হাসির গল্প "মাস শেষের টানাটানি" এর প্রথম পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
রোজ-সোমবার।১৬ ই,মাঘ।১৪২৯,বঙ্গাব্দ।শীতকাল ।।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। আমি আমার গল্পের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি একটু বিনোদন দেওয়া জন্য। কারন গল্পের মধ্যে একটু বিনোদন না হলে গল্প পড়ে মজা পাওয়া যায় না।সেই হিসেবে অনেক দিন পর আবারও হাসির গল্প মাস শেষের টানাটানি এর প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,এবারও এই গল্পের প্রথম পর্বটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম,এমন সময় আমার এক ছোটভাই আমার কাছে এসে বলল, শেষ ভালো যার,সব ভালো তার।এই কথা শুনে শুনে তো আমরা সকলেই অভ্যস্ত। কিন্তু আমার তো কোনো শেষই ভালো যায় না।মাসের ২০ তারিখের পর থেকেই শুরু হয়ে যায় টানাটানি আর ধার দেনা।তাহলে কেমনে কি? আমি ছোট ভাইকে বললাম।ছোট ভাই আমার কথার প্রতি উত্তরে বলল,কেমনে কি, তা তো জানি না!
তবে আমি মনে করি, এইটা একটা বড় সমস্যা। কারণ, সবাই মাসের শেষ দিকে এসে টানাটানি শুরু করে দেয়। এইজন্য সমস্যা একটাই।মাস থেকে শেষ সপ্তাহটা বাদ দেওয়া। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো হয় শেষের ১০ টা দিন বাদ দিতে পারলে।মানে মাস হবে ২০ দিনের।ব্যস,টানাটানির বালাই আর থাকবে না।
এমন সময় আমার এক প্রতিবেশী বলল, মাসের শেষ সপ্তাহে ছুটির ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।শুক্র-শনিবারের সঙ্গে যদি আর দু-চারটা দিন ছুটি বাড়িয়ে দেয়,তাহলে আর কোন ঝামেলাই থাকবে না।আমি তার এই প্রস্তাবের ব্যাখ্যা জানতে চাইলাম। তিনি আমার কথার প্রতি উত্তরে বললেন,না,মানে মাস শেষে হাত খালি থাকে তো!
তাই সেই সময় সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পরে। ভালো হয় অমুক তমুকের বাসায় বেড়ানোর জন্য চলে যেতে পারলে।কিন্তু অফিসের জন্য তো আর ইচ্ছে করলে যাওয়া যায় না।ছুটি পেলে ভালো হতো। ছুটি পেলে হতো কি, দ্বিতীয়বার আর ভাবতাম না।গাট্টি-বোঁচকা গোল করে একদম শশুড় বাড়ি চলে যেতাম।আর পুরনো কিছু আত্মীয় স্বজনও তো রয়েছে। তাদের ঐখানে গিয়েও মাঝে মধ্যে থাকতে পারতাম।তাই না!
