"আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল ম্যাচের রিভিউ"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৩শে নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের সাউথ আমেরিকান আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল ম্যাচের রিভিউ শেয়ার করবো। আজকে ফুটবলের চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের খেলা তাই এই ম্যাচটি অনেক জমজমাট হবে আগে থেকেই জানতাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে লিলেন মেসির ভক্ত তাই আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে সাপোর্ট করি। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের এই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে ব্রাজিলের মারকানা স্টুডিয়ামে। এই স্টুডিয়ামে আর্জেন্টিনা দল ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছিলো। গত বিশ্বকাপের আগে বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ব্রাজিলের মারকানা স্টুডিয়ামে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের একটি ম্যাচ বাতিল হয়েছিলো। ব্রাজিল বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে নিজেদের মাঠে আজ পর্যন্ত কখনোই হারেনি। এই সমীকরণটা ব্রাজিলের জন্য বেশ ভালো ছিলো। কিন্তু আর্জেন্টিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল এখন তাদেরকে প্রতিহত করাটা অতটা সহজ হবে না।
আর্জেন্টিনার প্লেয়ার লাইনআপটা খুবই দুর্দান্ত ছিল। আর্জেন্টিনার ম্যানেজার চার-চার-দুই ফর্মেশনে পেলেয়ার সাজিয়ে ছিলেন। বর্তমানে এই ফরমেশনটা ব্যবহার করে বেশ সাফল্য পাচ্ছে। আর্জেন্টিনার মাঠে শক্তিশালী একাদশ ছিলো এবং বেঞ্চও দুর্দান্ত শক্তিশালী ছিলো। একটি দলে লিওনেল মেসির মতো একজন বিশ্ব তারকা থাকা মানে সেই দল কতটা উজ্জীবিত একবার ভেবে দেখুন। যদিও গত ম্যাচটাতে উরুগুয়ের কাছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে প্রথম হেরেছে তার পরেও এই দলটা দেশ শক্তিশালী। আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব ছিলেন লিওলেন মেসি।
আর্জেন্টিনার মতো ব্রাজিলের লাইনআপ ও বেশ ভালোই ছিলো। তবে ব্রাজিলের নেইমার আর ভেনিসিয়াস জুনিয়র না থাকার কারণে দলটা একটু কম শক্তিশালী ছিলো। তবে তরুণ খেলোয়াড় দিয়ে দলটা ভরা ছিলো। ব্রাজিলের ম্যানেজার চার-দুই-তিন-এক ফরমেশনে প্লেয়ার সাজিয়েছিলেন। ব্রাজিলের খেলার বর্তমান অবস্থা খুব ভালো না। বরাবরের মতো মার্কুইহোস ব্রাজিলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
কত কালকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের ম্যাচটি দেখতে গিয়ে দেখি প্রচুর পরিমাণে দুই দলের সমর্থক আর পুলিশের ভিতর সংঘর্ষ চলছে। এরকম বাজে জনক দৃশ্য অবশ্য ফুটবলে খুবই কম দেখেছি। আমি দেখলাম যে ব্রাজিলের পুলিশ আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উপর বেশ চড়াও হয়েছে। আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উপর এরকম চড়াওহা দেখে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি তার দল নিয়ে সমর্থকদের কাছে এগিয়ে যায়।
তারপর অবস্থা আরো বেশি খারাপ দেখলে সিকিউরিটি টিম আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে লকারে নিয়ে যায়। এরকম দৃশ্য দেখে ভেবেছিলাম আজকে হয়তো আর খেলাই হবে না। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এমন দৃশ্য দেখার পরে আসলে মনটাই খারাপ হয়ে গেছিলো।
তারপর এই ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার কর্মকর্তা আর রেফারিরা নিজেদের ভিতরে কথা বলে ম্যাচটি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর আর্জেন্টিনা জাতীয় দল লকার থেকে এসে আবার ওয়াম আপ করতে থাকে।
মূল খেলার রিভিউ
আজকের ম্যাচে রেফারি বাঁশিতে ফু দেয়ার পরেই চির প্রতিদ্বন্দ্বি দুই দলের খেলা শুরু হয়। প্রথম থেকে জানতাম যে, আজকের ম্যাচটা বেশ জমজমাট হবে। কারণ এত কিছু হওয়ার পরে আর্জেন্টিনা চাইবে যে তাদের সেরাটা দিতে। দুই দলই প্রথম থেকে বেশ ভালো খেলতে থাকে।
তবে প্রথম থেকেই শুরু হয়ে যায় ফাউলের মহড়া। আসলে বড় ম্যাচগুলোতে এরকম বাউল খেলা দেখতে আমার মোটেই ভালো লাগেনা। পরিষ্কার পাচিং খেলা হবে সেটা আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লাগে। যে খেলায় অতিরিক্ত ফাউল হয় সে খেলা রেফারির পরিচালনা করতেও অনেক বেশি কষ্ট হয়। তবে শুরু থেকে খেলাতে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিলো।
