"পাংশা আদি মহাশ্মশানে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান"

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ১৪ ই মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



**আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কিছুদিন আগে মিড ট্রাম পরীক্ষা শেষ করে ঢাকা থেকে বাড়িতে গিয়েছিলাম। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। যান্ত্রিক এই ঢাকা শহরে সত্যি আমার একদমই মন বসে না তাই তো সুযোগ পেলেই ছুটে যায় গ্রামের বাড়িতে গ্রামীণ প্রকৃতিতে। আমি গ্রামে থাকি বা ঢাকা থাকি যেখানেই থাকি না কেন সবসময় চেষ্টা করি আমাদের সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করার। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তার আরাধনা করার জন্য তাইতো সময় পেলেই সৃষ্টিকর্তার আরাধনা করে। আমি মনে করি প্রতিটি মানুষের তার নিজের নিজের স্বধর্ম পালন করা উচিত। এবারে বাড়িতে গিয়ে পাংশা আদি মহাশ্মশানের নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম সেখানকার সুন্দর মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আমি বাড়িতে যাওয়ার পরে জানতে পারলাম যে, পাংশা আদি মহাশ্মশানে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান চলছে। এই মহাশ্মশানে প্রতি বছর নয় দিন ধরে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান চলে। আমি এর আগে কখনো পাংশা আদি মহাশ্মশানের নাম যজ্ঞে অংশগ্রহণ করেনি তাই এবারে যেতে ইচ্ছা করছিল। আমাদের পাড়ার ইয়াং ছেলে পেলেদের একটা গ্রুপ আছে আশেপাশের এলাকাতে যেখানেই ধর্মীয় অনুষ্ঠান হোক না কেন আমরা অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করি।

যদিও এবারে পাড়া ইয়াং ছেলে পেলে কম ধাকায় একটা বাইক নিয়ে আমি, শ্যামল দা, আর ছোট ভাই অনিক গিয়েছিলাম পাংশা আদি মহাশ্মশান নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে। আমাদের বাড়ি থেকে পাংশা আদি মহাশ্মশানের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার মতো। বাইক নিয়ে আমাদের নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে যেতে সময় লেগেছিল ২০ মিনিট মত। আমাদের মোটরসাইকেলটি গ্যারেজে রেখে পাংশা আদি মহাশ্মশানের ভেতরে প্রবেশ করলাম। পাংশা আদি মহাশ্মশানের ভেতরে শ্রী শ্রী মা কালীর একটি মন্দির আছে।

শ্রী শ্রী মা কালী কে প্রণাম জানিয়ে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান শোনার জন্য কীর্তনের আসরে বসলাম। আমরা যেখানেই মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে যায় না কেন কীর্তনের আসরে বসে হরিনাম সংকীর্তন শোনার চেষ্টা করি। আমরা বিকালের দিকে গিয়েছিলাম তাই কীর্তনের আসরটা বেশ জমজমাট ছিল ভক্তবৃন্দর সমাগম দেখার মত ছিল। আমাদের আশেপাশের এলাকা গুলোর ভেতরে সবথেকে বড় মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান এই জায়গাটিতেই হয়। কারণ টানা নয় দিন ধরে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান হওয়াটা বিশাল ব্যাপার।

অনেক সময় কিতনের আসরে বসে হরিনাম সংকীর্তন শোনার পরে একটু বাইরে মেলায় ঘুরতে আসলাম। এখানকার মেলা ও দেখলাম বেশ জমজমাট বিভিন্ন মাটির জিনিসে দোকান সহ অনেক রকমের দোকান রয়েছে। আমরা কিছুটা সময় মেলার ভেতরে ঘোরাঘুরি করলাম সত্যি খেলার ভেতরে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে। এখানকার মেলায় মাটির জিনিসপত্রের দোকানগুলো আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। মাটির তৈরি জিনিস গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে।

পাংশা আদি মহাশ্মশানের মেলায় বেশ কিছু সময় ঘোরাফেরা করার পরে ভাবলাম যে, আনন্দবাজার থেকে প্রসাদ খেয়ে আসি। আনন্দবাজারে প্রসাদ খাইতে গিয়ে দেখি এখানে অনেক ভক্তবৃন্দ প্রসাদ খাওয়া দাওয়া করছে। আমরাও তাদের সাথে বসে খিচুড়ি আর তরকারি প্রসাদ খেলাম পেট ভরে। সত্যি বলতে এসব অনুষ্ঠানের প্রসাদ আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।

