"পেন্সিল ও কলম দিয়ে ভূতের বাড়ির"চিত্রাঙ্কন।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
রোজ-সোমবার।১১ই,পৌষ।১৪২৯,বঙ্গাব্দ।হেমন্তকাল।।
হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন?
আমি আনিসুর রহমান। আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ”এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। সৃজনশীলতা লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত আমি আমার পোস্টে কিছু ভিন্নতা আনার চেষ্টা করি।সেই হিসাবে আজ ও আপনাদের একটি চিত্রাঙ্কন নিয়ে হাজির হয়েছি।চিত্রাঙ্কনটি হলো পেন্সিল ও কলম দিয়ে ভূতের বাড়ি । আশাকরি,এই চিত্রাঙ্কনটিও আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
সাদা কাগজ
পেন্সিল
কলম
রাবার
কার্টার
কম্পাস
প্রথম ধাপ
প্রথমে কাজের অনেকটা নিচ দিকে বাঁকা করে দাগ দিয়ে নিবো।যাতে এটা মাটি মনে হয়।এরপর একটি ঘর অঙ্কনের জন্য কিছু দাগ দিয়ে নিবো।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর স্কেলের সাহায্যে ঘরের চাল এঁকে নিবো।
তৃতীয় ধাপ
এরপর নিচের বারান্দার জন্য দুই পাশে একইভাবে চাল এঁকে নিবো এবং সাথে দরজা ও সিঁড়ির জন্য দাগ দিয়ে নিবো।
চতুর্থ ধাপ
এরপর ঘরের কিছু জানালা এবং সিঁড়ির দুইপাশে খুঁটির জন্য দাগ দিয়ে নিবো।
পঞ্চম ধাপ
ঘরের চারপাশে একটি বৃত্ত অংকন করে নিবো।
ষষ্ঠ ধাপ
বৃত্তটি অংকন করার পরে দেখতে এমন দেখাবো।আসলে বৃত্তটি করা হয়েছে চাঁদের আকৃতি দেওয়ার জন্য।
সপ্তম ধাপ
এরপর সিঁড়ির দুই পাশে খুঁটির সাথে সংযোগ করে বেড়া অংকন করে নিবো।
অষ্টম ধাপ
এরপর ঘরের একপাশে একটি পাতাবিহীন গাছ অংকন করে নিবো।
নবম ধাপ
এরপর ঘরের বাকি জানালা এবং পুরো ঘরের ডিজাইন অংকন করে নিবো।
দশম ধাপ
এরপর ঘরের উপরে কিছু বাদুড় এঁকে নিবো।
একাদশ ধাপ
এরপর ঘরের সামনে কিছু কবর এঁকে নিবো।
দ্বাদশ ধাপ
এরপর ঘরের মাঝের উপরের অংশটি কলমের সাহায্যে গাঢ়ো করে নিবো।
ত্রেয়দশ ধাপ
এরপর ঘরের মাঝের বাকি অংশটুকু কলমের সাহায্যে গাঢ়ো করে নিবো।
চর্তুদশ ধাপ
এরপর ঘরের বামপাশের ডিজাইনগুলোকেও গাঢ়ো করে নিবো।
পঞ্চদশ ধাপ
এরপর ঘরের উপরের ডানপাশের ডিজাইনগুলোকেও কলমের সাহায্যে গাঢ়ো করে নিবো।
ষষ্ঠদশ ধাপ
এরপর ঘরের ডানপাশের নিচের অংশ কলমের সাহায্যের গাঢ়ো করে নিবো।
সপ্তদশ ধাপ
এরপর মার্কার কলমের সাহায্যে গাছটিকে কালো করে নিবো।
অষ্টাদশ ধাপ
এরপর বাদুড়গুলোকে একইভাবে কালো করে নিবো। দরজার সামনের সিড়িটাকে ডিজাইন করে নিবো এরপর মাটিতে ঘাস একে নিবো ও খুঁটির বেড়াগুলো গাঢ়ো করে নিবো
উনবিংশ ধাপ
এরপর চাঁদের বাহিরের অংশে পেন্সিল দিয়ে হালকা হালকা করে দাগ দিয়ে নিবো।
বিশতম ধাপ
এরপর টিস্যুর সাহায্যে চাঁদের বাহিরের প্রতিটি অংশ ঘষে নিবো এবং একইভাবে মাটির অংশকেও পেন্সিল ও টিস্যুর সাহায্যে গাঢ়ো করে নিবো।যাতে দেখতে সুন্দর দেখায়।
একুশতম ধাপ
এরপর ফ্রুটপ্যানের সাহায্যে বাদুড়ের চোখ এঁকে নিবো।
বাইশতম ধাপ
এখন ভূতের বাড়ির চিত্রাঙ্কনটি সম্পূর্ণ হলো এবং আমি আমার সিগনেচার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলাম।
চুড়ান্ত ধাপ
এরপর চিত্রাঙ্কন এর পাশে আমার সিগনেচার ও তারিখ দিয়ে নিবো। এভাবেইপেন্সিল ও কলম দিয়ে ভূতের বাড়ির চিত্রাঙ্কনটি সম্পূর্ণ হলো।
পরিশেষে,আমি চেষ্টা করেছি পেন্সিল ও কলম দিয়ে ভূতের বাড়ির চিত্রাঙ্কন করে সুন্দরভাবে আপনাদের উপস্থাপন করার জন্য।আশাকরি,আপনাদের চিত্রাঙ্কনটি ভালো লেগেছে। আর ভালো লেগে থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য আমাকে আরো নতুন কিছু করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন। আজ এ পযর্ন্তই।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
