সুস্বাদু ও মজাদার "সবজি পুলি" রেসিপি।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন?
আশাকরি,আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে সবজি পুলি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।আসলে ভাজা জাতীয় জিনিস খেতে অনেকেই খুব পছন্দ করে। বিশেষকরে বিকেলে বা সন্ধ্যা নাস্তায় ভাজা কিছু না হলে যেন মনটা কেমন লাগে। তাছাড়া অতিথি আপ্যায়নেও এই জাতীয় রেসিপি তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে।অবশ্য এই রেসিপিটি আমি গতকাল বিশ্বকাপ খেলা শুরুর আগে তৈরি করেছিলাম।কারন প্রিয় দলের ফাইনাল খেলা দেখবো।আর মজাদার কিছু না খেলে হয়।তবে গতকালকের টানটান উত্তেজনা খেলা দেখে আর পোস্টটি করা হয়নি।যদিও প্রিয় দল জয়ী হয়েছে।তাই মনটা ও ভালো। আর সারাদিন ব্যাস্ত থাকার কারনে যখন সন্ধ্যা পোস্ট করার চিন্তা করলাম। কিন্তু ছবি আপলোড নিচ্ছে না। তারপরও অবশেষে পোস্টটি করতে পারলাম। আর কথা না বাড়িয়ে এবার রেসিপিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। রেসিপিটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও খুবই মজাদার হয়েছিল। আশাকরি,রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
উপকরণের তালিকা
ক্রমিক নং | উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | ময়দা | দুই কাপ |
২ | পাতাকপি | ১/৪ অংশ |
৩ | ফুলকপি | ১/২ অংশ |
৪ | পেঁয়াজ ফুল | পরিমাণ মত |
৫ | শিম | পরিমাণ মতো |
৬ | গাজর | ১ টি |
৭ | পেঁয়াজ কুঁচি | ২ টির |
৮ | আলু | ২ টি |
৯ | কাঁচামরিচ চারফালি | ৪-৫টি |
১০ | ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
১১ | গোল মরিচ ফাঁকি | সামান্য পরিমাণ |
১২ | টেস্টিং সল্ট | সামান্য পরিমাণ |
১৩ | টমেটো সস | ৩ চা চামচ |
১৪ | সয়াসস | ২ চা চামচ |
১৫ | কালিজিরা | সামান্য পরিমাণ |
১৬ | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
উপকরণের ছবি
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে সবজিগুলো কেটে ধুয়ে নিবো।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর চুলাতে একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে সয়াবিন তেল দিয়ে নিবো এবং কুঁচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে দিবো।
তৃতীয় ধাপ
এরপর স্বাদমতো লবন এবং একটি ডিম ভেঙে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
চতুর্থ ধাপ
এরপর টমেটো সস ও সয়াসস দিয়ে নিবো।
পঞ্চম ধাপ
এরপর টেস্টিং সল্ট ও গোল মরিচ ফাঁকি দিয়ে নিবো।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর টুকরো করে কেটে রাখা টমেটো দিয়ে সবগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
সপ্তম ধাপ
এরপর কেটে ধুয়ে রাখা সবজিগুলো দিয়ে নিবো।
অষ্টম ধাপ
এরপর ফ্রাইপ্যানের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে নিবো এবং একটু পরে ফ্রাইপ্যানের ঢাকনা তুলে লবণ দিয়ে নিবো।
নবম ধাপ
এরপর কিছুক্ষন জ্বাল দেওয়ার পর চার ফালি করে কেটে রাখা কাঁচা মরিচ দিয়ে নিবো।
দশম ধাপ
এরপর আরও একটু জ্বাল দেওয়ার পরে কুঁচি করে কেটে রাখা ধনিয়া পাতা দিয়ে নিবো।এভাবেই সবজির পুরটি তৈরি হবে।
একাদশ ধাপ
এরপর একটি বোলে ময়দা নিয়ে এতে সামান্য পরিমাণ কালিজিরা দিয়ে ময়দার সাথে মিশিয়ে নিবো।
দ্বাদশ ধাপ
এরপর লবণ ও পানি দিয়ে নিবো।
ত্রেয়দশ ধাপ
এরপর ভালো করে মিশিয়ে একটি ডো বানিয়ে নিবো এবং সেই ডো থেকে আরও কিছু ছোট ছোট ডো বানিয়ে নিবো।
চর্তুদশ ধাপ
এরপর একটি বেলুন পিঁড়ি নিয়ে পিঁড়িতে সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে পুরো পিঁড়িটা মাখিয়ে নিবো। এরপর ছোট ডো দিয়ে নিবো।
পঞ্চদশ ধাপ
এরপর ডো দিয়ে রুটি বানিয়ে একটি প্লাস্টিকের মগ দিয়ে গোল করে কেটে নিবো।
ষষ্ঠদশ ধাপ
এরপর আগে থেকে বানিয়ে রাখা পুর গোল রুটির মধ্যে দিয়ে দিবো এবং দুইপাশে লাগিয়ে দিবো।এরপর কাটা চামচ দিয়ে ডিজাইন করে নিবো।
সপ্তদশ ধাপ
এরপর সবগুলো পুলি বানানো হলে একটি বড় প্লেটে রেখে দিবো।
অষ্টাদশ ধাপ
এরপর চুলাতে একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে সয়াবিন তেল দিয়ে নিবো।
উনবিংশ ধাপ
এরপর তেল একটু গরম হলে বানানো পুলিগুলো একে একে দিয়ে ভেজে নিবো।
শেষ ধাপ
এরপর ভাজা হলে ছাঁকনি চামচ দিয়ে তুলে একটি প্লেটে রেখে দিবো। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু ও মজাদার সবজি পুলি রেসিপি।
পরিবেশন
পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে সবজি পুলি রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার তৈরি করা সবজি পুলি রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য আমাকে আরো সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
Photographer | @anisshamim |
---|---|
Device | Google Pixel 4a |
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
