"বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজার ভ্রমণ-২য় পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১২ই জানুয়ারি, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ভ্রমণবিলাসী একজন মানুষ সবসময় ভ্রমন করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে কোন জায়গায় ভ্রমন করার মাঝে আলাদা একটি আনন্দ খুঁজে পায়। আমার ইচ্ছার রয়েছে এ জীবনে যতটা দিন বেঁচে থাকব ততদিন ভ্রমন করে যাবো। আমার কাছে মনে হয় সমগ্র মানব জীবনেই ভ্রমণ। গত বছরে এর আগের বার যখন আমি বাড়িতে এসেছিলাম তখন বাউল সম্রাট লালন সাঁইজির মাজারে আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য বেড়াতে গিয়েছিলাম। এর আগে আমি একটি পোস্টে বাউল সম্রাট ফকির লালনের সাঁইজির মাজার ভ্রমণ-১ম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম । আর আজকে বাউল সম্রাট ফকির লালনের সাঁইজির মাজার ভ্রমণ-২য় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমরা যেহেতু সন্ধ্যার পরে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজের মাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম তাই আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় ছিলো। আর এই কারণেই আমরা সব জায়গাতেই ধীরে সুস্থে ঘুরে দেখতেছিলাম। যদিও এখানকার সবকিছুই আমার দেখা তারপরেও এখানকার সৌন্দর্য দেখতে সব সময় নতুন লাগে আমার কাছে। আমি যতবারই জায়গাটিতে আসি ততবারই মনে হয় এই জায়গাটি আমি নতুন করে আবার দেখছি। আসলে সত্যি বলতে এই জায়গাটির প্রতি অধিক ভালবাসার কারণেই এমনটি হয়। বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজার আমাদের কুষ্টিয়াতে সত্যি এটা ভাবতে গর্ববোধ হয়।
বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির গান নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দেশে গবেষণা করা হয়। এরকম দেহতত্ব আধ্যাত্মিক গান এর আগে দ্বিতীয় কেউ লেখেননি। যারা লালন সাঁইজির গান বোঝেন তারাও লালন সাঁইজির গানের অর্থ খুঁজতে হিমশিম খেয়ে যায়। আমি বিশেষ করে ফকির লালন সাঁইজির এই দেহতত্ত্ব গানগুলো অনেক বেশি পছন্দ করি। আর তাই আমি সবার মাঝে এই গানগুলো সব সময় উপস্থাপনের চেষ্টা করি। বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজের প্রতিকৃতিতে এই ফলক তৈরি করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজের কোন ছবি বা ফটো পাওয়া যায়নি। আমি বা আপনারা যা দেখি সব তার প্রতিকৃতিতে তৈরি। মনে করা হয় বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির চেহারা এরকম টাইপেরই ছিলো। আমরা চারপাশে ঘোরাফেরার পরে অডিটোরিয়ামের দিকে যায় সেখানে গিয়ে দেখি লোকজন জড়ো হয়ে সবাই গান শুনছে। বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে এসেছি আর লালন গীতি না শুনলে কি আর হয়! আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য দুজন মিলে এই গান শোনার লোকের দলে যোগ দিলাম। এখানে অল্প বয়সে একটি কিশোরী মেয়ে বেশ সুন্দর একটি লালনগীতি গান পরিবেশন করলো শুনে সত্যিই মনটা ভরে গেল।
একটা গান শেষ হওয়ার পরে কিছু সময় অপেক্ষা করলাম যে, যদি আর কেউ গান গায় তাহলে কিছু সময় গান শুনবো। তারপর একটু পরেই আরো একটি ভাই আসে সুন্দর একটি লালন গীতি গান সবার মাঝে পরিবেশন করলেন। এই ভাইয়ের লালন গীতি গান শুনে আমি তো রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে এই জায়গাটিতে আমারও এভাবে গান গাওয়ার খুব ইচ্ছা করছিলো। আমি গান গাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে হয়তো গান গাইতে পারতাম কিন্তু একটু একটু ভয় লাগছিলো। আর আমার সাথে যদি আরো দুই একজন থাকতো তাহলে অবশ্যই গান গাইতাম।
আমরা এই ভাইয়ার গানটি শোনার পরেই মাজারের ভেতর থেকে এ বাইরের দিকে চলে আসি। সত্যি বলতে আজকে মাজারে এসে যে, এরকম সুন্দর সুন্দর গান শুনবো কখনোই কল্পনা করিনি। বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারের বাইরের দোকানগুলোতে এসে দেখলাম ক্রেতারা বাইক থামিয়ে বিভিন্ন কিছু কেনাকাটা করছে। আমরা যেহেতু কিছু কিনব না তাই আর কি দোকানগুলোতে গিয়েছিলাম না। তবে এসব দোকানের জিনিসপত্র গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে আমার কাছে।
তারপর একটু আগাতেই দেখি একটি চটপটির দোকান। তারপর আমি আমার ভাই অর্ঘ্যকে বললাম যে তাহলে আসো দুজন মিলে চটপটি খাই। তারপর দুই ভাই মিলে চটপটি খেলাম সত্যিই অনেক সুন্দর সাধের ছিলো চটপটি। আমার কাছে ফুচকা বা অন্য কিছু থেকে টপটি টা বেশি ভালো লাগে। আমরা চটপটি খাওয়া দাওয়া শেষ করে সামনে কালী নদীর পাড়ের দিকে এগোতে থাকলাম। তারপর...
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য কোনো দিন "বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজার ভ্রমণ- ৩য় পর্ব নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
|---|---|
| ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
| তারিখ | ৩ রা নভেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ |
| লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
