"গ্রামের বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় আসার অনুভূতি ও কিছু ফটোগ্রাফি"

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ - ২৪ ই আশ্বিন ‌||১৪২৯ বঙ্গাব্দ||সোমবার

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর ফাউন্ডার , এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



20221010_074131.jpg

ফটোগ্রাফার: @aongkon
ডিভাইস: samsung j7 pro
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: পদ্মা নদী, দৌলতদিয়া
তারিখ: ২৪ ই আশ্বিন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।

আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। পূজার ছুটি শেষে আমি আজকে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে ঢাকাতে এসেছি। গ্রাম ছেড়ে ঢাকাতে আসা আসলে খুবই কষ্টকর। গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ যেন ইট পাথরের এই ঢাকাতে আসতে বাধা প্রদান করে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় খুবই খারাপ লাগছিল যেটা আসলে বলে বোঝানো সম্ভব না। নিজের মনের বিপরীতে কাজ করাটা আসলেই অনেক কষ্টের। কিন্তু পড়ালেখার কারণে ঢাকা শহরে আসতেই হবে সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এবং মনকেও সেভাবে তৈরি করে নিতে হবে।
আজকে খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় আমি ও বন্ধু রাহুল। গতকালকেই রাহুলের সাথে কথা বলে রেখেছিলাম যে দুইজন একসাথে বাইক নিয়ে খুব সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিব। তাই আজকে সকাল দুই বন্ধু সাড়ে ছয়টার দিকে বাড়ি থেকে বের হই।



20221010_062326.jpg

গ্রামের পথ দিয়ে বাইকে করে দুই বন্ধু।

20221010_062120.jpg

20221010_062342.jpg

ফটোগ্রাফার: @aongkon
ডিভাইস: samsung j7 pro
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: মাচপাড়া , পাংশা
তারিখ: ২৪ ই আশ্বিন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।

ধানের মাঠের পাশে সকালের সূর্য, অপরূপ সৌন্দর্যৈ আমাকে মোহিত করছিলো।



20221010_063116.jpg

ফটোগ্রাফার: @aongkon
ডিভাইস: samsung j7 pro
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: পাংশা , রাজবাড়ী।
তারিখ: ২৪ ই আশ্বিন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।

সকালে পাংশা থেকে বিশ্বরোডে বাইক নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে।



20221010_081902.jpg

ফটোগ্রাফার: @aongkon
ডিভাইস: samsung j7 pro
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, রাজবাড়ী।
তারিখ: ২৪ ই আশ্বিন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পদ্মা নদীর সৌন্দর্য খুবই সুন্দর লাগছিল। আজকে আকাশের পরিবেশটা খুবই সুন্দর ছিল নদী এবং আকাশের ভিতরে যেন অন্যরকম একটা মিতালী দেখা যাচ্ছিল। ফেরিঘাটে অবশ্য আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে অতিরিক্ত সকালে যাওয়ার কারণে। ফেরিঘাট পর্যন্ত আসতে আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র দেড় ঘন্টা সময় লেগেছিল। যদিও এখন যানবাহনের চাপ কম তাই ফেরি ভরতে অনেক সময় লাগে।



20221010_083721.jpg

ফটোগ্রাফার: @aongkon
ডিভাইস: samsung j7 pro
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: পাটুরিয়া , মানিকগঞ্জ
*তারিখ: ২৪ ই আশ্বিন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।

ফেরিতে পদ্মা নদী পাড় দিয়ে পাটুরিয়া মানিকগঞ্জ রোডে বাইক নিয়ে। পদ্মা নদী পার দিয়ে পাটুরিয়া মানিকগঞ্জের ভেতর গেলেই যেন মনে হয় ঢাকাতে চলে এসেছি আর তখনই মনটা খারাপ হয়ে যায়।



20221010_100452.jpg

ফটোগ্রাফার: @aongkon
ডিভাইস: samsung j7 pro
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: গাবতলী, ঢাকা
তারিখ: ২৪ ই আশ্বিন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।

যানজটের ঢাকা শহরে সকাল বিকাল রাত সবসময় যেন যানবাহনের ভিড় লেগেই থাকে। সারা পথ আসতে যে না কষ্ট হয়, ঢাকার ভিতরে এসে অল্প পথেই তার থেকে বেশি কষ্ট ভোগ করতে হয়। যেমন ধুলাবালি তেমন যানজট। দীর্ঘ চার ঘন্টা জার্নি করার পরে সাড়ে দশটার দিকে আমরা ঢাকার বাসায় আসলাম।

গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ ছেড়ে ধুলোবালি যানজটে ঢাকা শহরে আসতে আমার কাছে খুবই কষ্ট লাগে। যদিও দুই বন্ধু একসাথে বাইক নিয়ে আসতে একটু কষ্ট কম হয়েছে। ঢাকাতে আসার পর খুবই খারাপ লাগছে নিজের কাছে নিজের পরিবার এবং পাড়া-প্রতিবেশী ও বন্ধুদের খুবই মিস করছি। জানিনা আবার কবে বাড়ি যাব। তবে ইট পাথরের কৃত্রিম ঢাকা ছেড়ে প্রকৃতির ছোঁয়া গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য মনটা অধীর অপেক্ষায় বসে থাকবে।



প্রিয় বন্ধুরা,
আজকে এ পর্যন্তই আপনাদের সাথে বাড়ি থেকে ইট-পাথরের এই ঢাকায় আসার অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 2 years ago 

যদি আরেকটু সকালে বের হতে পারতেন তাহলে আরো একটু মজা করতে পারতেন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় রোদ্দুর উঠে গেছে ।আর এখন যে প্রচণ্ড গরম পড়ছে এই রোদ্রে খুব বেজায় অবস্থা হয়ে যাবে। লেখাপড়ার তাগিদে শহরে তো থাকতেই হবে বাড়ির মায়া করলে তো আর লেখাপড়া চলবে না। আর একটা কথা ঠিকই বলেছেন গ্রামের অপর ূপ সৌন্দর্য ঢাকা গেলে তো আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এভাবে বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে ঢাকা যাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম যা ভাষায় বলে প্রকাশ করা যাবে না। সামনের মিড ট্রাম এক্সাম শেষ করে আবার বাসায় চলে আসুন অনেক মজা করব একসাথে।

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাই দুই বন্ধু একসাথে আসতে অনেক ভালো লাগে। তবে বাড়ি ছেড়ে আসতে খুবই খারাপ লাগে। মিড টার্ম পরীক্ষা দিয়ে আবার যাওয়ার জন্য মন ছটফট করবে জানি। বাড়ি যায় আপনাদের সাথে আবার অনেক মজা করব। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আমাকে ধন্যবাদ ভাই।

 2 years ago 

আসলে ভাইয়া গ্রামের পরিবেশ সত্যিই ভোলার নয়। কিন্তু তাও ইচ্ছে না থাকলেও যার যার কর্মস্থলের কারণে শহরের ইট পাথরে ঘেরা জীবনে ফিরে যেতে হয়। আর তখন কিন্তু বেশ কষ্ট হয়। কিন্তু যেতে যেতে আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। ফেরিতে ওঠার কথা শুনে খুবই ভালো লাগলো। কারণ আর কখনো এভাবে উপভোগ করার সুযোগ পাইনি। দীর্ঘ চার ঘন্টা পর জার্নি করে অবশেষে ঢাকায় পৌছালেন ভালো লাগলো।

 2 years ago 

আসলে আমরা গ্রামে থাকতে গ্রামের মর্ম খুব একটা বুঝি না যখনি শহরের দিকে ধাবিত হয় তখন এই গ্রামের মর্ম আরও বেশি করে বুঝতে পারি।আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

ঢাকার যেই পরিবেশ, যানজট, পানি সমস্যা, গ্যাস সমস্যা এতে করে গ্রামে গেলে সত্যিই কারোরই আসতে ইচ্ছা করার কথা না। আপনার ক্ষেত্রেও তেমনটি হয়েছে। আপনি এবং বন্ধু রাহুল গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকা আসার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা পড়ে আমার খুবই ভাল লেগেছে। আপনারা বাইকে করে ঢাকায় এসেছেন। যদিও বাইকে আসাটা রিস্কি কিন্তু আপনাদের ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে খুবই আনন্দ এবং উপভোগ করেছেন। ছবিগুলো চমৎকার তুলেছেন। ঢাকা আসার পর মন খারাপ হওয়ারই কথা, যেরকম যানজট ঢাকার মধ্যে লেগে থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাই ঢাকার সমস্যার যেন আর শেষ নেই। আর এত সমস্যার শহরে থাকতে কারোরই মন চায় না, সবারই মনের বিরুদ্ধে ঢাকাতে থাকতে হয়। বর্তমানে মোটরসাইকেলে কোথাও যাওয়া মানেই রিস্ক। তবে খুব সফলভাবে ঢাকাতে পৌঁছাতে পেরে আমরা খুশি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ গাছপালা সৌন্দর্য যেন শহরের ইট পাথরের ধারে আসতে বাধা সৃষ্টি করে। আপনার মত আমারও শহর থেকে গ্রামে বেশ ভালো লাগে। যতদিন আমি গ্রামে থাকি ততদিন আমি বেশ উপভোগ করে গ্রামের পরিবেশ। আপনি পদ্মা নদীর খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আকাশের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লাগছে। ঢাকা শহরের সে যানজট আর নতুন কিছু না 😖।

