হাসির গল্প "অহেতুক আলোচনা" এর দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।।

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।


হ্যালো বন্ধুরা ?


আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। গত কয়েকদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে হাসির গল্প অহেতুক আলোচনা এর প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছিলাম।গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছিল।যার দরুন আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও সেই গল্পটির দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,গল্পটির এই পর্বটিও আপনাদের ভালো লাগবে।


Source


আজ সকালবেলা আমার ছোট বেলার এক বন্ধু বাসায় এসেছিল।অনেকদিন পরে ওর সাথে দেখা হল।আসলে জীবন জীবিকার তাগিদে এখন আর অনেকের সাথে দেখা হয় না।বন্ধুকে দেখে তাই অনেক খুশি হয়েছিলাম।সকালবেলা চা-নাস্তার পাশাপাশি দুই বন্ধু মিলে বাসায় অনেকটা সময় আড্ডা দিলাম। যেন শৈশবের মুহূর্তে ফিরে গিয়েছিলাম।আমাদের গল্প করতে দেখে পাশের ফ্লাটের এক প্রতিবেশীও আমাদের সাথে এসে বসলেন।

বন্ধু কথার এক পর্যায়ে বলে উঠলো, জীবনে যদি মিতব্যয়ী হতে চাস,তাহলে সর্বক্ষেত্রেই মিতব্যয়ী হতে হবে। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে মিতব্যয়ী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।জিনিসপত্রের দাম যে হারে বেড়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুতের দাম বেড়ে কয়েকগুণ হয়ে গেছে। এজন্য আমি মনে করি কী,অন্যান্য কাজের সময় লাইট জ্বালিয়ে রাখলেও কেউ যখন কারও সঙ্গে আলোচনায় বসবে,তখন লাইট নিভিয়ে রাখা উচিত।খামোখা বিদ্যুৎ অপচয়ের তো কোনো মানে হয় না।

বন্ধুর কথায় বিরক্ত হয়ে আমি বললাম, তোর কি মাথা নষ্ট হয়ে গেল?মানুষ আলোচনা করবে অন্ধকারে বসে? লাইট নিভিয়ে?বন্ধু এবার তার পোকায় খাওয়া দাঁতসহ ৩২ টার কাছাকাছি সংখ্যক দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বলল,কেন,লাইট বন্ধ করে আলোচনা করলে সমস্যা কী?আলোচনার মধ্যেই তো 'আলো'আছে।আলো-চনা।

আমার বন্ধুর কথা শেষ হতেই প্রতিবেশী বললেন, আমি মনে করি সব বিষয়ে আলোচনা হওয়া ভালো।তবে আলোচনাটা অফলাইনে না হয়ে অনলাইনে হলে ভালো হয়।কারণ,নিরাপত্তার একটা ব্যাপার আছে।আমি প্রতিবেশীর কথা শুনে বললাম, আপনি ঠিকই বলেছেন।দেশে যখন করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেল,তখন জুম মিটিং তথা অনলাইন আলোচনা সিস্টেম চালু করা হলো। কেন চালু করা হলো?নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে।তবে এখন কিন্তু করোনা নেই।অথচ এখন জুম মিটিং তথা অনলাইন আলোচনার দরকার নেই।

প্রতিবেশী আমার কথার তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে বললেন,আছে,দরকার আছে।কারণ, আপনার ভাবির সাথে যতবারই আমি অফলাইন আলোচনায় বসেছি,ততবারই আমার চশমার ডান্ডি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।মতে অমিল হলে তিনি আবার আক্রমণাত্নক হয়ে যান!

আজ এ পযর্ন্তই।অন্য দিন অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।আর লিখার মধ্যে কোন ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আর পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাবে আপনাদের মতামত দিবেন।


আমার পরিচিতি


9550.jpg


আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



আল্লাহ হাফেজ

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 5 months ago 

আপনার বন্ধু তো অনেক কিপ্টে প্রকৃতির মানুষ 😜তবে একবার ওনার কাথা ভেবে দেখা উচিত।তাহলে আর বিদুৎ বিল দেয়ার জন্য টাকা গুনতে হবে না।করোনা কালিন সময় অনলাইনেই ছিলো মানুষের একমাত্র অবলম্বন। হাসি পাচ্ছে অফলাইনে আলোচনায় বসে চশমা ভেঙ্গে গেছে শুনে।ধন্যবাদ পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 62989.29
ETH 3048.32
USDT 1.00
SBD 3.99