শীতের সন্ধ্যায় পরিবারকে নিয়ে রাসেল পার্কে কিছুটা সময় ও পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফি।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
রোজ-বৃহস্পতিবার।২০ই,পৌষ।১৪২৯,বঙ্গাব্দ।হেমন্তকাল।।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।গতকাল আমি আমার চিত্রাঙ্কন পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম আমি কিছুটা অসুস্থ।আজ কিছুটা সুস্থ।গত শুক্রবার সন্ধ্যা আমার পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে শেখ রাসেল পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম।এর পর থেকেই আমার শরীরে অসুস্থ ভাব।যার দরুন সেদিন ঘুরতে যাওয়ার পোস্টটি আর করা হয়নি।আসলে সেদিন পরিবারের সকলেই খুবই আনন্দ করেছিল।অবশ্য এখনকার মতো তখন এত শীত ছিল না।যায় কারনে ঘুরতে ভালো লেগেছিল। তখন পার্কেও অনেক লোকের সমাগম ছিল। দেখে যেন শীতকাল মনে হয়নি।যাইহোক সেই দিনের ঘুরতে যাওয়ার অনুভুতির পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
আসলে মাঝে মধ্যে ঘুরতে গেলে মনের কিছুটা একঘেয়েমি ভাব দূর হয়ে যায়। সেই হিসেবে সন্ধ্যায় শেখ রাসেল পার্কে যাওয়া। অবশ্য প্রথমে শীতের কারনে যেতে চাইনি।তবে শীত কম হওয়ার কারনে যাওয়া।পার্কে যাওয়ার প্রথমে চোখ পড়ল একটি কুকুরের দিকে।কুকুরটি দেখে আমার ছোট মেয়ে খুবই খুশি।
এরপর আমরা কিছুক্ষণ হাঁটার পরে আমার মাঝারো মেয়ে পানিপুরি খাওয়া জন্য আবদার করল।আমিও না করলাম না।কারন না করলে মনটা একটু খারাপ হয়ে যাবে।পানিপুরি খেয়ে ও খুব খুশি। যা দেখে আমার ও খুব ভালো লাগলো।
এরপর আমার পরিবারের কিছু কেনাকাটার জন্য পার্কের মধ্যে বসে থাকা একটি লোকের থেকে কিছু দরকারী জিনিসপত্র কিনাকাটা করলাম।
এরপর বড় মেয়ে ও আমার পরিবার ভাপা পিঠা খাওয়ার জন্য আবদার করল।আসলে এখানকার ভাপা পিঠা একটু ব্যতিক্রম দেখলাম। যা সচরাচর চোখে পরে না।দাম কিন্তু অনেক বেশি। পঞ্চাশ টাকার নিচে কোন ভাপা পিঠা নেই। সর্বোচ্চ দুইশত পঞ্চাশ টাকা। দাম শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম। আমার মনে হয় এত দামে ভাপা পিঠার কথা শুনে আপনারাও অবাক হবেন।যাইহোক অবশেষে ভাপা পিঠা খেয়ে সখ মিঠালাম।অবশ্য খেতেও খুবই সুস্বাদু।
লেকপাড় দিয়ে হাঁটার সময় লক্ষ্য করলাম কিছু লোক বড়শী দিয়ে মাছ ধরছে। আসলে একসময় গ্রামের বাড়িতে এভাবে অনেক মাছ ধরেছি। অনেকের আবার বড়শী দিয়ে মাছ ধরা খুব সখ।মাছ ধরার জন্য অনেকে বড়শী নিয়ে অনেক দুর চলে যায়। এ যেন তাদের বিরাট সখ।আমার কাছে মাছ ধরার দৃশ্যটি খুবই ভালো লাগলো। তাই সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করে ফেলি।
এরপর মাছ ধরা দেখতে দেখতে পাশ দিয়ে যখন হাঁটছি। তখন লেকপাড়ে দৃশ্যটি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো।আসলে সন্ধ্যায় এখানে ঘুরতে আসার সবচেয়ে আনন্দ যে বাচ্চারা একটু ছুটাছুটি করে খেলতে পারছে।কারন শহরে তেমন একটা বাচ্চাদের খেলার জায়গা নেই। সারাদিন যেন রোমের মাঝে বন্দী। তাই তারা যেন শান্তিতে ঘুরতে পারছে। আর আমরা বড়রা যেন একটু বিশুদ্ধ বাতাস নিতে পারছি।