Photographer | @anisshamim |
---|---|
Device | Google Pixel 4a |
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
কি ভয়ানক একটি ভুতুড়ের বাড়ি অঙ্কন করলেন। দেখেই মনে হচ্ছে যেন এই মাত্র ভূত বেরিয়ে আসছে। যদি সত্যি কারের বেরিয়ে আসে তাহলে কি হবে। আমার তো এটি ভেবেই খুব ভয় করতেছে। আপনার আর্ট দেখে একেবারে অবাক হয়ে গেলাম। এত সুন্দর একটি আর্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।আর ভাইয়া ভূত বের হয়ে গেলে সমস্যা নেই।আয়াতুল কুরসি পড়ে শরীরে ফু দিয়ে নিবেন।সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে ভাইয়া।হা হা হা।
ভাইয়া অরুন্ধতী যে ছবিটিতে ভূতের বাড়ি দেখেছি এটি পুরোপুরি সেই ভূতের বাড়ির মতই হয়েছে ।সত্যিই আপনার ভূতের বাড়িটি দেখেই একেবারে আতঙ্কিত হয়ে গেলাম। আসলেই দারুন ভাবে ভূতের বাড়ি এঁকেছেন একেবারে সত্যিকারের অনুভূতি পরিলক্ষিত।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
কি বলবো ভাইয়া এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। আপনার তৈরি পেন্সিল ও কলম দিয়ে ভূতের বাড়ির চিত্রাঙ্কন। বাড়িটি দেখে সত্যিই ভূতের বাড়ির মতোই লাগছে। ইউনিক আইডিয়া শেয়ার করেছেন। আমি তো বাড়িটি দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। সত্যি কারের ভূতের বাড়ি। আপনার প্রশংসা করতে হয়। প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আমার চিত্রাঙ্কনটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনার এই আর্ট টি অনেক সুন্দর হয়েছে কিন্তু।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপনার ছবি আঁকার দক্ষতা রয়েছে বলতেই হচ্ছে। ভুতুড়ে বাড়ি তো মনে হচ্ছে চোখের সামনে দেখছি। ভীষণ সময় এবং দক্ষতার সাথে এঁকেছেন বোঝাই যাচ্ছে। জাষ্ট প্রশংসনীয় অংকন এটি।👌
দোয়া রইল এগিয়ে যান ✨
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য।আমার জন্য দোয়া করবেন ভাইয়া,যাতে আরো সুন্দর সুন্দর চিত্রাঙ্কন করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি।
আর্টের ফাইনাল আউটপুট দেখে আমি তো পুরাই অবাক! অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া! ধাপে ধাপে সুন্দর করে দেখালেন। এটা যে ভূতের বাড়ি, দেখেই বুঝা যাচ্ছে
আমার চিত্রাঙ্কনটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মনে হচ্ছে আমি হরর মুভির কোন দৃশ্য দেখছি। ছবি আঁকার ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা আছে তা বলতেই হয়। ভাইয়া পরবর্তীতেও এমন সুন্দর সুন্দর আর্ট দেখতে চাই কিন্তু। অপেক্ষায় রইলাম
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
হরর মুভিতে যে বাড়িগুলো দেখতে পাওয়া যায় সেরকম একটি বাড়ি সুন্দরভাবে এঁকেছেন ভাইয়া। আসলে এই বাড়িটি আর্ট করতে আপনার অনেক সময় লেগেছে বোঝা যাচ্ছে। এধরনের কাজগুলো করতে বেশ সময়ের প্রয়োজন হয়। তবে বাড়িটি কিন্তু দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে।
হা আপু,অনেক সময় নিয়ে চিত্রাঙ্কনটি করতে হয়েছে। আসলে এ ধরনের চিত্রাঙ্কন যত সময় নিয়ে করা হয়।ততই নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কোয়াইট স্পুকি👻।
এই বাড়িগুলো হরর সিনে বেশি ব্যবহার করা হয় আর সেখানেই আমার প্রথম দেখা।আও কাভি হাভেলি পে,এই গানটার ভেতরেও এমন একটা সিন ছিলো।
সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন,ভাল্লাগছে অনেক।শুভ কামনা রইলো 😊।
হা ভাই ঠিকই বলেছেন, হরর মুভির মধ্যে এই জাতীয় বাড়ির দৃশ্য বেশি দেখা যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।