সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি "কুমড়ার শাক দিয়ে গইন্না মাছের চচ্চড়ি"।। [১০% লাজুক শিয়ালের জন্য]
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু
হায় বন্ধুরা
কেমন আছেন?
আশাকরি,আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে "কুমড়ার শাক দিয়ে গইন্না মাছের চচ্চড়ি"রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।কুমড়া শাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন -সি রয়েছে।তাছাড়া দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। এমনকি দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার কুমড়ার শাকের তরকারি বা কুমড়ার পাতার রস খেতে পারেন।আর গইন্না মাছের শুটকির সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত।মাছটি খেতে ও খুবই সুস্বাদু।"কুমড়ার শাক দিয়ে গইন্না মাছের চচ্চড়ি"রেসিপিটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও খুবই মজাদার হয়েছিল। আশাকরি,রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণের তালিকা
ক্রমিক নং | উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | গইন্না মাছ | ৭-৮ টি |
২ | কুমড়ার শাক | সামান্য পরিমাণ |
৩ | পেঁয়াজ | ২ টি |
৪ | কাঁচা মরিচ | ৬-৭ টি |
৫ | হলুদ ফাঁকি | ১ চামচ |
৬ | মরিচ ফাঁকি | দেড় চামচ |
৭ | জিরা ফাকি | ১ চামচ |
৮ | ধনিয়া পাতা | সামান্য পরিমাণ |
৯ | লবন | স্বাদমতো |
১০ | সয়াবিন তেল | যতটুকু দরকার |
উপকরণের ছবি
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
প্রথম ধাপ
চুলাতে একটি ফ্রাইপ্যান বসাবো।
দ্বিতীয় ধাপ
ফ্রাইপ্যানের মধ্যে সয়াবিন তেল দিয়ে দিবো।
তৃতীয় ধাপ
এরপর তেল একটু গরম হলে আগে থেকে হলুদ ও মরিচ ফাঁকি দিয়ে মিশিয়ে রাখা মাছগুলো একে একে ফ্রাইপ্যানের মধ্যে দিয়ে ভালো করে ভেজে নিবো।
চতুর্থ ধাপ
মাছগুলো ভালো করে ভাজা হলে একটি বাটিতে নামিয়ে নিবো।
পঞ্চম ধাপ
এরপর পুনরায় চুলাতে ফ্রাইপ্যান বসাবো।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর ফ্রাইপ্যানের একটু সয়াবিন তেল দিয়ে নিবো।
সপ্তম ধাপ
এরপর তেল একটু গরম হলে কুঁচি করে কাটা পেঁয়াজ এবং লবণ দিয়ে নিবো।
অষ্টম ধাপ
এরপর আদা ও রসুন বাটা দিয়ে দিবো।
নবম ধাপ
এরপর হলুদ ও মরিচ ফাঁকি দিয়ে দিবো।
দশম ধাপ
এরপর জিরা ফাঁকি দিয়ে দিবো।
একাদশ ধাপ
একটু পানি দিয়ে দিবো। এরপর পানির সাথে মসলা মিশিয়ে একটু জ্বাল দিয়ে কসিয়ে নিবো।
দ্বাদশ ধাপ
পুনরায় আবার পানি দিয়ে নিবো।এরপর একটু জ্বাল দিয়ে নিবো যতক্ষণ বলক না আসে।
ত্রেয়দশ ধাপ
এরপর যখন বলক আসবে তখন কুমড়ার শাক ছোট ছোট টুকরো করে কেটে দিয়ে দিবো।
চর্তুদশ ধাপ
এরপর আগে থেকে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিবো।
শেষ ধাপ
কাঁচা মরিচ দিয়ে একটু জ্বাল দিবো।এরপর নামানোর একটু আগে কুঁচি করে কাটা ধনিয়া পাতা দিয়ে দিবো। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি "কুমড়ার শাক দিয়ে গইন্না মাছের চচ্চড়ি"।
পরিবেশন
পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে "কুমড়ার শাক দিয়ে গইন্না মাছের চচ্চড়ি"রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার তৈরি করা "কুমড়ার শাক দিয়ে গইন্না মাছের চচ্চড়ি"রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের সহযোগিতায় আমাকে সামনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমার তৈরি করা রেসিপি পোস্টটি আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
Photographer
@anisshamim
Device
Google Pixel 4a
আল্লাহ হাফেজ
Photographer | @anisshamim |