আনন্দবাজার থেকে প্রসাদ খাওয়া দাওয়া করে পাংশা আদি মহাশ্মশানের পাশ দিয়ে যে, রাস্তা গেছে ভাবলাম যে রাস্তা দিয়ে একটু ঘুরে আসি। কারণ খাওয়া দাওয়ার পর একটু হাঁটাহাঁটি করতে বেশ ভালই লাগে। কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করার পরে চায়ের দোকানে বসে সবাই মিলে চা খেলাম। গ্রামের মেলাগুলোতে চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়ার মজাই আলাদা।

তারপর আবার আমরা নাম যজ্ঞ কীর্তনের আসরে গিয়ে বসে বেশ কিছু সময় হরিনাম সংকীর্তন শুনলাম। তারপর যখন ঘড়ির কাঁটায় রাত দশটা বাজলো তখন আমরা পাংশা আদি মহাশ্মশান নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। মাঝেমধ্যে এরকম ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে নিজের মনের দিক দিয়ে অনেক শান্তি পাওয়া যায়। আমরা যে কাজই করি না কেন আমাদের সবসময় নিজের ধর্মের প্রতি বিশ্বাস রেখে ধর্ম পালন করে যেতে হবে।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ২৬ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 6 months ago 

পাংশা বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে বন্ধুদের কেলেজে। সেখানের এই গুলো বেশ ভালোই চরচা হয়।মহাশ্মশানের মহানাম যজ্ঞ অনুষ্টানে বেশ দারুন একটি সুন্দর মূহুর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝা যাচ্ছে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

আপনি বন্ধুদের সাথে পাংশা কলেজে বেশ কয়েকবার গিয়েছেন জেনি বেশ ভালো লাগলো। হ্যাঁ ভাই মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে সবাই মিলে গিয়ে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আপনাদের একটা অনুষ্ঠান সম্পর্কে বেশ অনেকটা ধারণা পেলাম ভাই। এমন অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমার কোন ধারণাই ছিল না। পাশাপাশি অনুষ্ঠান এদিকে মেলা খাওয়া-দাওয়ার বিষয় সব মিলে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। অজানা অনেক তথ্য খুঁজে পেয়েছি আপনার এই পোষ্টের মাঝে।

 5 months ago 

আমাদের বেশিরভাগ ধরবে অনুষ্ঠানগুলোতেই এরকম প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়। আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পর্কে অবগত হয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

জি দাদা নিজ নিজ ধর্ম টা পালন করা উচিত সবার ৷ যা হোক এমন নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান শুনতে আমরাও পাড়ার অনেকজন ছেলে মিলে গ্রুপ হয়ে নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান শুনতে যাই ৷ বেশ ভালই লাগে সবাই মিলে একসাথে যাওয়ার অনুভূতিটা৷
ভালো লাগলো নয় দিন ব্যাপী আমাদের এই দিকে সর্বোচ্চ তিন থেকে সাত দিন ৷ আসলে সকল সনাতন হিন্দু ধর্মলম্বিদের শ্রীকৃষ্ণ নাম শ্রবণ করা উচিত কারণ এই কলি যুগে মুক্তির পথ একটাই৷
অনেক ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সেই প্রসাদ খাওয়া ৷ তবে এসব অনুষ্ঠানের প্রসাদ অনেক স্বাদ হয়৷ সয়ং প্রভুর প্রসাদ বলে কথা ৷

 5 months ago (edited)

বাহ্ আপনারাও এরকম নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে ছেলেপেলে গ্রুপ ধরে যান সংকীর্তন শুনতে বেশ ভালো লাগলো। কলিযুগ থেকে উদ্ধার পেতে আমাদের সবারই হরিনাম সংকীর্তন করা উচিত।অনেক সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

গ্রামীন পরিবেশের মধ্যে ছুটে যেতে কার না ভালো লাগে।আসলেই এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলি আমাদের প্রশান্তি দেয়,আপনারা দারুণ সময় পার করেছেন মহাশ্মশানে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে।খিচুড়ি প্রসাদ খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ দাদা।

 5 months ago 

ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো সত্যি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর সেজন্যই বাড়িতে আসলে যেখানেই ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয় সেখানেই চলে যায়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58211.91
ETH 2476.26
USDT 1.00
SBD 2.38