সুস্বাদু ও মজাদার "গাজরের হালুয়া" রেসিপি।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ।
হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন?
আশাকরি,আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে সুস্বাদু ও মজাদার গাজরের হালুয়া রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে গাজর হচ্ছে খুবই পুষ্টিকর জাতীয় সবজি।উপকারিতা গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন 'এ'। গাজরের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের অন্যান্য সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ইত্যাদির মতো সমস্যায় বাধা দেয়। আর গাজরের হালুয়া বড়দের পাশাপাশি ছোট বাচ্চাদেরও খুবই পছন্দ।আশাকরি,রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
উপকরণের তালিকা
ক্রমিক নং | উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | দুধ | ১/২ লিটার |
২ | গাজর | ৮-১০ টি |
৩ | চিনি | এক কাপ |
৪ | কাঠ বাদাম | সামান্য পরিমাণ |
৫ | কাজুবাদাম | সামান্য পরিমাণ |
৬ | তেজপাতা | ১ টি |
৭ | লং | ২ টি |
৮ | এলাচি | ৩ টি |
৯ | দারুচিনি | ১ টি |
উপকরণের ছবি
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে গাজরগুলো ভালো করে ধুয়ে ছুলে নিয়ে গ্রেডার দিয়ে গ্রেড করে নিবো।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর কাঠ বাদাম ও কাজুবাদাম কুঁচি করে নিবো।
তৃতীয় ধাপ
এরপর চুলাতে একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে এত দুধ দিয়ে জ্বাল করে নিবো।
চতুর্থ ধাপ
এরপর তেজপাতা,লং,এলাচি,দারুচিনি দুধে দিয়ে দুধ জ্বাল করে গাঢ়ো করে নিবো।
পঞ্চম ধাপ
এরপর সবগুলো গাজর দুধের মধ্যে দিয়ে দিবো।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর গাজরগুলো দুধের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিবো এবং ফ্রাইপ্যানের ঢাকনাটা ১০-১৫ মিনিটের জন্য ঢেকে দিবো।
সপ্তম ধাপ
এরপর ঢাকনা খুলে চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
অষ্টম ধাপ
এরপর আবার ২০ মিনিটের জন্য ফ্রাইপ্যানের ওপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে নিবো।
নবম ধাপ
এরপর কুঁচি করে কেটে রাখা বাদামগুলো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
দশম ধাপ
এরপর পুনরায় ফ্রাইপ্যানের ওপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিটের জন্য হালকা আঁচে জ্বাল দিয়ে নিবো।
শেষ ধাপ
এরপর ৫ মিনিট পরে একটি বাটিতে নামিয়ে নিবো। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু ও মজাদার গাজরের হালুয়া রেসিপিটি।
পরিবেশন
পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে গাজরের হালুয়া রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার তৈরি করা গাজরের হালুয়া রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।আপনাদের সহযোগিতামূলক মন্তব্য আমাকে আরো সামনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা যোগাবে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
Photographer | @anisshamim |
---|---|
Device | Google Pixel 4a |
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমার অনেক প্রিয় একটি ডেজার্ট।সেমাই সুজির থেকে আমার কাছে এটা অনেক গুণে বেশি ভাল লাগে। আপনার হালুয়া দেখে তো জীভের জল বাধ মানছেনা।দেখতেই যত সুন্দর লাগছে খেতে না জানি আরো কত সুন্দর হবে।ধন্যবাদ ভাই সুস্বাদু,পুষ্টিকর গাজরের হালুয়ার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
ভাইয়া আপনার গাজরের হালুয়া দেখে তো জিভে জল চলে আসল। এভাবে কখনো হালুয়া খাওয়া হয়নি। আমি এই হালুয়ার নাম শুনেছি কিন্তু কখনো তৈরি করা হয়নি। হালুয়া দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। গাজর দেখতে যেহেতু সুন্দর তারজন্য হালুয়ার কালারও খুব সুন্দর এসেছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু,খুবই মজাদার ও সুস্বাদু লাগবে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গাজরের হালুয়া" কখনো খাইনি। আপনার রেসিপি ইউনিক রেসিপি ছিলো। আমি দেখে শিখে নিলাম। পুষ্টিকর খাবার দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
বাসায় একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া, খুবই সুস্বাদু ও মজাদার লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া গাজরের হালুয়া অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। আপনি ঠিক বলেছেন এই হালুয়া গুলো বাচ্চাদের অনেক পছন্দ। আমি গাজরের হালুয়া খেয়েছি তবে কখনো তৈরি করেনি।আপনার ধাপ গুলো দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করবো।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হা আপু,গাজরের হালুয়া খুবই পুষ্টিগুন সম্পন্ন।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গাজরের অনেক পুষ্টি গুণাগুণ আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আপনি গাজরের হালুয়ার খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ঠিক বলেছেন গাজরের হালুয়া ছোট বড় অনেকেই পছন্দ করে । আপনার গাজরের হালুয়ার প্রতিটি ধাপ সহজভাবে বুঝেছি। পরিবেশন খুব ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
বাসায় সবাই খুব পছন্দ করলেও আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনা।
একটা এড এর কথা মনে পরলো,যেটা ছিল হকিন্স প্রেসার কুকারের😁।সেখানে ওই প্রেসার কুকারে গাজরের হালুয়া বানানো হয়েছিল।
সুন্দর উপস্থাপনা ছিল, শুভ কামনা জানাই ভাইয়া😊।
হা ভাইয়া সেই এডটি আমি ও দেখেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আর আপনিও একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া। আশাকরি,আপনার ও ভালো লাগবে।
গাজর আমাদের শরীরে জন্য অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার।গাজর থেকে ভিটামিন এ যেমন পাওয়া যায় তেমনি প্রচুর আয়রন ও রয়েছে। আপনি গাজর দিয়ে বেশ মজার করে একটি হালুয়া তৈরি করেছেন দেখতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে মনে হয়।এভাবে গাজরের হালুয়া করলে ছোট বড় সকলেই খেতে পারবে।খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হা আপু,গাজরের হালুয়াতে প্রচুর পুষ্টিগুন রয়েছে এবং এভাবে তৈরি করলে সব বয়সের মানুষই পছন্দ করবে বলে আমার বিশ্বাস। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গাজরে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে, তবে আমি গাজর হালুয়া কখনো খাইনি। কিন্তু মাঝে মাঝে গাজর দিয়ে পায়েস বানাত সেটা খেতাম। এবার হালুয়া ট্রাই করব ধন্যবাদ।শুভ কামনা রইলো ভাই।
হা ভাইয়া,বাসায় একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন খুবই মজা পাবেন ইনশাআল্লাহ।আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
জি ভাইয়া একদিন ট্রাই করে দেখতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে সাজেস্ট করার জন্য।
মজাদার গাজরের হালুয়া রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। দেখে শিখে নিলাম। পরবর্তীতে তৈরি করবেন ইনশাল্লাহ।
রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার এবং স্বাস্থ্যকরও বটে।আর তাই বাসায় একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কমিউনিটিতে অনেকদিন আগে এরকম গাজরের হালুয়া রেসিপি দেখেছিলাম। অনেকদিন বাদে আবার এই গাজরের হালুয়া রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। হালুয়া রেসিপি পাশাপাশি আপনি গাজরের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যেটা দেখে সত্যিই সকলে উপকৃত হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি গাজরের হালুয়া রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ও চমৎকার গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।