হাসির গল্প "ফেসবুকে ঘটকালি" এর তৃতীয় ও শেষ পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,প্রচন্ড গরমের মাঝে আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। গত তিন দিন আগে আমি আপনাদের মাঝে হাসির গল্পর< strong> ফেসবুক ঘটকালি এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছিলাম।গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছিল।যার দরুন আজ আমি আবারও সেই গল্পটির তৃতীয় ও শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,গল্পটির এই পর্বও আপনাদের ভালো লাগবে।
গতরাতে প্রচন্ড লোডশেডিং এর কারণে ভালো করে ঘুমোতে পারিনি।রাতের শেষ দিকে যখন বিদ্যুৎ এর অবস্থা একটু ভালো দেখলাম,তখন চিন্তা করলাম ফজর নামটা পড়ে একটু ঘুমিয়ে পরে উঠে কাজে যাবো।যেমন চিন্তা তেমনই কাজ।একটু ঘুমাতে না ঘুমাতে নিচে তলায় প্রতিবেশীর পচন্ড ঝগড়ায় ঘুমটা ভেঙে গেল।ঝগড়াটা এমন পর্যায়ে চলে গেছে নিচে না গিয়ে আর পারলাম না।
আমি যখন নিচে গেলাম তখন আমাকে দেখে প্রতিবেশী বলল,এলাকায় ঝগড়াঝাটি তো দেখা যাচ্ছে বেড়েই চলছে।আমি তার কথার উত্তরে বললাম,কি হয়েছে ভাই।প্রতিবেশী আমার কথার উত্তরে বলল,আর বইলেন না ভাই।একটু আগে আমাদের এলাকার ঘটক তার দলবল নিয়ে এসে আমার বাসার নিচের অফিসের লোকটাকে শাসিয়ে গেল।তাই এত হট্রগোল হয়েছে।এর পর সে আরও বলল,আমি যা বুঝলাম,এটা নিয়ে পরবর্তীতে আবারও ঝগড়াঝাটি হতে পারে।
আমি প্রতিবেশীর কথা শুনে বললাম,ঝগড়াঝাটি খুব খারাপ জিনিস।এসব কখনো কারো ভালো বয়ে আনে না।তা আপনার বাসার নিচে কিসের অফিস? প্রতিবেশী আমার কথার উত্তরে বললেন,ইন্টারনেটের।মানে ব্রডব্যান্ডের।আমি প্রতিবেশীকে বললাম,ইন্টারনেট তো ভালো জিনিস।যা দিয়ে অনেক কাজ করা যায়। মানে আমাদের অনেক উপকার আসে।এরপর আমি প্রতিবেশীর কাছে আবারও জানতে চাইলাম,ইন্টারনেট অফিসের লোকজনের সাথে ঘটকের আবার কি ঝামেলা থাকতে পারে?
প্রতিবেশী আমার কথার উত্তরে বলল,ভাইরে,বিরাট ঝামেলা।সবাই ইন্টারনেটের সুবিধা পাচ্ছে বলে নাকি সবাই ফেসবুকে পাত্রী দেখছে আর এদিকে ঘটকের ব্যবসার বারোটা বাজছে।আর এ জন্য সে ইন্টারনেট অফিসে এসে এই মর্মে শাসিয়ে গেছে,তাদের মাঝেমধ্যে ইন্টারনেটের স্পিড কমিয়ে দিতে হবে।যাতে পাত্র-পাত্রী তাদের ছবিতে ক্লিক করলেও দেখা না যায়। শুধু লোডিং লোডিং লেখা ওঠে।
এমনকি ঘটক এটাও বলে গেছে যে, যদি তাদের ইন্টারনেটের স্পিড কমানো না হয়, তাহলে নাকি সে নিজে সব ক্যাবল কেটে দিবে।কি একটা মুসিবত বলেন তো দেখি!
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঘটক কিন্তু মন্দ বলেনি। ফেসবুকের যুগে ঘটকদের দাম অনেক কমে গিয়েছে। আর এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে তো ঘটকরা না খেয়ে মারা যাবে। ইন্টারনেটের স্পিড কমিয়ে দিলে যদি তাদের সুবিধা হয়, তাহলে সেটাই হোক 🤣🤣। যাইহোক এমন মজার গল্প শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, গল্পটি পড়ে উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।