আজ এই পযর্ন্তই। হাসির গল্প মাস শেষের টানাটানি এর প্রথম পর্বটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তবে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।আবারও যেকোনো দিন আপনাদের মাঝে হাসির গল্প মাস শেষের টানাটানি এর পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার গল্পটি পড়লাম ভাইয়া বেশ ভালোই লাগলো। আসলে মাস শেষ হলে ওই সময়টাতে সবাই খুব টানাটানির মধ্যে ই থাকে এটা খুব সত্যি কথা। আর অফিস বন্ধ দিলে বাসায় না থেকে শ্বশুর বাড়ি ও পুরোনো কোন আত্মীয়ের বাড়িতে কিছু ভাল সময় কাটানো যায়। আপনি তো অফিসের কথা বললেন, যাদের বাচ্চা আছে তারা তো স্কুল বন্ধ দিতে পারবে না। 😃স্কুলও কি মাসের শেষে বন্ধ থাকবে নাকি??? অনেক ধন্যবাদ সুন্দর এই গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
আপু তখন স্কুলের শিক্ষকরাও স্কুল বন্ধ করে শশুড় বাড়ি বা কোথায় বেড়াতে যেতে পারে। তখন এভাবেই স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে বা এমন ও হতে পারে এক মাসের পড়া বিশ দিনে হবে।বাকি সময় বন্ধ থাকবে।হা হা হা।
ভাইয়া আপনার হাসির গল্প মাস শেষের টানাটানি গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যিই তো মাসের শেষ ১০ দিন না থাকলে আর হাত টানাটানি হতো না । ছুটি আর কয়েক দিন বাড়িয়ে দিলে বেড়ানোর জন্য সুবিধা হতো, তাই আর হাত টানাটানির সুযোগ থাকতো না।ধন্যবাদ আপনাকে।
হাসির গল্প মাস শেষের টানাটানি এর প্রথম পর্বটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, গল্পটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মাসে ২০ দিন হলে তো ভালোই হয় ৷ এতো টানাটানি থাকতো না সাবার ৷ আসলেই মাসের শেষে সবারই একটু টানাটানি লেগে যায় ৷ ছুটি টা বাড়ালে অবশ্য ভালোই হবে অফিস থাকবে না ঘুরে বেরানো যাবে ৷ যাই হোক ভালোই লিখেছেন৷ গল্পটা পড়ে বেশ মজা পেলাম , পরের পর্বের অপেক্ষায় ...
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, গল্পটি পড়ে এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
হাহাহা,এভাবে মাস যদি ২০ দিনের করা হয় তাহলে আবারও দেখা যাবে শেষের দিকে টানাটানি শুরু হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে আবারও ১০দিন কমিয়ে নিলে থাকবে আর ১০ দিন।যদি এভাবেই চলে তাহলে তো কথাই নেই,বাসায় বসে থেকে ঘুম।তবে ভালো লাগলো আর হাসিও পেল সবটা পড়ে।
ভাই খরচে সবার ঘুম নষ্ট আর আপনি ঘুমিয়ে কেটে দিবেন।তবে সেটাও ভালো। কারন ঘুমের মধ্যে কোন চিন্তা থাকে না।খরচের জন্য টানাটানিও থাকে না।হা হা হা।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। গল্পটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
একদম ঠিক ঘুমালে আর কিসের খরচ, অন্তত শান্তিতে ঘুম তো আসবে🤣😃🤣 ধন্যবাদ ।
মাসের শেষের দিকে যদি ছুটি দিয়ে দেয় সে যেমন আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় ঘুরতে যাবে, ঠিক তেমনি তার বাসাতেও তো কিছু আত্মীয়-স্বজন আসবে ঘুরে ফিরে খরচ তো হবেই।
ভাই সেটা ঠিক।তবে সেক্ষেত্রে শশুড় বাড়ির অপশন তো আছেই। আর আপনি যখন শশুড় হবেন।সেই সময় অনেক পড়ে।তখন ভেবে চিন্তে আবার নতুন কিছু ভাবা যাবে।হা হা হা।
শেষ ভালো যার সব ভালো তার। কথাটি ছোটকাল থেকে শুনে আসতেছি। আসলে এমনিতেই মাসের শেষ দশ দিন একটু হিমশিমের মধ্যে যায়। আর শ্বশুরবাড়ি এবং আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গেলে টানাটানি আরো বেড়ে যাবে। অফিস আদালত এবং খরচ সবকিছু আর ও বেশি কষ্ট হবে। আসলে আপনার গল্প গুলো পড়তে অনেক ভালো লাগে। আজকের গল্পটি অনেক মজার ছিল। আশা করি পরে পর্ব খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, গল্পটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আমার জন্য তো বেশি ভালো হতো। এতগুলি বাস চেঞ্জ করার অফিসে আসতে হতো না। বাসায় বসে নাক টেনে ঘুমাতাম। এত বুদ্ধি পান কোথায়? পারলে একটু সরকারকে বলেন না মাসে বিশ দিন করে দিতে। তাহলে তো ভালই হবে। খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া গল্পটি।