"ভ্রমণ:- সিলেটের বিছনাকান্দি পৌঁছালাম"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৪ শে আগস্ট, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা মেঘালয় পাহাড়ের খুব কাছের একটি মাটির রাস্তা দিয়ে বিছনাকান্দির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। আমরা যতই বিছনাকান্দির দিকে অগ্রসর ছিলাম ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম। কারণ যাওয়ার পথে সৌন্দর্যই যদি এত সুন্দর হয় তাহলে না জানি সেখানকার সৌন্দর্য কতটা চমৎকার হবে। আমরা যাওয়ার পথে যে সব দৃশ্য দেখেছিলাম সেগুলো সত্যি বলতে স্বর্গীয় দৃশ্যে থেকে কম নয়।
এই ছবিগুলো আমি যদি কষ্ট করে না তুলে রাখতাম আপনাদের দেখাতে পারতাম না। এই ছবিগুলো তুলতে আমার ভীষণ পরীক্ষা দিতে হয়েছে। কারণ বাইকের পেছনে বসে অ্যাঙ্গেল এবং ফোকাস ঠিক রেখে ফটোগ্রাফি করা সহজ কথা নয়। আমি আজকের ভ্রমণ পোস্টে যে, কয়টি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি তার প্রথম দিকের তিনটি ছবি চলন্ত বাইকের পেছন থেকে তোলা।
আমরা যে রাস্তা দিয়ে বিছনাকান্দি পর্যটন কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম সেটা খুব ভাল ছিলো। কিন্তু আস্তে আস্তে যতই বিছনাকান্দির দিকে অগ্রসর হছিলাম ততই খারাপ রাস্তা সম্মুখীন হচ্ছিলাম। তবে আমাদের এই ভ্রমণটা সত্যিই অ্যাডভেঞ্চার ছিলো। আর আমি আর আমার বন্ধু রাহুল অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ বলেই এই ভ্রমণটা আমাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।
আমরা বিছনাকান্দির উদ্দেশ্যে আসার সময় স্থানীয় লোকদের অনেক সাহায্য নিয়েছিলাম। কারণ আমরা সম্পূর্ণ পথটা এসেছিলাম তাদের কথার উপরেই নির্ভর করে। এ সকল সুন্দর মানুষগুলোর কথা আমাদের মনে থাকবে। সত্যি বলতে বিপদের সময়ে এদের উপকার আমাদের অনেক হেল্প করেছিলো। যদি আমরা তাদের হেল্প না পেতাম তাহলে হয়তো আমাদেরকে ফেরত যেতে হতো।
অবশেষে অনেক কষ্টের পরে আমরা বিছনাকান্দি এসে পৌছালাম। আমরা যখন বিছনাকান্দিতে পৌঁছালাম তখন ঘড়ির কাটায় ঠিক সাড়ে দশটা বাজে। প্রায় দুই ঘন্টা বাইক জার্নি শেষে বিছনাকান্দি আসতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিলো। কারন আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছিলাম।
আমরা বিছনাকান্দি পর্যটন কেন্দ্রের পাশেই আমাদের বাইকটি রেখে আমরা সেখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে বেরিয়ে পড়ি। তবে আপনারা যারা এখানে ভ্রমণে যাবেন যদি বাইক নিয়ে গিয়ে থাকেন তাহলে বাইক রাখার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
আমরা নিরাপদ স্থানে বাইক রেখে বিছনাকান্দির মেইন স্পটের দিকে হেঁটে হেঁটে আগাতে থাকলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে বিছনাকান্দি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: বিছনাকান্দি, সিলেট
তারিখ: ৩ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
আপনার ব্লগটি বেশ ভালো হয়েছে। যারা বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন কিংবা পর্যটনে যেতে ভালোবাসে তারা নিঃসন্দেহে অন্য সবার থেকে বাস্তবিক ও প্রকৃতিসিদ্ধ জ্ঞান লাভ করে। আপনি এ বিষয়টিতে এগিয়ে রয়েছেন।
বিছানাকান্দি, আর সিলেট এমনিতেই সৌন্দর্যের দিক থেকে অতুলনীয় । কিছু স্থান দুর্গম, আর তাছাড়া বাইকের পেছন থেকে চলন্ত অবস্থায় ফটোগুলো বেশ স্থির ও ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ, আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। এগিয়ে যান সামনের দিকে, বহুদূর।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট দেখে সত্যি খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আর ভ্রমণ আমাদের জন্য খুবই ভালো। কেননা এটা আমাদের অনেকটা শান্তি দিয়ে থাকে। আপনারা দেখছি বাইকে করে ভ্রমণ করেছেন। আমার কাছে সবচাইতে বেস্ট ভ্রমণ হচ্ছে বাইকে। আর আপনারা যে বিছানাকান্দির উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিলেন সে পথ আপনাদের সঠিক চেনা ছিল না। তবে অনেক মানুষের সহযোগিতায় তাদের কথাই নির্ভর করে আপনারা ঠিক একসময় এখানে পৌঁছালেন। মাঝপথে আপনারা এর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন এবং নির্দিষ্ট স্থানের সৌন্দর্য তো আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে আমার অনেক ভালো লাগছে। সত্যিই প্রকৃতির কিছু অপরূপ সৌন্দর্য আমাদেরকে মুগ্ধ করে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সিলেটের বিছনাকান্দি জায়গাটা খুবই সুুন্দর। বিভিন্ন মানুষের ফটোগ্রাফিতে দেখতে পায়। তবে সরাসরি গিয়ে এখনো দেখা হলো না। আপনি তো সিলেটের বিভিন্ন জাগায় ঘুরেছেন। আজকের ছবি ও অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
সিলেটের অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে যা আমরা অনেকেই দেখে থাকি৷ তবে আমি এখনো সিলেটে যেতে পারিনি৷ তবে আপনাদের মাধ্যমে সিলেটের সুন্দর সুন্দর জায়গা গুলো দেখতে পাচ্ছি৷ আজকে আপনি সিলেটের বিছানাকান্দি জায়গার খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷ পরবর্তী আরো নতুন কিছু মুহূর্ত দেখার আশায় রইলাম৷