এরপর আর ও কিছুক্ষণ হাঁটার পর বড় মেয়ে বার্গার খেতে চাইল।আমি পাশে থাকা ফাস্ট ফুডের দোকান থেকে ওদের জন্য দুটো বার্গার নিয়ে আসলাম।
আরও কিছুক্ষণ সেখানে থেকে আরও কিছু ফটোগ্রাফি করে বাসায় চলে আসি।আসলে ঐ দিন ঘুরতে যেয়ে পরিবারের সবাই খুবই খুশি। আর পরিবারের সবাই হাসিখুশি থাকুক এটা সবাই চাই।যদি টাকা পয়সা উপার্জন করে পরিবারকে সুখি করতেই না পারলাম। তবে সেই অর্থ দিয়েই বা কি করার আছে।
পরিশেষে সেই দিনের সন্ধ্যাটা আমাদের খুবই আনন্দে কেটেছে। আসলে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি আমাদের পরিবারকেও কিছুটা সময় দিতে হবে।এতে একে অপরের প্রতি ভালোবাসার পাশাপাশি মনের ভেতরের একঘেয়েমি ভাব অনেকটা দূর হবে বলে আমি মনে করি।আজ এই পযর্ন্তই।অন্যদিন অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হবো।
Photographer | @anisshamim |
---|---|
Device | Google Pixel 4a |
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সত্যি বলেছেন ভাইয়া অর্থ উপাজন করে যদি একটু আনন্দ বিনোদন নাই করতে পারি, তাহলে আর অর্থের কি দরকার। পরিবার নিয়ে এভাবে মাঝে মাঝে ঘুরলে মন অনেক ভালো থাকে। আর বাচ্চারা ঘুরাঘুরির সাথে ভালোই খেয়েছে, পুরি ও বর্গার। আসলে শীতে বাইরে বের হওয়ার অনেক কষ্টের।যাইহোক আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আমরা যদি নিজেদের ব্যস্ততার মাঝে পরিবারকে একটু সময় দিই তখন তাদের কাছেও ভালো লাগবে নিজের মনেও শান্তি লাগবে। মনে হচ্ছে পরিবারের সবাই মিলে খুবই ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন রাসেল পার্কে গিয়ে। শীতের সন্ধ্যায় এরকম জায়গায় যাওয়ার মজাটাই কিন্তু আলাদা। আর সাথে যদি থাকে পুরো পরিবার তাহলে তো কোন কথাই নেই। সবাই মিলে তো দেখছি খুবই ভালো খাওয়া দাওয়া করেছেন। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
হা ভাইয়া, পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
বাহ্ পরিবারের সবাই মিলে তো দেখছি বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন রাসেল পার্কে গিয়ে। আমার কাছে কিন্তু আপনার কাটানো মুহূর্ত পড়ে বেশ ভালই লেগেছে। এটা জেনে বেশ অবাক হলাম একটা ভাপা পিঠার দাম 50 টাকা। আপনার মেয়ে বার্গার খেতে চাওয়ায় আপনি তাদের জন্য দুটি বার্গার নিয়ে আসলেন এটা জেনে ভীষণ ভালো লেগেছে। এটা কিন্তু ঠিকই বলেছেন অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি আমাদের পরিবারকেও একটু সময় দিতে হবে। মাছ ধরার দৃশ্যটি কিন্তু আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
হা আপু,পরিবারের সকলকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। তাছাড়া মাঝে মধ্যে ঘুরতে যাওয়া উচিত। এতে একঘেয়েমি ভাব দূর হয়ে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।