"পেন্সিল দিয়ে কাল্পনিক পরীদের গাছের ঘর" এর চিত্রাঙ্কন।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
রোজ-বুধবার।১৯ ই,পৌষ।১৪২৯,বঙ্গাব্দ।হেমন্তকাল।।
হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন?
আমি আনিসুর রহমান। আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ”এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। সৃজনশীলতা লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত আমি আমার পোস্টে কিছু ভিন্নতা আনার চেষ্টা করি।আসলে এ সপ্তাহের শুরুতেই প্রচন্ড ঠান্ডা ও জ্বরে ভুগছি।তাই এ সপ্তাহে খুব একটা কাজ করতে পারিনি।আর তাই কিছুদিন আগে এঁকে রাখা চিত্রাঙ্কনটি সেই হিসাবে আপনাদের নিয়ে হাজির হয়েছি।চিত্রাঙ্কনটি হলো পেন্সিল দিয়ে কাল্পনিক পরীদের গাছের ঘর । আশাকরি,এই চিত্রাঙ্কনটিও আপনাদের ভালো লাগবে।আর আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আপনাদের মাঝে আবার সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে হাজির হতে পারি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
পেন্সিল
কার্টার
রাবার
চিত্রাঙ্কনটির ধাপসমূহ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে গাছ অঙ্কনের জন্য দুপাশে দাগ দিয়ে নিবো।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর গাছের নিচের একপাশে দরজা এঁকে নিবো।
তৃতীয় ধাপ
এরপর অপর পাশে গাছের একটু উপরে জানালা এঁকে নিবো।
চতুর্থ ধাপ
এরপর দরজার পাশে আরেকটি জানালা এবং দরজার উপরে একটি বাতি এঁকে নিবো।
পঞ্চম ধাপ
এরপর গাছের একপাশে ডাল এঁকে নিবো। ডালের মধ্যে একটি বাতি এঁকে নিবো এবং বাতির নিচে একটি ঘর এঁকে নিবো।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর দরজার সামনের সিঁড়ি এঁঁকে নিবো।
সপ্তম ধাপ
এরপর দরজার সামনে একটি ঘন্টি এঁকে নিবো এবং আরেকপাশে একটি ব্রিজ এঁকে নিবো।
অষ্টম ধাপ
এরপর সিঁড়ি থেকে শুরু করে ব্রিজ পযর্ন্ত একটি রাস্তা এঁকে নিবো এবং রাস্তার দুপাশে কিছু পাথর এঁকে নিবো।
নবম ধাপ
এরপর গাছের একপাশে শিকড় এঁকে নিবো এবং ব্রিজের পেছনের রাস্তা এঁকে নিবো
দশম ধাপ
এরপর গাছের দুপাশে আরো কিছু ডালপালা এঁকে নিবো এবং পেন্সিল দিয়ে সম্পূর্ণ গাছটি গাঢ়ো করে নিবো। এরপর গাছের একপাশে পেন্সিল দিয়ে হালকা হালকা দাগ দিয়ে নিবো এবং দরজার উপরে ছোট একটি ডিজাইন করে নিবো।
একাদশ ধাপ
এরপর টিস্যুর সাহায্যে ঘষে নিবো।
দ্বাদশ ধাপ
এরপর সম্পূর্ণ গাছটি একইভাবে পেন্সিল ও টিস্যুর সাহায্যে গাঢ়ো করে নিবো এবং উপরের জানালাটি পেন্সিলের সাহায্যে গাঢ়ো করে নিবো।
ত্রেয়দশ ধাপ
এরপর গাছের আরেক পাশের শিকড় এঁকে গাঢ়ো করে নিবো এবং ডালের ঝুলন্ত বাতিটাকেও গাঢ়ো করে নিবো। সিঁড়ি ও রাস্তার পাশের পাথরগুলো গাঢ়ো করে নিবো।সম্পূর্ণ দরজার ডিজাইন করে নিবো।
চর্তুদশ ধাপ
এরপর পেন্সিলের সাহায্যে মাটি এঁকে নিবো এবং সাথে কিছু ঘাসও এঁকে নিবো।
পঞ্চদশ ধাপ
এরপর গাছের ডালের মধ্যে পাতা এঁকে নিবো।
ষষ্ঠদশ ধাপ
এরপর চিত্রাঙ্কনটি সম্পূর্ণ হলে আমি আমার সিগনেচার দেওয়া জন্য প্রস্তুত হবো।
চুড়ান্ত ধাপ
এরপর চিত্রাঙ্কন এর পাশে আমার সিগনেচার ও তারিখ দিয়ে নিবো।এভাবেই পেন্সিল দিয়ে কাল্পনিক পরীদের গাছের ঘর চিত্রাঙ্কনটি সম্পূর্ণ হলো।
পরিশেষে,আমি চেষ্টা করেছি পেন্সিল দিয়ে কাল্পনিক পরীদের গাছের ঘর চিত্রাঙ্কন করে সুন্দরভাবে আপনাদের উপস্থাপন করার জন্য।আশাকরি,আপনাদের চিত্রাঙ্কনটি ভালো লেগেছে। আর ভালো লেগে থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য আমাকে আরো নতুন কিছু তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন। আজ এ পযর্ন্তই।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
Photographer | @anisshamim |
---|---|
Device | Google Pixel 4a |
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বর্তমান সময়ে আবহাওয়া প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে যার কারণে মানুষের জ্বর ঠান্ডা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে আপনার ক্ষেত্রে হয়তো সেটাই ঘটেছে। যাইহোক আপনার সুস্থতা কামনা করছি। খুবই চমৎকার একটি পেন্সিলের অঙ্কন আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন পরীর দেশে গাছের এই চিত্র অংকন দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ। আপনি খুবই দক্ষতার সঙ্গে এই অংকন করেছেন এরকম দক্ষতা দেখলেই বোঝা যায় আপনার মধ্যে সৃজনশীলতা বিদ্যমান। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর ও চমৎকার উৎসাহমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