 2 years ago 

গ্রামের প্রকৃতি শহরে আসতে সত্যি বাঁধা প্রদান করে। শহরকে তো আমি একদমই ডিসলাইক করি। আজকের আকাশের পরিবেশটা খুবই মনোমুগ্ধকর ছিল। শহর মানেই ভোগান্তি। আমার বাংলা ব্লগ আপনার ব্লগিং জার্নি শুভ হোক।

 2 years ago 

আসলে ভাইয়া মোটরসাইকেলে করে ঢাকা যাবার মধ্যে অন্য রকমের একটা অনুভূতি কাজ করে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে যদি মোটরসাইকেলে ঢাকা যেতে হয় অবশ্যই একটু সকাল করে বের হতে হবে। না হলে পড়ে যেতে হবে মহা জ্যাম এর মধ্যে। কি আর করা যাবে বলেন ভাইয়া লেখাপড়ার করতে হলে অবশ্যই সকল মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হবে শহরের দিকে।

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাই আমরা খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠে মোটরসাইকেলে করে ঢাকাতে এসেছি। আসলে সারা পথে জ্যাম পোহাতে হয়নি ঢাকা শহরের ভিতরে ঢুকে একটু জ্যাম পোহাতে হয়েছিল তাই খুব বিরক্তি লাগছিল। মোটরসাইকেলে করে আসার একটা আলাদা অনুভূতি আছে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন পড়ালেখার তাগিদে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে শহরে পাড়ি জমাতে হয়। যখন গ্রাম ছেড়ে শহরের আসতে হয় তখন আসলেই অনেক কষ্ট হয়। তারপরও তো আপনি একজন সাথী পেয়েছেন রাহুল যার সাথে বাইকে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বাইক চালিয়ে ঢাকা আসাটা একটু রিস্ক হয়ে যায় না? আপনারা পাটুরিয়া ফেরিঘাট হয়ে পদ্মা নদী পার হয়ে তারপর মানিকগঞ্জ হয়ে ঢাকায় এসেছেন আগে আমরাও ফেরি পারাপার হয়ে ঢাকায় আসতাম এখন পদ্মা ব্রিজ হওয়ার কারণে ওদিকে আর যাওয়া হয় না। ঠিকই বলেছেন গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ ছেড়ে ইট কাঠের শহরে আর ভালো লাগেনা তারপরও মানুষের আসতেই হয়।

 2 years ago 

পড়াশোনাটা আসলেই সত্যি কষ্টের কিন্তু এর ভেতর যদি আনন্দ খুঁজে নেওয়া যায় তাহলে কষ্টটা একটু কম হয়। হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন বাইকে করে আসাটা একটু রিস্ক হয়। তবে দুই বন্ধু একসাথে গল্প করতে করতে খুব সহজেই আমরা ঢাকাতে পৌঁছে গিয়েছিলাম। ঢাকা আমাদের রাজধানী তাই কোনো না কোনো কারণে আমাদের ঢাকা আসতেই হয়। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আসলে গ্রামের পরিবেশ অনেক স্বচ্ছ এবং সুন্দর। এখানে মনের মতো করে চলাফেরা করা যায়। গ্রামের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন,সহানুভূতি,ভালোবাসা সবকিছু খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু শহরের পরিবেশে এমন কিছু পাওয়া যায় না সবাই ব্যস্ত সময় পার করে যার যার মত। আমিও কিছুদিন আগে গ্রামে গিয়েছিলাম সেখানে অনেক আনন্দ করলাম সবাই মিলে। একসাথে ঘোরাঘুরি করেছি অনেক ভাল লেগেছে। আপনি তো অনেক সকালে রওনা দিছেন তাই সূর্য উদয়ের মুহূর্তে প্রকৃতির ছবি শেয়ার করেছেন। দুই বন্ধু মিলে তো অনেক আনন্দ করে গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে পাড়ি দিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

গ্রামের প্রকৃতি যেন আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। গ্রামের লোকজন যেন একে অপরকে সাহায্যর জন্য সবসময় হাত বাড়িয়ে থাকে। অসাধারণ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59305.10
ETH 2602.12
USDT 1.00
SBD 2.44