আমার পরিচিতি -
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু
সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সবাই ভালো আছেন ।আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি।আমি আনিসুর রহমান।আমার ডাক নাম শামীম।
মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী উপজেলার এক পিছিয়ে পড়া জনপদ আব্দুল্লাপুর গ্রামেই আমার জন্ম।অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা,আধুনিক দুনিয়া থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন, বৈদ্যুতিক আলো-বিহীন সমাজে ১৯৮২ সালের শুক্রবার সকাল থেকেই আমার জীবন চলার শুরু। অবহেলিত, উপেক্ষিত অন্য দশটা ছেলের মতই আমার জীবনের পথচলা আরম্ভ হয়। তারপরও আমার বন্ধু সংখ্যা ছিল আট জন! আমার সম বয়সী ছেলেরা সারাদিন টো টো করে ঘুরে বেড়াত। তাদের কাছে স্কুলের নিয়ম-শাসন পছন্দনীয় ছিল না।অতঃপর তারা গ্রামীণ খেলা-ধুলোয় হারিয়ে যেত। ইচ্ছে হত এদের সাথে মিলে যাই কিন্তু বারন ছিল।আমাদের এলাকার নয়,এমন অনেক ছাত্র/ছা্ত্রী, বহুদূর থেকে হেটে আমাদের বাড়ীর সামনের রাস্তা দিয়ে স্কুলে পড়তে আসত। খেলা-ধুলোর প্রতি আমার খুব আগ্রহ ছিল।
সীমিত বন্ধু-বান্ধবের কারণে আমার শিশুকাল কেটেছে নিজের সাথে নিজে কথা বলে, আর গাছ পালাকে শাসন করে! স্কুলের পড়া কবিতা, গল্প, ছড়া তাদের শিখাতাম।উচ্চস্বরে মাইকে শোনা গান গেয়ে মুরুব্বীদের ত্যক্ত করতাম আবার অঙ্গভঙ্গি করে কবিতা আবৃত্তি করে কখনও হাসির পাত্র হতাম!
আমি ছিলাম খুবই কৌতূহলী বালক।এই অভ্যাস আমাকে কখনও চরমভাবে ভুগিয়েছে আবার কখনও প্রশান্তি এনে দিয়েছে। মুরগী ডিম পারার আগে অনবরত ডাকে কেন? আবার ডিম পারার পরেই বা সজোরে চিল্লায় কেন? লাঙল কে বানালো?কার বুদ্ধিতে গরুর কাঁধে জোয়াল জুড়িয়ে জমিতে নামানো হল। কুড়াল বা বানালো কে? তার পিছনে কায়দা করে বড় ছিদ্র বানিয়ে সেটাতে কাঠের হাতল লাগিয়ে, এই কুড়াল দিয়ে বিরাট গাছ ধরাশায়ী করা যায়! এই চিন্তা প্রথম কার মাথা থেকে এসেছিল! সমাজ-জীবনের চারিদিকে চলতে থাকা এ ধরনের বহু জিনিষে কারো কোন আগ্রহ না থাকলেও আমার মাথায় হাজারো প্রশ্ন কিলবিল করত। এসব প্রশ্ন মুরুব্বীদের দিকে ছুড়ে দিলে তারা কেউ উপদ্রব ভাবত, কেউ পাগল ঠাওরাত! এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে কত ভৎসনার মুখে পড়েছি, শিক্ষকদের কাছে তিরস্কৃত হয়েছি, মুরুব্বীদের কাছে অকর্মা হিসেবে বিবেচিত হয়েছি।
এই কৌতূহলী খাসিয়তের জ্বালায় শুধুমাত্র একজন মানুষ কোনদিন পেরেশান হননি! তিনি আমার ‘বাবা’! যাকে হৃদয়ের সমস্ত অভিব্যক্তি দিয়ে সারাজীবন ভালবেসেছি। তিনি আমার মনের কৌতূহল মেটাতে, পারত পক্ষে সম্ভাব্য সকল উপায়ে সাহায্য করতেন। বংশীয় ধারায় তিনিও ছিলেন পড়ুয়া মানুষ! ভাগ্যগুণে আমার বাবার, দাদার দাদা এবং তার বাবা, সবাই ছিলেন শিক্ষিত মানুষ। তাদের গোষ্টি-গত পরিচয় ছিল ‘বেপারী’। তিনি তৎকালের শিক্ষিত মানুষ হিসেবে পরিগণিত ছিলেন, যার কারণে আমাদের বাড়ীর নাম হয়ে যায় ‘বেপারী বাড়ী’।
বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠেছি। জ্যৈষ্ঠের এক দুপুরে বাবা একটি বড় বই নিয়ে বসলেন। তিনি আমাকে অংশ বিশেষ শুনালেন। কৌতূহলী মনে কান খাড়া করে মজাদার কাহিনী শুনতে রইলাম। ব্যস! বাবাকে প্রতিদিন পিড়াপিড়ি করতে থাকি, মজাদার পড়াটা আরো শোনানোর জন্য। একদিন মা বললেন, তুমি যখন অনেক কিছু জানতে চাও, তাহলে পড়াটা তুমিই শিখে নাও। তোমার সকল উত্তর তো বইয়ের ভেতরেই পেয়ে যাবে। মায়ের এই প্রেরণায় শক্ত করে লেগে গেলাম। কয়েকদিনের চেষ্টায় আমি বড়দের বই পড়তে পারলাম। অতঃপর বাবা আমাকে আদম (আ), নূহ (আ), ইব্রাহীম (আ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী পড়ালেন। প্রাইমারী স্কুল জীবনের সেই সময়েই সকল পড়ার অন্ত-নিহিত অর্থ না বুঝলেও, দ্রুততার সাথে পড়ার অভ্যাস রপ্ত করে ফেলি। এই যোগ্যতার ফলে, বাহিরের বয়স্ক মানুষের কথার রহস্য বুঝা আমার জন্য সহজ হয়ে গেল।
সেই থেকে বইয়ের প্রতি প্রেম ও ভাল লাগার শুরু, এখনও ভালো লাগে! বউ বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘ঈশ আমি তোমার বউ না হয়ে যদি বই হতাম, তাহলে তোমার অনেক বেশী নজরে থাকতাম’! বই পছন্দে আমার নির্দিষ্ট কোন রূচিবোধ ছিলনা! সহজ বই, কঠিন বই, পৌরাণিক বই, যাদুর বই, তাবিজের বই, গল্প-উপন্যাসের বই, দার্শনিকের বই, এমনকি ধর্মীয় বই কোনটাই আমার রুচি ও রুটিন থেকে বাদ যেত না।
আমার ছাত্রজীবনে যে জিনিষটার বেশী অভাব বোধ করেছি সেটা হল বই! না, না, শুধুমাত্র স্কুলের বই নয়। স্কুলের বইয়ের বাহিরেও শিক্ষার্থীদের আরো অনেক বই পড়ে মানুষ হতে হয়, সেটা শ্রেণী শিক্ষকেরা তো অহর্নিশি বলতেন। ‘গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন’ এর কথা বলে শুধুমাত্র একাডেমিক শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষা না ঠাওরাতে শিক্ষকেরা হর-হামেশা পাঠদান করতেন।
আমার বাবা মোঃ হাবিবুর রহমান ছিলেন হাসি-খুশী মনের মানুষ। তিনি সৎ এবং ধার্মিক ছিলেন এবং সেই সাথে হালাল জীবনযাপনে নিবেদিত ছিলেন। একটা সময় তিনি পাশের গ্রামে অবস্থিত একটি জুট মিলের একজন টাইমকিপার ছিলেন। আমার মায়ের নাম সেলিনা আক্তার। তিনি একজন সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি ছিলেন উদার ও দানশীলা রমণী। যেহেতু তিনি শিক্ষক ছিলেন তাই আমাদের স্কুলের বইয়ের পড়ার সবকিছু তিনি পড়াতেন কিন্তু আমরা যখন পড়ার টেবিলে বসতাম তিনিও সেখানে বসে থাকতেন এবং পড়া শেষ না হওয়া অবধি অপেক্ষায় থাকতেন।আমরা তিন ভাই এক বোনের মধ্যে আমি মাঝারো।
আমি ১৯৯৭ সালে এস এস সি,১৯৯৯ সালে এ্ইচ এস সি,২০০১ বি.কম(অনাস),২০০৩ এ এম.কম পাস করি।বতমানে ভূষামাল ব্যাবসায় আছি।
@anisshamim কমিউনিটির সকলের বিবেচনার মাধ্যমে আপনাকে সুযোগ দেয়া হয়েছে। আমার বাংলা ব্লগে ব্লগিং করতে চাইলে আমাদের মডারেটর রুপক ভাইয়ার মন্তব্যর রিপ্লাই করুন।
আর এখনি discord এ জয়েন করুন।
আমার বাংলা ব্লগে সকল মডারেটর ও কমিউনিটির সকল সদস্যদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ ,আমাকে সুযোগ দেয়ার জন্য।আমি আমার মেধা দিয়ে আমার বাংলা ব্লগের নতুন নতুন কনটেন্ট পোস্ট করে কমিউনিটির সুনাম বাড়াতে সচেষ্ট থাকিবো।
ভাইয়া আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে আপনাকে স্বাগতম, আশা করছি আপনি আমার বাংলা ব্লগের সকল নিয়ম কানুন মেনে কাজ করবেন এবং খুব শিগ্রই একজন ভেরিফাইড মেম্বারের পরিণত, আমার পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই অসংখ্য শুভকামনা।
