আমার বাংলা প্রতিযোগিতা-২৬||শেয়ার করো তোমার বানানো ভিন্ন রকমের কেকের রেসিপি।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
রোজ-বুধবার।২৪ ই,কার্তিক।১৪২৯,বঙ্গাব্দ।হেমন্তকাল।।
হায় বন্ধুরা
আমি আনিসুর রহমান। আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। আবারো আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আজকে আমার বাংলা প্রতিযোগিতা-২৬।।শেয়ার করো তোমার বানানো ভিন্ন রকমের কেকের রেসিপি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করতে যাচ্ছি।তাই প্রথমে আমাদের সম্মানিত এডমিন শুভ ভাইকে আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য।আসলে এই প্রতিযোগিতায় অনেকেই তাদের বানানো সুন্দর সুন্দর কেকের পোস্ট করছে। তা দেখে খুবই ভালো লাগছে।আর সেই ভালো লাগা থেকে নিজেও এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করছি।যদিও এর আগে কখনও কেক বানানো হয়নি।তাছাড়া কেউ তো আর জন্ম থেকে শিখে আসেনি।সেই বিষয় উপলব্ধি করে আজকের প্রতিযোগিতায় আমার অংশ গ্রহন।আসলে আমার কাছে পুরস্কার পাওয়ার চেয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করাটাই আনন্দের বিষয়। যদিও একটু কষ্ট অনুভব হয়,তবে সকলে তো আর বিজয়ী হয় না।এটা বুঝতে হবে।তবে কেকটি খেতে কিন্ত খুব মজার হয়েছিল। আশাকরি,আমার কেকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণের তালিকা
ক্রমিক নং | উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | দুধ | ১/৪ কাপ |
২ | ময়দা | ১/৩ কাপ |
৩ | চিনি | ১/২ কাপ |
৪ | তেল | ১/৪ কাপ |
৫ | কোকো পাউডার | ১৫ মি.লি. |
৬ | ভ্যানিলা এসেন্স | ১/২ চা চামচ |
৭ | ডিম | ২ টি |
৮ | খাবার সোডা | ১ চা চামচ |
৯ | লবন | সামান্য পরিমাণ |
উপকরণের ছবি
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে একটি বোল নিয়ে এতে দুটো ডিম ভেঙে নিবো।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর ডিমের মধ্যে চিনি ও ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে দিবো।
তৃতীয় ধাপ
এরপর তেল দিয়ে নিবো এবং হ্যান্ড বিটার দিয়ে তেল,চিনি ও ভ্যানিলা এসেন্স খুব ভালো করে ফেটে নিবো।যতক্ষণ পযর্ন্ত চিনি ভালো করে না মিশে যায়। ততক্ষণ পর্যন্ত অনবরত ফেটতে হবে।ভালো করে ফেটিয়ে চিনি গলিয়ে নেওয়া কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
চতুর্থ ধাপ
এরপর আরেকটি বোলের উপর ছাঁকনি নিবো।ছাঁকনির মধ্যে ময়দা,খাবার সোডা ও লবন দিয়ে ভালো করে চেলে নিবো এবং গুটিবাদা অংশগুলো ফেলে দিবো।
পঞ্চম ধাপ
এরপর আগে থেকে তৈরি করে রাখা বেটার এর অর্ধেকটা অন্য একটি বাটিতে নিয়ে নিবো এবং এর মধ্যে চেলে রাখা উপকরণ অর্ধেকটা দিয়ে হ্যান্ড বিটার দিয়ে আস্তে আস্তে মিশিয়ে নিবো।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর বেটার এর মধ্যে দুধ দিয়ে আবারও ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
সপ্তম ধাপ
এরপর বাকি থাকা শুকনো উপকরণের মধ্যে কোকো পাউডার দিয়ে নিবো।
অষ্টম ধাপ
এরপর ছাঁকনির সাহায্যে কোকো পাউডার ছেঁকে শুকনো উপকরণের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
নবম ধাপ
এরপর বাকি অর্ধেক বেটার এর মধ্যে কোকো পাউডার মিশ্রিত শুকনো উপকরণ দিয়ে দিবো।
দশম ধাপ
সবগুলো উপকরণ হালকা করে মিশিয়ে এর মধ্যে দুধ দিয়ে আবারও ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
একাদশ ধাপ
একটি সসপ্যান নিয়ে তার চারপাশে তেল দিয়ে নিবো।এরপর একটি কাগজ গোল করে কেটে সসপ্যানের নিচে দিয়ে কাগজের উপরও তেল ব্রাশ করে নিবো এবং সসপ্যানের মাঝ বরাবরও একটি কাগজ নিয়ে নিবো।
দ্বাদশ ধাপ
এরপর দুইপাশে দুই ধরনের বেটার দিয়ে নিবো।
ত্রেয়দশ ধাপ
এরপর মাঝের কাগজটি তুলে ফেলবো এবং দুইপাশে কাঠি দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিবো।যাতে বাবোল্স না থাকে।
চর্তুদশ ধাপ
চুলাতে একটি পাতিল বসিয়ে মিডিয়াম আঁচে দশ মিনিটের জন্য গরম করে নিবো।দশ মিনিট পরে কেকের সসপ্যানটি পাতিলে বসিয়ে নিয়ে সসপ্যানের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে নিবো।
পঞ্চদশ ধাপ
এরপর পাতিলে ঢাকনা দিয়ে ঢাকনা উপর একটি ভারি কিছু দিয়ে ৫০ মিনিটের জন্য রেখে দিবো।
ষষ্ঠদশ ধাপ
পঞ্চাশ মিনিট পরে কেকটি দেখতে এখন দেখাবে।
