সুস্বাদু ও মজাদার "মুশুর ডাল ও পোলাও চালের বোরা" রেসিপি।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ।
হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন?
আশাকরি,আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজ অনাকাঙ্ক্ষিত শীতের সকালে প্রচন্ড বৃষ্টি দেখতে পেলাম।এভাবেই শীতকাল আবার বৃষ্টি।তাই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে পারিনি। যখন উঠলাম তখন প্রায় সকাল ৮.৩০ মিনিট। তাছাড়া বাসায় কিছু রান্না করা ও ছিল না।আবার যেতে হবে কাজে।তাই যটপট করে করে মুশুর ডাল ও পোলাও চালের বোরা রেসিপি তৈরি করে নিলাম।এতে একদিকে পেটের ক্ষুধা ও নিবারন হবে আবার আমার পোস্ট করাও হবে।তবে এই জাতীয় বোরা বিকাল বা সন্ধ্যায় খালি খেতেও খুবই সুস্বাদু লাগে।আর ভাজা জাতীয় খাবার কমবেশি সকলেই পছন্দ করে থাকে।অবশ্য আমি সকাল বেলা তা গরম ভাতের সাথে খেয়েছি।খুবই মজা লেগেছিল। আশাকরি,রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
উপকরণের তালিকা
ক্রমিক নং | উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | মুশুর ডাল | ১ কাপ |
২ | পোলাও চাল | ১ কাপ |
৩ | পেঁয়াজ কুঁচি | ৩ টি |
৪ | কাঁচা মরিচ | ৪-৫ টি |
৫ | হলুদ ফাঁকি | ১/২ চামচ |
৬ | মরিচ ফাঁকি | ১/২ চামচ |
৭ | টেস্টিং সল্ট | সামান পরিমাণ |
৮ | গোলমরিচ ফাঁকি | সামান্য পরিমাণ |
৯ | লবণ | স্বাদমতো |
১০ | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
উপকরণের ছবি
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে একটি বাটিতে মুশুর ডাল এবং পোলাও চাল নিয়ে নিবো।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর ডাল ও চাল পানিতে ভিজিয়ে রাখবো।
তৃতীয় ধাপ
আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পরে এই অবস্থা হবে।
চতুর্থ ধাপ
এরপর একটি ব্লেন্ডারে ভিজিয়ে রাখা ডাল ও পোলাও চালের সাথে পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিবো।
পঞ্চম ধাপ
এরপর ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে একটি বাটিতে নামিয়ে নিবো।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর যে বাটিতে নামানো হয়েছে সেই বাটিতে গোলমরিচ ফাঁকি,টেস্টিং সল্ট এবং হলুদ ও মরিচ ফাঁকি দিয়ে নিবো।
সপ্তম ধাপ
এরপর কুঁচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ এবং সাথে লবন দিয়ে নিবো।
অষ্টম ধাপ
এরপর সবগুলো উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
নবম ধাপ
এরপর চুলাতে একটি ফ্রাইপ্যান বসাবো।এরপর সয়াবিন তেল দিয়ে তেল গরম করে নিবো।
দশম ধাপ
এরপর বানিয়ে রাখা গোলা থেকে ছোট করে তেলের মধ্যে দিয়ে নিবো।
একাদশ ধাপ
এরপর বোরাগুলো উল্টিয়ে ভালো করে ভেজে নিবো।
শেষ ধাপ
এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু ও মজাদার মুশুর ডাল ও পোলাও চালের বোরা রেসিপিটি।
পরিবেশন
পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে মুশুর ডাল ও পোলাও চালের বোরা রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার তৈরি করা মুশুর ডাল ও পোলাও চালের বোরা রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের সহযোগিতামূলক মন্তব্য আমাকে সামনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা যোগাবে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
Photographer | @anisshamim |
---|---|
Device | Google Pixel 4a |
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমার ভীষণ প্রিয় এই বড়া। আমাদের উত্তর অঞ্চলে যেদিন বাড়িতে ডাল রান্না হয়,সেদিনই সাইড ডিশ হিসেবে এই বড়া বানানো হয়।ডাল ভাত ও মচমচে বড়া অনেক ভাল লাগে।আপনি বড়া টাকে আরেকটু ভাজলে আরো ভাল লাগত।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাই আরেকটু ভাজলে পুড়ে যেত। তাই আর ভাজা হয়নি।ছবিতে ভাজা কম মনে হলেও ভাজা কিন্তু ঠিক ছিল ভাই।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ডাল আর চালের সংমিশ্রণে খিচুড়ি খেয়েছি।তবে ডাল এবং চালের সমন্বয়ে যে বড়া বানানো যায় সেটি প্রথম দেখলাম।অনেক ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
ডাল আর চালের মিশ্রনে খিচুড়ি খেয়েছেন।আর এভাবে একদিন বড়া তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া। খুবই মজা পাবেন ইনশাআল্লাহ। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য
জ্বী ভাইয়া ইউনিক কিছু দেখলে আমার আবার ট্রাই করতে মন চায়। একদিন অবশ্যই চেষ্টা করব।
অনেক সুন্দর ও ইউনিক একটি রেসিপি আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন ভাইয়া। এভাবে মসুর ডাল ও পোলাও চালের বড়া আগে কখনো খাইনি। তাই এটা আমার কাছে সম্পূর্ণ ইউনিক একটি রেসিপি। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু খুবই মজা পাবেন ইনশাআল্লাহ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া বড়া বানান টা মনে হয় এমন হবে।যাই হোক মসুরেরে ডালের সাথে পোলাও চাল দিলে অনেক সুন্দর একটা ঘ্রান বের হয়।আমাদের বাসায় এমন ভাবে বানায়।ভালোই লাগে সস দিয় খেতে অথবা গরম ভাতের সাথে খেতে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
হা আপু, তবে লিখার সময় কনফিউজড ছিলাম,অবশেষে এভাবে লিখেছি।আর এটা ঠিক বলেছেন, গরম ভাত ও সস দুটো দিয়েই খেতে খুবই মজা।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আমি তো শুধু মুসুর ডালের বড়াই খেয়েছি। তবে যে এভাবে ডাল ও চাল মিলিয়ে বড়া বানানো যায় আজকে প্রথম দেখলাম। দেখে মনে হচ্ছে খেতে নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আমাদের মাঝে এই ইউনিক মসুর ডাল ও পোলাও চালের বড়া বানানোর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া খুব সুস্বাদু লাগবে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার রেসিপিটা আমার কাছে একেবারেই নতুন লাগছে। মসুর ডাল আর পোলাউর চালের বড়া, এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু। খুব সুন্দর একটা রেসিপি শিখে নিলাম। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আর আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আরো সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি।
মুশুর ডাল ও পোলাও চালের বোরা" রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে ভাই। অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে কখনো খাইনি। ইউনিক বোরা রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আমরা এগুলোকে বড়া বলি। পোলাও চালাও মসুর ডাল দিয়ে বড়া কখনো খাওয়া হয়নি। এইভাবে যে বড়া বানানো যায় সেটি আমি আগে জানতাম না।রেসিপি টা ইউনিক লেগেছে ।ট্রাই করে দেখব একবার।আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া মজার এই রেসিপির জন্য।
বাসায় একদিন এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু।খুবই মজা পাবেন ইনশাআল্লাহ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমার বাংলা ব্লগ মানে ইউনিক কিছু, আসলে বড়া অনেক খেয়েছি তবে আপনার মতো পোলাও চাল দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি।বড় গুলো দেখতে অনেক সুস্বাদু লাগছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এভাবে বাসায় একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু,খুব মজা পাবেন ইনশাআল্লাহ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।