অনেকে দেখছি গতকাল বিশ্বকাপ উপলক্ষে অনেক মজার মজার রেসিপি তৈরি করে খেয়েছেন তার মধ্যে আপনিও তো বাদ যাননি😃😃।এভাবে ঝাল ঝাল সবজি পুলি পিঠা খেতে অনেক মজা লাগে।তাতে আপনি আবার সসও রেখেছেন সাথে খাওয়ার জন্য।এমন উত্তেজনাকর মুহূর্তের সাথে ঝাল ঝাল পুলি পিঠা খেতে দারুণ হবে।সবাই মিলে তো সময়টাও ভালোভাবে উপভোগ করেছেন।
আপু রেসিপি তৈরি করেছি ঠিকই কিন্তু মজা করে খাওয়া হয়নি। খেলার শেষে যে টানটান উত্তেজনা হয়েছিল তাতেই খাওয়া শেষ। আর খেলার শেষে খুশিতে এভাবেই পেট ভরে গিয়েছিল।আর হা সবাই সময়টা দারুণ উপভোগ করেছি। তবে টেনশনে। হা হা হা।
কয়েকদিন আগে নারিকেল পুলি পিঠা বানিয়েছিলাম। আজকে দেখি সবজি পুলি পিঠা শেয়ার করেছেন। যদিও এর আগে সবজি পুলি পিঠা খেয়েছি। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে ঝাল ঝাল পিঠা হলে খেতে সব সময় অনেক ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা রেসিপি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শীতের সময় এই মজার পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হা আপু সবজি দিয়ে এই জাতীয় রেসিপি তৈরি করলে একটু ঝাল হয়।যার দরুন খেতেও খুব সুস্বাদু হয়ে থাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সবজি পুলি পিঠা খেতে কিন্তু বেশ মজাই লাগে।আর আমরা তো প্রায়ই এটি তৈরি করি।আমার কাছে তৈরি করে খাওয়ার চেয়ে অন্যদের খাওয়াতে বেশি ভালো লাগে।আর এসব রান্না করতে আমি খুবই পছন্দ করি।দারুণ রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মেহমানদারী করাতে আপনার খুব ভালো লাগে জেনে খুব ভালো লাগলো আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি নারিকেলের পুলি পিঠা খেয়েছি কিন্তু এভাবে কখনো সবজি দিয়ে পুলি পিঠা খাওয়া হয়নি। আপনার পিঠা দেখে তো ইচ্ছে করছে এখনি খেয়ে নেই। আপনার সবজি রান্না দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। বিভিন্ন পদের সবজি দিয়ে আপনি এই পিঠা তৈরি করাতে মনে হচ্ছে খেতে আরও বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার তৈরি করা রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
নারকেল পুলি পিঠা খেয়েছি। সবজি পুলি পিঠে এভাবে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে মিষ্টি পিঠার চেয়ে ঝাল ঝাল পিঠাগুলো আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। পিঠাগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে এরকম বিভিন্ন রকম সবজি ব্যবহার করে পিঠাগুলো বানালেখেতে খুবই মজা হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন খুব মজা পাবেন ইনশাআল্লাহ। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপনি, অনেকেই সন্ধ্যায় এরকম ভাজা পোড়া কিছু খেতে পছন্দ করে। আমার দুই ছেলেও ভাজাপোড়া অনেক বেশি পছন্দ করে। তাই তো মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে দেই। তা ছাড়াও এই ধরনের সবজি পুলি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। চমৎকার ভাবে প্রত্যেকটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন। আপনি আপনার জন্য শুভকামনা।
ঠিকই আপু,বিকেল বা সন্ধ্যায় ভাজা জাতীয় খাবার ছাড়া জানি কেমন লাগে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আমার তৈরি করা রেসিপিটি দেখে এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন বিকেল বেলা বা সন্ধ্যার সময় এ ধরনের নাস্তাগুলো অনেকেই পছন্দ করে। বিশেষ করে আমিও ভাজি জাতীয় কিছু ফেলে খেতে খুব ভালো লাগে। পাতাকপি ও ফুলকপি সমন্বয়ে আপনি পুলি পিঠা রেসিপি বানিয়েছেন। আপনার প্রিয় দল জিতার সময় খুব মজা করে এই পুলি পিঠা গুলো খেয়েছেন। আমার তো দেখে এগুলো খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। চমৎকারভাবে অনেকগুলো ধাপ দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আপু সত্যি বলতে টেনশনে যেমন সুস্বাদু হয়েছিল সেভাবে মজা করে খেতে পারিনি। তার একটাই কারন টেনশন।খেলার শেষ মুহূর্তে যেন বেশি টেনশন কাজ করছিল। আর খেলার শেষে খুশিতে এভাবেই পেট ভরে গিয়েছিল।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
আসলে শীতের সময় এরকম মজার মজার গরম গরম সবজি ফুলি খেতে ভীষণ ভালো লাগবে। আপনার রেসিপি দেখি তো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে সবজি ফুলি এগুলো। সবাই মিলে একসাথে বসে খেলে একটু বেশি ভালো লাগবে কারণ সবাই মিলে খেতে অনেক মজা লাগে। আর এরকম সবজি ফুলি পিঠাগুলো যদি ঝাল হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। ঝাল ঝাল খেতে আমি একটু বেশি পছন্দ করি তাই। খুবই মজার এবং ইউনিক একটি রেসিপি ছিল এটি।
হা আপু এটা ঠিক, এ ধরনের রেসিপি অনেকে মিলে খেতে খুবই মজা লাগে এবং ঝাল তো হতেই হবে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।