ব্রাজিলের পুরো টিম ছিল তরুণে ভরা। আর আর্জেন্টিনা দলের বেশিরভাগ সদস্যই ছিলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তরুণে ভরা ব্রাজিলের এই দলটি আর্জেন্টিনা কে বেশ চাপেই রেখেছিলো প্রথমার্ধ পর্যন্ত। আর্জেন্টিনা ও চেষ্টা করছিল তাদের সেরাটা দিতে। এভাবেই প্রথমার্ধ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র থাকে।
হাফ টাইমে আর্জেন্টিনা ০-০ ব্রাজিল ।
হাফ টাইম শেষে আবার রেফারির বাঁশিতে ফু দেওয়ার মাধ্যমে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম থেকেই আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে প্রথমার্ধের থেকে একটু বেশিই উজ্জীবিত দেখাচ্ছিলো। তবে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি আজকে খুব একটা ফর্মে ছিল না। কারণ কিছুদিন আগে চোট থেকে জাতীয় দলে ফিরেছে।
দ্বিতীয় আর দের খেলার ২০ মিনিটের ভেতরেই আর্জেন্টিনার লো সেলসোর কর্নার কিক থেকে হিট দিয়ে ব্রাজিলের জালে বল জড়ান আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি। এই গোলটা হওয়ার পরে বেশ ভালো লাগছিলো নিজের কাছে।
আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের এই ম্যাচের অধিকাংশ সময়েই ফাউল হচ্ছিলো। আজকের ম্যাচে আর্জেন্টিনা তুলনায় ব্রাজিল অনেক বেশি ফাউল করেছে। আজকে ব্রাজিলের তিনজন খেলোয়াড় হলুদ কার্ড পেয়েছে ফাউল করার জন্য আর একজন খেলোয়াড় একাআশি মিনিটের সময় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছে।
তারপর আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের এই ম্যাচে নির্ধারিত টাইমের খেলা শেষ হওয়ার পরে আর্জেন্টিনা এক শুন্য গোলে জয়লাভ করে। এই জয়টা আর্জেন্টিনার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। আর্জেন্টিনা দল বিশ্বকাপের সাউথ আমেরিকান কোয়ালিফায়ারের গ্রুপ পর্বের এক নাম্বারে আছে। আর ব্রাজিল দল আজকে হরের পরে ছয় নাম্বারে আছে।
আমি নিতান্তই একজন খেলা প্রেমী মানুষ। ফুটবল খেলা খুবই পছন্দের একটি খেলা আমার। ফুটবল খেলতে এবং খেলা দেখতে খুবই পছন্দ করি। এই ম্যাচটি অতিরিক্ত ফাউলের কারণে খুব একটা ভালো লাগে নাই আমার কাছে। তবে আমি মনে করি এই ম্যাচটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছ। আমি আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক হিসেবে সব সময় চাচ্ছিলাম যে, আর্জেন্টিনার ম্যাচটাতে ব্রাজিলের সাথে জয়লাভ করুক। আজকে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল এই ম্যাচটায় জয়লাভ করাতে আমি অনেক খুশি।
পোস্টের ছবির বিবরন
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
|---|---|
| স্ক্রিনশট সোর্স | sportv |
| ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
| তারিখ | ২২ শে নভেম্বর |
| লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
গতকালকের আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল এর খেলাটি আমিও প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ সুন্দরভাবে উপভোগ করেছিলাম। খেলা শুরুর প্রথমেই দর্শকের মধ্যে মারামারি বেধেছিল। আর্জেন্টিনা দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় গ্যালারিতে প্রবেশ করেছিল মারামারি ঠেকানোর জন্য। অবশেষে আর্জেন্টিনা দল এক শূন্য গোলে জয় লাভ করেছিল গোলটি করেছিল আর্জেন্টিনা দলের ডিফেন্ডার আতামেন্ডি । খেলা শেষে হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই ব্রাজিল দলের একজন খেলোয়াড় লাল কার্ড খেয়ে মাঠ ছাড়ে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তাহলে তো ভাই এই খেলা বেশ উপভোগ করেছেন আপনি। আমার পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সেদিনের ম্যাচটা আমার দেখা হয়নি।পরে রিভিউ দেখেছিলাম।শুরুতে খুব ফাউল খেলা হচ্ছিলো যা খেলার পরিবেশ নষ্ট করছিলো।তবে শেষমেস আরজেন্টাইন জিতেছে ভাল লেগেছে দারুন রিভিউ দিয়েছেন।
আসলেই ভাই সেদিনই খেলাটা দেখে একদমই মজা পায় নাই তবে জিততে পেরেছিলাম এটাই অনেক। কারন সেদিনের খেলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাউল হচ্ছিলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য।
সেদিন আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের ম্যাচটি আমার দেখা হয়নি তবে কিছু অংশ দেখেছিলাম। যেহেতু আর্জেন্টিনার সাপোর্টার আমি তাই আর্জেন্টিনা জিতে যাওয়াই খুব ভালো লেগেছে।আজ আবারও আপনার রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।
বাহ্ আপনিও আর্জেন্টিনার সাপোর্টার জেনে ভালো লাগলো আপু। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ নিয়েছে তাই আর্জেন্টিনার সাপোর্টাররা সবাই ফুরফুরে মেজাজি আছে। যাইহোক আমিও আর্জেন্টিনার সাপোর্টার সেদিন খেলায় জিততে পেরে বেশ ভালো লাগছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।