হাসির গল্প "গুড়ের লাভ লোভ" এর প্রথম পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। আমি আমার গল্পের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি একটু বিনোদন দেওয়া জন্য। কারন গল্পের মধ্যে একটু বিনোদন না হলে গল্প পড়ে মজা পাওয়া যায় না।আর আমরা যা কিছুই করি সব কিছুই এই মনের জন্য বা আত্মার শান্তির জন্য। যদি মনেই তা ভালো না লাগে।তবে সেটাই নিরর্থক হয়ে যাই।তাই আপনাদের বিনোদন দেওয়া দেওয়া জন্য আবারও হাসির গল্প গুড়ের লাভ লোভ এর প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,গল্পটির আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার এক বড় ভাই চিরকুমার। তবে প্রেমের ব্যাপারে তিনি সাংঘাতিক আগ্রহী।কিছুদিন পরপরই তার প্রেমিকা পাল্টে যায়। গতকাল তিনি কথায় কথায় বললেন,সেই কলেজ জীবনে যাদের সাথে প্রেম করতাম,তারা স্মার্ট ছিল।অনেক কিছু বুঝত।কিন্তু এখন যাদের সঙ্গে প্রেম করি,তারা কিচ্ছু বোঝে না।কিচ্ছু বোঝে না বলতে তাদের আউট নলেজ একদমই নেই। তাদের সঙ্গে যখন গ্রামের কোন ব্যাপারে কথা বলা হয়,তারা হাঁ করে থাকে।অনেক সময় উল্টা পাল্টা জবাব দেয়।
আমি বড় ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলাম, কি রকম?বড় ভাই বললেন, কি রকম আবার।আমার এক আল্ট্রামর্ডান প্রেমিকাকে কথা প্রসঙ্গে বললাম, গুড়ের লাভ পিঁপড়ায়ই খেয়ে ফেললো। ব্যস,সঙ্গে সঙ্গে প্রেমিকার মুখ হাঁ হয়ে গেল। আমি জানতে চাইলাম, কি বিষয়? এভাবে হাঁ করে আছো কেন?
প্রেমিকা বলল, কিসের লাভের কথা বললে? আমি বললাম, গুড়,গুড়।এবার প্রেমিকার বিস্ময় দেখে কে।সে বারবার জিজ্ঞেস করতে লাগলো, গুড় কি জিনিস? এটার আকার বা রং কেমন?এটা দিয়ে কি করে?এবার চিন্তা কর,যদি এদের আউট নলেজ থাকত,তাহলে কি বুঝত না, গুড় হল এক প্রকার মিষ্টিজাতীয় জিনিস। বুঝত তো কিনা বল!
আমি বললাম, তা তো বটেই। আপনি এক কাজ করেন। আপনার প্রেমিকার বাসায় এক দলা গুড় পাঠিয়ে দেন।বড়ভাই এবার হেসে উঠলেন। বললেন,তুই বলার আগেই আমি একটা দলা পাঠিয়েছিলাম।পরে শুনলাম ভয়ে নাকি প্যাকেটই খুলেনি।কারন, ওরা মনে করেছিল কেউ কাগজে মুড়িয়ে বোমা টোমা পাঠিয়েছে।
এমন সময় আমার এক বন্ধু বলল,এই যে মানুষ কথায় কথায় বলে গুড়ের লাভ নাকি পিঁপড়ায় খায়।সত্যিই কি এটা হয়।আমি বললাম, অবশ্যই হয়।না হলে মানুষ কথাটা বলবে কেন?বন্ধু বলল,তা তো বটেই। তবে আমার একটা প্রশ্ন।
এই যে বলা হচ্ছে গুড়ের লাভ পিঁপড়ায় খায়,কোন কালারের পিঁপড়ায় খায়? পিঁপড়া তো সাধারণত দুই কালারের হয়ে থাকে। লাল বা কালো। কোনটা?আমি বললাম কোনটা, তা তো পরিস্কারভাবে জানি না। তবে লালটা হবার সম্ভাবনা বেশি আছে।কারণ,গুঁড়ের কালারও লাল,পিঁপড়ার কালার ও লাল।।
আজ এই পযর্ন্তই।যদি আমার হাসির গুড়ের লাভ লোভ গল্পটির প্রথম পর্ব আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।আবার যেকোনো দিন আপনাদের মাঝে এর পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বেশ অন্যরকম একটি গল্প লিখেছেন ভাইয়া । পড়ে ভালই লাগলো । তবে আমিও বেশ অবাক হলাম গুড় জিনিসটাকে চিনে না । সে তো মনে হচ্ছে আলট্রা মর্ডানের উপর দিয়ে আল্ট্রা মর্ডান ।কেননা গুড় চেনে না এমন কোন মানুষ আছে বলে আমার জানা নেই । যাইহোক অবশেষে তার বাড়িতে এক প্যাকেট গুড় পাঠিয়েছিল বেশ ভালই করেছিল । তবুও তো সে খুলে দেখলো না । যাইহোক ভালো ছিল ।ধন্যবাদ ।
