"সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে- ৩য় পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৬ শে নভেম্বর, রবিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমরা হাওরের পাড়ে অনেক সময় অপেক্ষা করার পর হাওরের ওপার হতে একটি যাত্রীবাহী নৌকা এপারে এসে পৌঁছায়। আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো নৌকা পাড়ি দিয়ে ওপারের পথে উঠে শিমুল বাগানের যাওয়ার। তারপর এই নৌকা থেকে সবযাত্রীরা নেমে যাওয়ার পরে আমরা বাইক নিয়ে নৌকাতে উঠি। যদিও বাইক নিয়ে এসব নৌকাতে উঠা একটু রিস্ক তারপরেও আমাদের কোন উপায় ছিল না। কারণ মাঝের এক কিলোমিটার রাস্তা মতো ডুবে গিয়েছিলো সেজন্যই আমাদের এই পথটুকু নৌকাতে পাড়ি দিতে হবে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমরা সবাই নৌকাতে ওঠার পরেই একটু আঘাতেই দেখি হাওরের ভেতরের একটি উঁচু জায়গাতে অর্থাৎ একটা সবুজ ঘাসে ভরা আইল্যান্ডে ছোট ছোট বাচ্চারা ফুটবল খেলাধুলা করছে। দূর থেকে তাদের খেলা দেখতে বেশ ভালই লাগছিল আমাদের। এই বাচ্চাদের খেলা দেখে আমাদের আমার নিজের শৈশবের কথা মনে পড়েছিলো। আমি নিজেও একজন খেলা প্রেমিক মানুষ এবং শৈশবে প্রচুর পরিমাণে খেলাধুলা করতাম। এখন বড় হয়েছি তাই মনে হয় শৈশবের দিনগুলো অনেক বেশি মধুর ছিল।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমার বন্ধু রাহুল ডিএসএলআর ক্যামেরার ব্যাগ কাঁধে করে ফুরফুরে মনে নৌকার সামনে দাঁড়িয়ে হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছে। এই ভ্রমণে আমি যতবারই ওর সাথে কোন নৌকাতে পাড়ি দিয়েছি ততো বাড়ই ও নৌকার ঠিক সামনের দিকে দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকে। বন্ধুর রাহুল বলে যে নৌকার সামনে এরকম থাকতে নাকি ওর অনেক ভালো লাগে। আসলে নৌকার সামনে থাকলে প্রচন্ড বাতাস পাওয়া যায় আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বেশ সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়। আর আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, আমার বন্ধু রাহুল একজন ভালো মানের ফটোগ্রাফার। বন্ধু রাহুলের ফটোগ্রাফি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে মাঝে মাঝেই ফিচারর্ড আর্টিকেল হয়।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
সুনামগঞ্জের হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবসময়ই আমার অনেক বেশি মুগ্ধ করে। সুনামগঞ্জের এসব হাওরের ভেতরে যারা বসবাস করে বর্ষাকালীন সময়ে তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উপায় থাকে মাছ ধরে বিক্রি করা। কারণ এইসব অঞ্চলে গ্রীষ্মের সময় একটি ফসল ব্যতীত সারা বছর আর কোন ফসল পাওয়া যায় না। তাই আমাদের অঞ্চলের মানুষের তুলনায় এদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করাটা অনেক কঠিন।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
হাওরের ভেতরের প্রতিটি বাড়ির চারদিকে থাকে শুধু জল আর জল। আর এইসব বাড়ি থেকে বের হয়ে কোথাও যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন হলো নৌকা। হাওরের ভেতরে প্রতিটি বাড়িতেই তাদের নিজস্ব নৌকা থাকে বিভিন্ন জায়গায় চলাচলের জন্য। কারণ এই জায়গাটিতে নৌকা ছাড়া যাওয়ার আর কোন পথ নেই। এখানে বাজার, হাসপাতাল অথবা স্কুলে যেতে হলে নৌকাতেই যেতে হয়। আমাদের মতো হাওরের মানুষের জীবনটা এতটা সহজ নয়।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
সুনামগঞ্জের এই হাওরের ভেতরের জলের পথটুকু নৌকাতে করে পাড়ি দিতে আমাদের প্রায় ২০ মিনিট মতো সময় লেগেছিলো। আর এই ২০ মিনিটেই সুনামগঞ্জের হাওরের সৌন্দর্য আর তাদের জীবন জীবিকা সম্পর্কে অনেক কিছুই ধারণা লাভ করতে পেরেছিলাম। আসলে জীবন যেখানে যেমন, সেখানে তেমনই মানিয়ে নিতে হয়।