখলে এমনিতে বেশ ভালো লাগে। তবে বাসায় খুঁজতে গিয়ে ভালই লাভ হল বৃক্ষ মেলা সামনে থেকে দেখতে পেরেছেন। তবে এখন শহর বা বড় বড় জায়গাগুলোতে বিল্ডিং এমনভাবে তৈরি হয়েছে গাছ লাগানোর কোন জায়গায় নেই। যাইহোক আপনি আপনার বন্ধুকে নিয়ে বৃক্ষ মেলা ঘুরতে গিয়েছেন সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
বন্ধুর সাথে বাসা দেখা উদ্দেশ্যে বের হয়ে বৃক্ষ মেলা দেখার অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এটা পড়ে আবার অনেক ভালো লাগলো। বৃক্ষ মেলায় যে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন সেগুলো আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে বৃক্ষ মেলায় যে দুজন খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেটা দেখে বোঝা যাচ্ছে। সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়ে সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এদিকে বৃক্ষ মেলা খুবই কম হয়। অনেকদিন আগে একবার দেখেছিলাম। বৃক্ষ মেলায় দারুন দারুন সব গাছের সংগ্রহ থাকে। আর খুবই ভালো লাগে ভাইয়া। আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপন করেছেন।