---|---|
Device | Google Pixel 4a |
কুমড়াশাক দিয়ে আপনার এই গইন্না মাছের চচ্চড়ি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু আসলে আমি এই মাছের নাম আজকে প্রথম শুনেছি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে আর আমার কাছে এরকম রেসিপি খেতে ভালো লাগে।
আসলে এই মাছের শুটকি সাথে সবাই কম বেশি পরিচিত। আমার তৈরি করা রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
এই মাছের নাম আমি প্রথম শুনেছি মনে হচ্ছে খুবই মজার একটি মাছ নিশ্চয়ই খেতে অনেক মজা হয়েছে। অবশ্য কুমড়োর শাক আমার খুবই প্রিয় সাথে কুমড়োর শাল ব্যবহার করাতে সাধ মনে হয় আরো বেড়ে গেছে।
হা আপু মাছের সাথে কুমড়ার শাক দেওয়াতে স্বাদটা খুব বেশি হয়েছিল। আমার রেসিপি পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এই মাছটির নাম আমি প্রথম শুনেছি আর কখনো দেখিনি শুনিওনি। তাই এটি খেতে কেমন সেটাও জানি না। তবে ছোট ছোট মাছ গুলোকে দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে আপনার রান্নাটা বেশ মজা হয়েছে।
আপু এই মাছের শুটকি কম বেশি অনেকের নিকট পরিচিত। এটা নলা জাতীয় মাছ।কুমড়া শাক দিয়ে রেসিপিটি খুবই মজা হয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
সুস্বাদু লোভনীয় এবং মজাদার মাছের রেসিপি প্রস্তুত করেছেন রেসিপিটি দেখে অনেক লোভ হচ্ছে আসলে যে কোন মাছ ভাজি করে এভাবে রেসিপি প্রস্তুত করলে সব সময় খেতে অনেক মজাদার হয়ে থাকে
প্রতিবারের মতো এবার ও এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
গইন্না মাছের নাম প্রথম শুনলাম।তবে গনগনে বলে মাছের নাম শুনেছি।যাইহোক মাছটি দেখে ও নতুন লাগলো, আপনার রেসিপিটা সুন্দর হয়েছে।ভালো লাগলো দেখে ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এই মাছের শুটকি খুবই পরিচিত এবং অনেক দাম। এটা নলা জাতীয় মাছ। আমার তৈরি করা রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আপু আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কুমড়া শাক দিয়ে খুব সুন্দর করে গইনন্না মাছের রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। এরকম সবজি রেসিপি গুলো খেতে বেশ ভালো লাগে। দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে । ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
কুমড়ার শাক দিয়ে গইন্না মাছের চচ্চড়ির রেসিপি তৈরি করে আপনি আজকে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে আপনার রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আরো সুন্দর ও সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
কুমড়ার শাক দিয়ে গইন্না মাছের চচ্চড়ি এই রেসিপি আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। কারণ কুমড়ার শাক আর গইন্না মাছ কখনো খাওয়া হয়নি।আমি মনে হয় গইন্না মাছ কখনো দেখিনি তাই খুব ইউনিক লেগেছে। আপনার রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব খুশি ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনার এত সুন্দর মন্তব্য আমাকে আরো সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করতে উৎসাহ যোগাবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
আমি ব্যক্তিগতভাবে শাক অনেক বেশি পছন্দ করি আর শাক দিয়ে যেকোনো ধরনের মাছ রান্না করলে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় মনে হয়। আপনার এই রেসিপিটি দেখে জিভে জল এসে গেল শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আমি ও খুব শাক পছন্দ করি। আমার তৈরি করা রেসিপি পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।