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমরা নৌকা থেকে একটি বাজারের পাশে নামার পর এখানকার স্থানীয় মানুষের কাছে শুনে নিলাম শিমুল বাগানে যাওয়ার উপায়। কারন আমরা এখানকার পথ কিছুই চিনি না, আর এইসব জায়গাতে সে সব সময় গুগল ম্যাপের উপর নির্ভর হলে পস্তাতেই হবে। কারণ গুগল ম্যাপ এমন জায়গায় দিয়ে যেতে বলবে সেসব রাস্তাগুলো এখনো জলেই ডুবে রয়েছে। এরকম বাজে অভিজ্ঞতাটা অবশ্য ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে আমার পিসি মনিদের বাসায় আসার দিনে আমার আর আমার বন্ধু রাহুলের হয়েছিলো। আমরা শিমুল বাগানের উদ্দেশ্যে যে, রাস্তাটি দিয়ে যাচ্ছিলাম এই রাস্তার সৌন্দর্য অনেক সুন্দর দূর থেকে মেঘালয় পাহাড় দেখা যাচ্ছিলো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমার দাদা কোন বাইক রাইড করছিলো তাই আমি বাইকের পিছনে বসে ছিলাম আর পথে যাওয়ার সময় বিভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি করছিলাম। বাইকের পিছনে বসে বসে ফটোগ্রাফি করতে আমার বেশ ভালই লাগে। আর এই ফটোগ্রাফি করার জন্যই আমরা কোথাও বাইক নিয়ে ট্রাভেলে বের হলে বাইক খুবই কম চালাই। আমরা শিমুল বাগানের উদ্দেশ্যে এই পথ ধরে যাওয়ার সময় দেখলাম যে একটি ঘোড়া রাস্তার পাশের ছোট ক্যানালের জলের ভেতরে নেমে রয়েছে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
সবুজ ধানের ক্ষেতের ওপারে মেঘালয় পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য হৃদয়কে মুগ্ধ করে দিচ্ছিলো। এমনটা মনে হচ্ছিলো যে, বাইক নিয়ে শুধুই আমরা মেঘালয় পাহাড়ের দিকে এগিয়ে চলছি। যদিও এখান থেকে মেঘালয় পাহাড় অনেকটা দূরে। কারণ দূর থেকে পাহাড়ের দূরত্ব বোঝা বেশ মুশকিল।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমরা নৌকা থেকে যে বাজারে নেমেছিলাম সেই জায়গাটাতে ১৫ মিনিট মতো বাইক ড্রাইভ করার পরেই চলে আসলাম আমাদের কাঙ্খিত জাদুকাটা নদীর পাড়ের শিমুল বাগানে। শিমুল বাগানে আসা পর্যন্ত আমাদের এই ভ্রমণটা ছিলো অ্যাডভেঞ্চারের মতো।
আমি পরবর্তীতে আমি শিমুল বাগানের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আর ভ্রমণ মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে এমনিতেই অনেক ভালো লাগে। সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক সুন্দর ভাবে ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। পরবর্তীতে শিমুল বাগানের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু আমিও আপনার মতই প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করি তাইতো চেষ্টা করি সব সময় প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর। অবশ্যই আপু শিমুল বাগানের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যমায় দৃশ্য গুলো আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন। সত্যি এই প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পোস্টের ফটোগ্রাফির দৃশ্যগুলো আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই । সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। যদিও সুনামগঞ্জে কখনো যাওয়া হয়নি তবে আপনার পোস্টটি দেখে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ জাগলো। অবশ্যই কোন এক সময়ে আমরাও যেয়ে ঘুরে আসবো। সুনামগঞ্জের হাওরের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অসাধারণ হয়েছে।
অবশ্যই সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এখানে ভ্রমণ করবেন। সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সবুজ ধানক্ষেতের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মেঘালয় পাহাড়ের দৃশ্য টা অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে ভাই। হাওর দিয়ে যাওয়ার সময় ঐ সময়টুকুতে ঐ অঞ্চলের মানুষের জীবনধারা সম্পর্কে আপনার একটা ধারণা হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বাচ্চাদের ফুটবল খেলা। এবং রাহুল ভাইয়ের ফুরফুরে মেজাজে দাঁড়িয়ে থাকার ব্যাপার টাও বেশ ছিল। দারুণ লাগল ভাই আপনার সুনামগঞ্জ ভ্রমণের এই পর্বের পোস্ট টা।
ভাই ওই রাস্তায় যখন গেলাম তখন আসলে মনটা অনেক ভালো হয়ে গিয়েছিল। কারণ দূর থেকে আবছা আবছা মেঘালয় পাহাড় দেখা যাচ্ছে তাহলে ভাবুন কতটা ভালো লাগছিলো। আমার ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া আজকের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সত্যিই সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। হাওর এলাকার মানুষ বর্ষার সময় অনেক কঠিন জীবন যাপন করতে হয়। আপনার ফটোগ্রাফিতে হাওরের মাঝখানে একটি বাড়ি দেখলাম। যার একমাত্র বহন হলো নৌকা। তাদেরকে দুর থেকে দেখতে ভালই লাগে। তবে বাস্তবে তাদের জীবন অনেক কঠিন। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই সুনামগঞ্জের হাওর এলাকাতে বর্ষার সময় তাদের জীবনটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য ও প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য।