সুস্বাদু ও মজাদার "চাল ও বিভিন্ন ডালের মিশ্রনে খিচুড়ি" রেসিপি।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ।
হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন?
আশাকরি,আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে চাল ও বিভিন্ন ডালের মিশ্রনে খিচুড়ি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।আসলে অনেক থরে খিচুড়ি খাবো বলে ভাবছি।তবে খাওয়া হয়নি।আর এই জাতীয় খিচুড়ি একটু বৃষ্টির মধ্যে খেতে খুবই ভালো লাগে।সাথে ইলিশ মাছ দিয়ে ও খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। রেসিপিটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও খুবই মজাদার হয়েছিল।আশাকরি,রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণের তালিকা
ক্রমিক নং | উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | ভাতের চাল | ১/২ কেজি |
২ | মসুরের ডাল | ১ কাপ |
৩ | মুগ ডাল | ১ কাপ |
৪ | বুটের ডাল | ১ কাপ |
৫ | এ্যাংকার ডাল | ১ কাপ |
৬ | পেঁয়াজ কুটি | ২ টির |
৭ | টমেটো | ১ টি |
৮ | তেজপাতা | ২ টি |
৯ | দারুচিনি | ৩ টুকরো |
১০ | এলাচ | ৩-৪ টি |
১১ | কাচা মরিচ | ৭-৮টি |
১১ | টেস্টিং সল্ট | সামান্য পরিমাণ |
১২ | গোলমরিচ গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
১৩ | আদা বাটা | ১ চা চামচ |
১৪ | রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
১৫ | হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
১৬ | মরিচ গুঁড়া | ২ চা চামচ |
১৭ | ধনিয়া গুঁড়া | ১ চা চামচ |
১৮ | জিরা গুঁড়া | দেড় চা চামচ |
১৯ | বানানো মিক্স মসলা | ১/২ চা চামচ |
২০ | লবন | স্বাদমতো |
২১ | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
উপকরণের ছবি
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে বিভিন্ন রকমের ডাল দিয়ে একটি ঝুঁড়িতে পানির সাহায্যে ভালো করে ধুয়ে নিবো।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর চালগুলোও ভালো করে ধুয়ে নিবো এবং ধুয়ে রাখা ডালের উপরে দিয়ে নেড়েচেড়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
তৃতীয় ধাপ
এরপর চুলাতে একটি পাত্র বসিয়ে এতে সয়াবিন তেল দিয়ে নিবো।
চতুর্থ ধাপ
এরপর কুচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে নিবো।
পঞ্চম ধাপ
এরপর দারুচিনি,এলাচি ও তেজপাতা দিয়ে নিবো।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর আদা ও রসুন বাটা দিয়ে নিবো।
সপ্তম ধাপ
এরপর হলুদ ও মরিচ গুঁড়া দিয়ে নিবো।
অষ্টম ধাপ
এরপর জিরাগুঁড়া ও ধনিয়া গুঁড়া দিয়ে নিবো।
নবম ধাপ
এরপর পানি ও টমেটো দিয়ে নিবো।
দশম ধাপ
এরপর গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে নিবো।
একাদশ ধাপ
এরপর টেস্টিং সল্ট ও লবন দিয়ে নিবো।
দ্বাদশ ধাপ
এরপর বানানো মসলা দিয়ে সবগুলো মসলা কসিয়ে নিবো।
ত্রেয়দশ ধাপ
এরপর ধুয়ে রাখা চাল ও ডালের সাথে পানি দিয়ে নিবো।
চর্তুদশ ধাপ
এরপর বলক আসা পযন্ত জ্বাল দিয়ে নিবো এবং যখন লক্ষ্য করব কিছুটা ঘন হয়ে আসছে তখন কাচা মরিচ দিয়ে নিবো।
শেষ ধাপ
এরপর আরও কিছুক্ষন জ্বাল দেওয়ার পরে যখন দেখবো অনেকটা ঘন হয়ে এসেছে। তখন চুলার জ্বাল নিভিয়ে দিবো।এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু ও মজাদার চাল ও বিভিন্ন ডালের মিশ্রনে খিচুড়ি রেসিপিটি।
পরিবেশন
পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে চাল ও বিভিন্ন ডালের মিশ্রনে খিচুড়ি রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার তৈরি করা চাল ও বিভিন্ন ডালের মিশ্রনে খিচুড়ি রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য আমাকে সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
Photographer | @anisshamim |
---|---|
