কিছু রেনডম ফুল ,ফল ও অন্যান্ন ফটোগ্রাফি ।।

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।সৃজনশীলতা লক্ষ্যে আজ আমি আমার পোস্টে কিছু ভিন্নতা আনার জন্য আপনাদের মাঝে কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশাকরি,ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।

এখানে আমি কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি।আর এখানে করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই সাধারণ এবং পরিচিত-অপরিচিত কিছু ফুল ,ফল ও অন্যান্ন।আর আপনাদের মধ্যে কার কোন ফটোগ্রাফিটি বেশি ভালো লাগেছে সেটা নিশ্চয়ই জানাবেন কমেন্ট করে।

গতকাল গ্রামের বাসায় গিয়েছিলাম।আর বিকেলে যখন মাঠে গিয়েছিলাম তখন বাচ্চাদের খেলার দৃশ্যটি দেখে শৈশবের কথা মনে পরে গেল।কতই না মাঠে সারাদিন এভাবে পার করে দিয়েছি।যদিও এখন বাচ্চারা আগের মতো খেলাধুলা করে না। আর এই দৃশ্যটি আমার কাছে খুব ভালো লাগে।তাই সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করে ফেলি।

মাঠের একপাশে তিনটি পিলারের ওপরে তিনটি ফুটবল বানানোর দৃশ্যটা দেখে কিছুদিন আগে সদ্য সমাপ্ত ফুটবল বিশ্বকাপের কথা মনে পড়ে গেল।যদিও এবারের বিশ্বকাপ খেলাটি আমার কাপে খুব ভালো লেগেছে।তার একটাই কারণ আমার প্রিয় দল অনেক বছর এবারের বিশ্বকাপ নিয়েছে।যাইহোক, দৃশ্যটি আমার কাছে খুব ভালো লাগে।তাই সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করে ফেলি।

মাঠের পাশে একটি বাসায় বিভিন্ন রকমের গন্ধরাজ ফুল দেখতে পেলাম।আর ফুল আমার ভিষণ পছন্দ।তা যে কোন ফুল হউক না কেন।তাই সাথে সাথে ফুলের দৃশ্যটি ফটোগ্রাফি করে ফেলি।

মাঠে কিছুক্ষন থাকার পর আমার এক বন্ধুর ছেলেকে নিয়ে ওদের সরিষা খেতে যাই।আসলে সরিষা ফুলের দৃশ্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।আর আমার এতটাই ভালো লেগেছে যে সাথে সাথে ফুলের দৃশ্যটি ফটোগ্রাফি করে ফেলি।

সরিষা খেতের পাশেই একটি ছোট বাগানে এই ফুলগুলো দেখতে পেলাম।দেখতে খুব সুন্দর লেগেছিল। তাই সাথে সাথে ফুলের দৃশ্যটি ফটোগ্রাফি করে ফেলি।

বাগানে থেকে বের হয়ে কিছুটা হাঁটার পরে রাস্তার পাশে এই ফুলের গাছটি দেখতে পেলাম।যদিও এই ফুলের নামটি আমার মনে পরছে না।তবে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।যার দরুন সাথে সাথে ফুলের দৃশ্যটি ফটোগ্রাফি করে ফেলি।

রাস্তার পাশে এক বাসায় এই ফল গাছটির দিকে আমার চোখ গেল।গাছে একটি পাতাও নেই ।শুধু ডাল আর ফল ঝুলে আছে। এই ফলটি আপনাদের কম বেশি সকলেরই পরিচিত।বলুন তো বন্ধুরা এটা কি ফল?

বাসায় আসার পথে এক বাসার সামনে এই পাতাজাতীয় গাছটির দিকে চোখ গেল।আসলে এর আগে এই জাতীয় গাছ আমার চোখে পরেনি।আর আমার কাছে এই পাতাজাতীয় গাছটি খুবই ভালো লেগেছে।অবশ্য গাছটির নাম এখনও জানি না ।কেউ জেনে থাকলে আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

পাতাজাতীয় গাছটির পাশেই এই গাছটি ছিল।আর এই গাছটি আপনারা কমবেশি সকলেই চিনে থাকবেন।এটি হচ্ছে লেটুস পাতা গাছ।এ পাতায় নিয়মিত খেলে বার্ধক্য আসে দেরিতে এবং ত্বকের বলিরেখাও পড়ে না।ঠাণ্ডাজনিত অসুখ হাঁচি, কাশি, কফ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করতে এবং সালাদেও প্রতিদিন লেটুসপাতা খেতে পারেন।কাঁচা বা ভাজা লেটুসপাতার সালাদ রক্ত পরিষ্কার করে, হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।

আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।