বর্তমানে যে আবহাওয়া চলছে এটি নাকি চার থেকে পাঁচ দিন থাকবে। এই অবস্থাটা আসলে খুবই খারাপ। আবহাওয়া সবারে কম বেশি ঠান্ডা লেগেই আছে। আর এই সময় আপনি খুবই সুন্দর পেন্সিল দিয়ে কাল্পনিক পরীদের গাছের ঘর চিত্র অঙ্কন করেছেন। সত্যি ভাই দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম আমার খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই চিত্র অংকটি। আপনাদের সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদেরকে দেখেছেন আপনার চিত্র অংকটি ।
হা ভাইয়া বর্তমানের আবহাওয়াটা খুবই বিপজ্জনক। তাই সর্তকভাবে চলতে হবে। আর আমার চিত্রাঙ্কনটি দেখে এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপনার আর্ট দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ। খুবই সুন্দরভাবে আপনি এই আর্ট পুরোপুরি সম্পূর্ণ করেছেন। যা দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। জাস্ট অসাধারণ ছিল আপনার আর্ট। সত্যি চোখ ফেরানো যাচ্ছে না আপনার আর্ট থেকে। সম্পূর্ণ আর্ট যেভাবে অঙ্কন করেছেন তার ধাপ গুলো খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন আপনি। সত্যিই আপনার অনেক দক্ষতা রয়েছে খুবই নিখুঁতভাবে অঙ্কন করেছেন এটি। আপনার দক্ষতার প্রশংসা অবশ্যই করতে হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার চিত্রাঙ্কনটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আর প্রতিনিয়ত আমাকে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আশা করি আপনি খুব শীঘ্রই আপনি ভালো হয়ে যাবেন। আপনি খুব সুন্দর একটি চিত্রাংকন করেছেন। এটা দেখতে অসাধারণ লাগছে। এটা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনি অনেক সুন্দর ধাপ গুলো গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আমার চিত্রাঙ্কনটি দেখে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
পুরো আর্ট খুবই নিখুঁতভাবে অঙ্কন করেছেন। এটি অংকন করতে মনে হয় আপনার অনেক সময় লেগেছিল কারণ এরকম পেন্সিল আর্ট করতে অনেক সময় লাগে। এরকম আর্টগুলো করার জন্য অনেক ধৈর্যের এবং দক্ষতার প্রয়োজন হয়। আপনার ভেতর ধৈর্য এবং দক্ষতা দুটি আছে। যার কারণ আপনি খুবই সহজে এই আর্ট করে ফেলেছেন। আমার কাছে কিন্তু একটু বেশি ভালো লেগেছে আপনার আর্ট। ধন্যবাদ।
হা আপু এটা ঠিক বলেছেন, এ ধরনের চিত্রাঙ্কনগুলো ধৈর্য ও সময় নিয়ে অঙ্কন করতে হয়।নতুবা সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয় না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আপনি পেন্সিল দিয়ে চমৎকার একটি কাল্পনিক পরীদের গাছের ঘর চিত্রঅঙ্কন করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সময় দিয়ে আপনি এই চিত্র অংকন করেছেন। এই ধরনের চিত্রাঙ্গন গুলো অনেক ধৈর্য ধরে করতে হয়। এবং দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আজকে আপনি অনেক সুন্দর একটি কাল্পনিক পরীদের গাছ আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এবং অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হা আপু,চিত্রাঙ্কনটি করতে অনেকটা সময় লেগেছিল। কারন চিত্রকর্মকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য সময় নিয়ে করলে সেটা দেখতে সুন্দর লাগে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আপনি পেন্সিল এর সাহায্যে সুন্দর পরীদের কাল্পনিক ঘর তৈরি করেছেন। যেটা দেখতে অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। অনেক খুব ভরা তাকিয়েছিলাম আপনার দৃশ্যর দিকে। দেখে বোঝাই যাচ্ছে অনেক সময় এবং দক্ষতার সাথে কাজটি শেষ করেছেন। সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হা ভাইয়া, চিত্রাঙ্কনটি করতে অনেকটা সময় লেগেছিল। আসলে এ ধরনের চিত্রাঙ্কনগুলো নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য একটু বেশি সময় লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি। দোয়া করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান। আপনি খুব সুন্দর একটি আর্ট করেছেন ভাইয়া। এই ধরনের ঘর গুলো সাধারণত বিভিন্ন কার্টুনে দেখা যায়। আপনি সত্যিই খুব নিখুত ভাবে আর্ট করেছেন। দেখতে খুবই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পেন্সিল আর্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার চিত্রাঙ্কনটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।আপনি আজ পেনসিলে আঁকা কাল্পনিক পরীদের গাছের ঘর এঁকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, খুব সুন্দর হয়েছে। আপনি সব সময় সুন্দর সুন্দর আর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেন।আজও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আপনি ধাপে ধাপে এঁকে দেখালেন। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য ও অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।