শেষ ধাপ
এরপর কেকটি একটি প্লেটে নামিয়ে নিজের মন মতো ডেকেরেশন করে নিবো।এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার জীবনে প্রথম তৈরি করা চকলেট ও মিল্ক ফ্লেভার কেক ।রেসিপি।
পরিবেশন
পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে সুস্বাদু ও মজাদারচকলেট ও মিল্ক ফ্লেভার কেক রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি।তবে কেকটি খেতে দারুণ লেগেছিল। আমার জীবনের প্রথম তৈরি করা চকলেট ও মিল্ক ফ্লেভার কেক রেসিপিটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের সহযোগিতা মূলক মন্তব্য আমাকে আরো সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।আজ এ পযর্ন্তই।অন্যদিন অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হব।ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
Photographer | @anisshamim |
---|---|
Device | Google Pixel 4a |
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
খুবই সুন্দর হয়েছে ভাই আপনার বানানো কেক টি।আর প্রেজেন্টেশন ও অসাধারণ হয়েছে।দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়েছে। অনেক শুভ কামনা রইল ভাই।
আমার প্রথম বানানো কেকটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মনে করি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবার থেকে অংশগ্রহণ করাটাই সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আজকে আমাদের মাঝে যতটা সুন্দর করে কেক তৈরীর পদ্ধতিটা শেয়ার করেছেন তা সত্যিই আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমার কাছে মনে হয় আপনার এই কেকের রেসিপি টা একটা পুরস্কার পাবার যোগ্যতা রাখে।
আসলে প্রত্যেকেই বিজয়ী হতে চায়, এজন্যই তো প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করাটাও কিন্তু একটা ভাগ্যের ব্যাপার। যেমন দেখেন আমি কিন্তু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারলাম না। আপনার উপস্থাপনা এবং ডেকোরেশন খুব ভালো ছিল।আর কেক তো আমার খুব পছন্দ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
চকলেট কেক বরাবরই বেশীরভাগ মানুষের পছন্দের একটি কেক।আর আমার বাংলা ব্লগে প্রতিযোগিতা মানেই নতুন কিছু দেখতে পাব সেটাই কাম্য। আপনি কেকের ডিজাইনটা বেশ ইউনিক করেছেন দাদা। সাথে ধাপগুলি এবং পরিমাণগুলো খুব সুন্দর তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ। 😊
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি,এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
ভাইয়া আপনার জীবনে প্রথম তৈরি করা চকলেট ও মিল্ক ফ্লেভারের কেকটি কিন্তু অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ।আমি খুব মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়েছি । আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে । আপনার কাছ থেকে আমি রেসিপিটি শিখে রাখলাম । আমিও নিশ্চয়ই একদিন এভাবে তৈরি করে দেখব । খেতে যে খুবই চমৎকার হয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে । ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপু আমার চেষ্টা আর আপনাদের দোয়ায় কিছুটা পেরেছি।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত চমৎকার উৎসাহমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানায় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য, আপনি খুবই মজাদার কেক রেসিপি তৈরি করেছেন। কেক রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আরো অনেক সুন্দরভাবে পরিবেশন করেছেন।
আপনার সুচিন্তিত মতামত দিয়ে আমাকে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
খুব প্রফেশনালভাবে আপনি তৈরি করতে পেরেছেন মনে হচ্ছে না এটা আপনার প্রথম কেক, বিশেষ করে ডেকোরেশনের জন্য আপনি বিস্কিট ব্যবহার করেছেন এটা কিন্তু আরো বেশি ইউনিক করেছে, নিমিষেই কেকটিকে আরো বেশি সুন্দর করে তুলেছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
বাহ অনেক সুন্দর একটি কেক রেসিপি করছেন। তবে প্রতিযোগিতার কারণে বিভিন্ন ধরনের কেক আমরা দেখতে পাচ্ছি। কেক গুলো দেখে আমার মন চাইতেছে খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে কেকটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।