আপনার পরিচয় পর্ব শুনে অনেক ভালো লাগলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে নিয়ে নিখুঁত করে আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমার জন্য তুলে ধরেছেন। তবে আমি খেয়াল করলাম আপনার রেফারারার নাম উল্লেখ করেন নাই। আপনার রেপারার কে মেনশন দিন। আশা করছি আপনি আমার বাংলা ব্লগের সকল নিয়ম কানুন মেনে চলবেন ধন্যবাদ।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আপনার সাথে পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো। আশা করছি আপনি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সমস্ত নিয়মকানুন মেনে আমাদের সাথে কাজ করবেন। আর অবশ্যই ডিস্ক একটিভ থাকবেন এবং এবিবি স্কুলের নিয়মিত ক্লাস করবেন। শুভকামনা থাকলো আপনার।
প্রথমেই আপনাকে সালাম জানাই, আসসালামু আলাইকুম। আরো জানাই ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক। আশা করি ভালো ও সুস্থ রয়েছেন। আপনার এত সুন্দর পরিচিত মূলক পোষ্ট দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি মনে করি 'আমার বাংলা ব্লগ' আপনাকে খুব সহজেই গ্রহণ করবে।
আপনাকে আমার বাংলা ব্লগে অভিনন্দন।
অনেক সুন্দরভাবে আপনার পরিচিতমুলক পোস্ট ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রতিটি লাইন পড়ে ভালো লাগলো।
তবে আপনি আমার বাংলা ব্লগে কার মাধ্যমে এসেছেন কার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন তার নাম আপনার পোস্টে উল্লেখ করতে হবে।
আপনি এখনি এডিট করে সঠিক করুন।
আমার পরিচিতি এবং আমার লিখা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।শৈশব থেকেই বই পড়া, যার মাধ্যমে ঞ্জান অর্জন করা আমার প্রচন্ড শখ।যার দরুন যেকোনো ভাবেই ঞ্জান অর্জনের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে সন্ধান করতাম। ইউটিউবের মাধ্যমে
যখন অনেক বিষয়ের উপর ঞ্জান অর্জনের চেষ্টা করি, তখনই আমার বাংলা ব্লগ সম্পর্কে জানতে পারি।পড়ার পাশাপাশি লিখাও আমার আরেকটা শখ।যদি আপনারা আমাকে ভেরিফাইড মেম্বার করে আপনাদের ব্লগে লিখার সুযোগ দেন, তবে আমার মেধা দিয়ে সুন্দর সুন্দর কনটেন্ট লিখে 'আমার বাংলা ব্লগ 'এর সুনাম অর্জনে সচেষ্ট থাকিবো।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে আপনাকে স্বাগতম। আপনার পোস্ট মোটামুটি ঠিক আছে তবে আপনি যার মাধ্যমে এই কমিউনিটির সন্ধান পেয়েছেন তাকে অবশ্যই মেনশন করতে হবে। আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
আপনাকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে স্বাগতম জানাচ্ছি। আশা করি আপনার মাধ্যমে আমরা অনেক সুন্দর সুন্দর কনটেন্ট উপহার পাবো। আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
অনেক সুন্দর লেখেছেন পরিচয় পর্ব ৷ সব বিষয়ে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন ৷ আশা করি আপনি কমিউনিটি নিয়ম মেনে কাজ করবেন ৷ এবং সফলতা পাবেন ৷আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনার পরিচয় পর্বটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। নিজের সম্পর্কে সবকিছু গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।তবে আপনি কার মাধ্যমে এসেছেন তার আইডির লিংক আপনার পোস্টে দেয়া উচিৎ ছিল।ধন্যবাদ ভাই।