আমার গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালোই লেগেছে। চিরকুমার থাকবে কিন্তু প্রেমের ব্যাপারে সাংঘাতিক আগ্রহী।যাইহোক অনেক মর্ডান প্রেমিকা তাই হয়তো গুড় চেনে না।তবে আপনার বড় ভাই একটা কাজ ভালো করেছে, গুড় পাঠিয়ে দিয়েছি ভালোর জন্য। কিন্তু উল্টা তারা আবার প্যাকেট না খুলে ভাবল বোমা টোমা দিল নাকি।ভালো লিখেছেন পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি খুবই মজার একটি গল্প শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। মা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার গল্পগুলো আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। খুবই মজার মজার গল্প আপনি শেয়ার করেন আমাদের মাঝে। চিরকুমার দেখছি প্রেমের ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। আপনার পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় থাকবো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।আর আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে, আরো আনন্দদায়ক গল্প লিখে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি।
কি লোক রে বাবা চিরকুমার থাকবে আবার দুদিন পরপর প্রেমিকা পাল্টাবে। আবার প্রেমিকাদের মধ্যে কম্পেয়ার করে। তার জন্য এরকম বোকা প্রেমিকাই ঠিক আছে। প্রেমিকার বাসায় এক দলা গুড় পাঠানোর বিষয়টি খুব ভালো লেগেছে। অনেক হাসি পেল। ভালোই লিখেছেন গল্পটি। চালিয়ে যান। ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
একদিকে বলছে চিরকুমার থাকবে আবার দেখছি প্রেমের ব্যাপারে খুবই সাংঘাতিক। আবার বেশি বেশি প্রেমিকা বদলাবে। তবে প্রেমিকার বাসায় এক দলা গুড় পাঠিয়েছে এটা শুনেই আমার ভীষণ হাসি পেল। কেউ কিভাবে প্রেমিকার বাসায় গুড় পাঠিয়ে থাকে। আমার জানামতে লাল পিপড়া গুলোই গুড়ের লাভ খেয়ে থাকে। আপনিও দেখছি একই কথা বলছেন। আপনার গল্পটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো পরবর্তী পর্ব নিশ্চয়ই পড়ার চেষ্টা করব।
এই গল্পের মাধ্যমে আমাকে কিছুটা আনন্দ দিতে পেরেছি জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
অনেক ভাল লাগলো ভাইয়া গল্পটি পরে। অন্য রকম একটা গল্প পেলাম।চিরকুমার থাকবে অথচ প্রেমিকা বদলাবে। 😅ভালোই তো।অবাক কান্ড প্রেমিকা নাকি গুড় চেনে না।তার বাসায় আবার এক দলা গুড় পাঠিয়ে দিল।😆 পরের পর্বের জন্য ওয়েট করতে হবে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
কি রকম লোকরেবা চিরকুমার কিছুদিন পর পর প্রেমিকা চেঞ্জ করে। আপনার বড় ভাইয়ের কলেজ জীবনের প্রেমিকাগুলো মনে হয় বুদ্ধিমান সেই মনে করে।গুড়ের লাভ লোভ গল্পটি পড়ে খুব ভালই লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।