Device | Google Pixel 4a |
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
আসলে খিচুড়ি একটু বৃষ্টির মধ্যে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। এই রেসিপিটি তৈরি করতে এবং দেখতে যে রকম ভালো লাগে খেতেও তেমনি ভালো লাগে আমার কাছে। আসলে যখন বৃষ্টির দিন আসে তখন আমি এই রেসিপিটা একটু বেশি তৈরি করে থাকি। বৃষ্টির সময় গরম গরম খিচুড়ি খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। এই রেসিপিটি আমি মনে হয় এক দুইবার তৈরি করেছিলাম আসলে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল রেসিপিটি। আপনার রেসিপির কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে সুস্বাদু হয়েছে এবং মজা করে খেয়েছেন।
সুস্বাদু ও মজাদার চাল ও বিভিন্ন ডালের মিশ্রনে খিচুড়ির রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
চাল ও বিভিন্ন ডালের মিশ্রণে এভাবে কখনো খিচুড়ি খাওয়া হয়নি। আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। এরকম মজাদার রেসিপি গুলো দেখলে একটু বেশি লোভ লেগে যায়। আপনার রেসিপির কালার কম্বিনেশন দেখে বুঝতে পারছি খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে রেসিপিটি।
একদিন এভাবে বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া।খুবই মজা পাবেন ।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
আমার বেশ প্রিয় একটি খাবার। আমাদের এদিকে ডালের মিশ্রণের বদলে এটাকে মাসকলাই এর ডাল ব্যবহার করা হয় শুধু।তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।অচিরেই ট্রাই করতে হবে।ধন্যবাদ ভাই আমার প্রিয় খাবারের সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হা ভাইয়া একদিন এভাবে বাসায় ট্রাই করে খেয়ে দেখবেন।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
চাল ডাল এবং সবজির মিশ্রণে খিচুড়ি খেয়েছি। তবে এরকম বিভিন্ন প্রকার ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার খিচুড়ি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। আপনার মত করে এভাবে আমি একদিন ট্রাই করে দেখব। সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝেশেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খিচুড়ি ভাত এমনিতেই আমার অনেক অনেক ফেভার িট তারপরে যদি এত মজাদার এবং সুস্বাদু করে সব ধরনের ডাল দিয়ে রেসিপি প্রস্তুত করা হয় তাহলে তো কোন কথায় নাই।। সকাল সকাল এমন একটি রেসিপি দেখে লোভে পড়ে যাব আসলে ভাবতে পারিনি।।। রেসিপির প্রস্তুত প্রণালী খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য। ্
শীতের দিন এমন নরম খিচুড়ি খুব ভাল লাগে খেতে। আপনি খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি তুলে ধরেছেন। খুব ভাল লাগলো। বিভিন্ন ডাল দেয়াতে এর পুষ্টিগুন ও অনেক বৃদ্ধি পায়। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে চাল এবং ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে শেয়ার করেছেন। আপনার খিচুড়ি রান্না দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে প্রায় চার প্রকারের ডাল দিয়ে আপনি একসাথে খিচুড়ি রান্না করেছেন। আপনার খিচুড়ি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে খিচুড়ি রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেকদিন ধরেই খিচুড়ি খাবেন বলে ভেবে রেখেছিলেন অবশেষে খিচুড়ি রান্না করে ছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে যদি বৃষ্টির মুহূর্তে ইলিশ মাছ দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা হয় খেতে যে কতটা সুস্বাদু লাগে বলে বোঝাতে পারবো না ভাবতেই জিভে জল এসে যাচ্ছে। এত মজাদার একটি খিচুড়ি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।