পরিবেশ বিপর্যয় মানুষের অসহ্য জীবন-যাপন।।

আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,প্রচন্ড গরমের মাঝে আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।প্রচন্ড গরমের কারনে চারিদিকে মানুষ অসহ্য যন্ত্রণার মাঝে জীবন যাপন করছে। আর এরই মাঝেই আবার শুরু হয়েছে প্রচন্ড লোডশেডিং।সবকিছু মিলিয়ে জীবনের যেন যায় যায় অবস্থা।আর এসব বিষয়ে আমার মনের কিছু অনুভুতি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

প্রকৃতির উপর আমাদের কারওই হাত নেই।তবে প্রকৃতির কিছু বিষয় আমাদের কর্মের দ্বারাই হয়ে থাকে। কিন্তু সেই বিষয়ে অনেক সময় হয়তোবা আমরা কোন চিন্তাই করি না। যখন বিপদে পরি তখনই আমাদের সেই বিষয়ে চিন্তা শুরু করি।কিন্তু হঠাৎ করে কোন বিপদই আমাদের সামনে আসে না।আস্তে আস্তে যখন বৃহৎ আকার ধারন করে তখন আমরা সেই বিষয়ে বেশি মনোযোগী হই।কিন্তু সেই বিষয়ে শুরুতেই যদি বুঝেশুনে চলা যায়।তবে অনেক বিপদ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্বে আবহাওয়া অনেকটা পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।আর এ বিষয়ে অনেক দিন ধরে আলোচনা চলছে। তবে কার্যকরী তেমন একটা পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।যার দরুন এই অবস্থা।আর উন্নত দেশের তুলনায় উন্নয়নশীল ও গরীব দেশের অবস্থা করুন।আর করুনার প্রভাব ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে এই অবস্থা আরও চরম আকার ধারন করেছে।

বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ আমরা সকলেই জানি।কিন্তু বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে যেন এ অবস্থা দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে।আর এর জন্য আমরাই অনেকটা দায়ী। কারন অপরিকল্পিতভাবে নগরায়নের নামে বৃক্ষ নিধন হচ্ছে এবং কৃষি জমি ভরে আবাসন প্রকল্প করা হচ্ছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, এই বিষয়ে যাদের দ্বায়িত্ব তাদের এই বিষয় কোন পদক্ষেপই দেখা যায় না।আর যতটুকু তা লোক দেখানো বা ফটোসেশনের জন্য।

কিছুদিন আগে ও স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাস্তার ধারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃক্ষরোপন কর্মসুচী লক্ষ্য করতাম।এখন তা খু্ব একটা দেখা যায় না।উল্টো বৃক্ষ নিধন দেখা যায়। তাই কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অক্সিজেন হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষকরে পরিবেশের শীতলতা দিন দিন কমে অতি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এবার বৈশাখ মাসের শুরুতে যে গরমের প্রভাব ছিল এখন পযর্ন্ত তা যেন বৃদ্ধি পাচ্ছে।আমাদের দেশে এবারের গরমের মাত্রা যেন বিগত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে।আর বৃষ্টি তো একেবারে কম। যদিও মাঝের কয়েকটি দিন সামান্য বৃষ্টি লক্ষ্য করা গিয়েছিল।তবে তা পরিবেশ শীতল করার জন্য যথেষ্ট নয়।এভাবেই পচন্ড গরমে চারদিকের মানুষ যেন দিশেহারা।আর এরই মাঝে নতুন করে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং নামের অভিশপ্ত।

লোডশেডিংকে অভিশপ্ত বলার একটাই কারন তা হল এটা আমাদেরই কর্মের ফল।কারন যেখানে আমাদের দিন দিন বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানে বিদ্যুৎ এর জন্য আরও কার্যকরি কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।যাতে লোডশেডিং কে কমিয়ে আনা যায়।বিশেষকরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণ পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ রাখা এবং তা শেষ হওয়ার অনেক আগেই তা আমদানির করা।এমনকি বিদ্যুৎ যাতে সঠিক প্রয়োগ হয় এবং তার অপচয় রোধ হয়।সেই বিষয়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

পরিশেষে উপরোক্ত বিষয়গুলো আমার নিজস্ব চিন্তা থেকে লিখা।আর এ বিষয়ে অনেকের মাঝে পার্থক্য থাকতে পারে। কারন মানুষের মাঝে ভেদাভেদ থাকতেই পারে।আর লিখাটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্ট করে জানাবেন। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।