ভ্রমণ: সুনামগঞ্জ "হাওর বিলাস" - ২য় পর্ব।

এমন অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা জায়গাতে এসে সবাই সুন্দর সময় অতিবাহিত করে। আমরা সকাল সাড়ে সাতটা দিকে গিয়েছিলাম তাই সকালের মিষ্টি রোদ পেয়েছিলাম হাওর বিলাসে। প্রতিবছর হাওরে যে, সময়ে হাওর জলে ভরা থাকে সেই সময়ে এখানকার সৌন্দর্য অনেক অনেক গুণ বেড়ে যায়। সবাই এখানে ট্রাভেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্যই আসে তাই সঠিক সময়ে যাওয়াটাই উত্তম।

"হাওর বিলাস" থেকে হাওরের ভিতরে বেশ কিছুটা দূরে আরও একটি জায়গায় সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য একটি গোল ঘর রয়েছে। ওই জায়গাটি দূর থেকে দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিলো। সুনামগঞ্জের হাওর গুলোর প্রস্থ আমাদের এলাকার নদীর থেকেও অনেক বড়। হাওরের এরকম মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে আসলে হৃদয় আনন্দে ভরে ওঠে।

আমার কাছে মনে হয় হাওড় অঞ্চলে ট্রাভেল করার জন্য জুলাই আগস্ট মাস বেশ ভালো। কারণ এ সময়টাতে হাওরে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। আর এখানকার হাওরের সৌন্দর্য হলো হাওরের সবুজ রঙিন জল। এই জায়গাটিতে বসে থাকার জন্য বেঞ্চ ও সৌন্দর্যের জন্য টবে করে গাছ লাগানো ছিলো।

এক কথায় বলতে গেলে ছবি উঠানোর জন্য একটি পারফেক্ট জায়গা। এই জায়গাটিতে যাওয়ার পরে সবাই তো যার যার মতো ছবি উঠতে আর তুলতে ব্যস্ত। আমি সবসময় ছবি উঠার থেকে ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আমার বন্ধু রাহুল ও ঠিক তাই নিজের ছবি উঠা থেকে ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করে। বন্ধু রাহুল আমার দাদা কাকনের ছবি তুলে দিতে ব্যস্ত রয়েছে।

আপনারা হয়তো বন্ধু রাহুলের ফটোগ্রাফি সম্পর্কে জানেন আমার বাংলা ব্লগের যে কয়জন ব্লগার রয়েছে তাদের ভেতরে আমার বন্ধুর রাহুল ফটোগ্রাফিতে বেশ উঁচু মানের। গতকালকেই তার একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট ফিচার আর্টিকেলে যুক্ত হয়েছে। কাকন দাদার ছবি উঠা দেখে ভাবলাম যে বন্ধুরা হলে দিয়ে আমিও একটি ছবি উঠে নিই। কারণ এই জায়গাটিতে তো আর বারবার আসতে পারবো না।

তারপর আমি ছবি উঠার পরে বন্ধু রাহুলের বললাম যে, এবারে তুই বেঞ্চে গিয়ে বস তোর কয়েকটি ছবি তুলে দিই। তারপর আমার বন্ধু রাহুল বেঞ্চে গিয়ে বসলো বেশ কয়েকটি ছবি তুলে দিয়েছিলাম অবশ্য এখন একটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আর বন্ধুরা রাহুল স্টাইলিশ ছবি তুলতে বেশ পারদর্শী। বন্ধুরা রাহুল ছবি উঠাতে যেমনটা এক্সপার্ট তেমনি ছবি উঠতেও এক্সপার্ট।

বন্ধু রাহুলের ছবি তোলার সময়ই আমার দাদা কনক এসে হাজির। তার ইচ্ছা হয়েছে এই জায়গাটিতে বসে কয়েকটি ছবি উঠার। আসলে এই জায়গাটিতে বসলে সকালের মিষ্টি রোদ মুখে এসে পড়ছিলো তাই ছবিগুলো বেশ দুর্দান্ত হচ্ছিলো। আর এখানকার সৌন্দর্যটা তো দেখতেই পাচ্ছেন কতটা সুন্দর মনোরম স্নিগ্ধ পরিবেশ। আমি আর আমার বন্ধু রাহুল মিলে আমার দাদা কনকের ও বেশ কয়েকটি ছবি তুলে দিলাম।

তারপর আরো অনেক সময় মিলে এই জায়গাটিতে ছবি উঠাতে আমরা ব্যস্ত ছিলাম। কারণ এত সকালে যে এই জায়গাটিতে আমরা চা বা কফির অর্ডার দিয়ে বসে খাব সেই উপায় ছিল না। কারণ এখানকার আশেপাশে কোন চা বা কফির দোকান নেই, এক হাওর বিলাসের আশেপাশে চা বা কফির দোকান থাকলে বেশ ভালো হতো।

তবে এই জায়গাটিতে আমরা যতো সময় ছিলাম বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। কারণ সকালে ঘুম থেকে উঠে ৫০ কিলোমিটার জার্নি করার পরে সুন্দর এই মনোরম স্থানে এসে সময় অতিবাহিত করতে বেশ ভালো লাগছিলো।

সুনামগঞ্জের "হাওর বিলাস" - ২য় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ারের মাধ্যমে সকল পর্বগুলো এখানেই শেষ করলাম। আবার পরবর্তীতে অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো।

প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।

VOTE@bangla.witness as witness