"আমের ঝাল আচার,তেল ও চানাচুর দিয়ে ঝাল মুড়ি" রেসিপি।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ।
হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন?
আশাকরি,আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে আমের ঝাল আচার, তেল ও চানাচুর দিয়ে ঝাল মুড়ির রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।আমার জানা মতে,কম বেশি অনেকেরই ঝাল মুড়ি পছন্দ।আর আমের ঝাল আচার অথ্যাৎ আম,সরিষার তেল,শুকনো মরিচ,রসুন ও বোম্বাই মরিচের সমন্বয়ে আচার হলে ঝালের সাথে হালকা একটু টক লাগে যা খেতে খুবই মজাদার লাগে।আর বিকেলে বা সন্ধ্যা এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডার সময় ঝাল মুড়ি খাওয়ার স্বাদের তুলনাই হয় না। রেসিপিটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও খুবই মজাদার হয়েছিল। আশাকরি,রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণের তালিকা
| ক্রমিক নং | উপকরণের নাম | পরিমাণ |
|---|---|---|
| ১ | মুড়ি | ২০০ গ্রাম |
| ২ | চানাচুর | ১৫০ গ্রাম |
| ৩ | পেঁয়াজ | ৩ টি |
| ৪ | কাঁচা মরিচ | ৪-৫ টি |
| ৫ | আম ও বোম্বাই মরিচের আচার | পরিমাণমতো |
| ৬ | আচারের তেল | পরিমাণমতো |
| ৭ | লবন | স্বাদমতো |
উপকরণের ছবি
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে পেঁয়াজ নিয়ে কুঁচি করে কেটে নিবো।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর কাঁচা মরিচ কুঁচি করে কেটে নিবো।
তৃতীয় ধাপ
চতুর্থ ধাপ
এরপর কুঁচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে নিবো।
পঞ্চম ধাপ
এরপর লবন দিয়ে নিবো।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর সবগুলো ভালো করে মতে নিবো।
সপ্তম ধাপ
অষ্টম ধাপ
এরপর মুড়ি দিয়ে নিবো।
নবম ধাপ
এরপর মুড়ির উপরে পুনরায় আচারের তেল দিয়ে নিবো।
দশম ধাপ
শেষ ধাপ
পরিবেশন
পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে আমের ঝাল আচার, তেল ও চানাচুর দিয়ে ঝাল মুড়ির রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার তৈরি করা আমের ঝাল আচার, তেল ও চানাচুর দিয়ে ঝাল মুড়ির রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য আমাকে সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
| Photographer | @anisshamim |
|---|---|
| Device | Google Pixel 4a |
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আচার দিয়ে মুড়ি মাখা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই মজার খাবারটি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আমের আচার আর মুড়ি মাখা দুটো মিলেমিশে বেশ ভালো লেগেছে বোঝাই যাচ্ছে। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
আচারের তেল দিয়ে মুড়ি মাখা দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। সত্যি আমার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো।রেসিপিটি অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছেন।আসলে মাখানোর অভাবে খাওয়া হয় না।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, উৎসব মূলক মন্তব্য করার জন্য।
ঝালমুড়ি আমার এমনিতেই খুব পছন্দ। আর সাথে যদি হয় আচার অথবা আচারের তেল, তাহলে তো কথাই নেই। আপনার ঝাল মুড়ি রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। মনে হচ্ছে মামাদের ঝাল মুড়ির মত হয়েছে খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া মজার রেসিপি জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত চমৎকার উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য।
আমের ঝাল আচার শুনেই তো জিভে পানি চলে এলো।আপনার মুড়ি বানানো দেখে এখন তো খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। টক আর ঝাল দুটোই আমার খুব প্রিয়।আর মুড়ি ও পছন্দ করি।আপনারা খুব মজা করে খেয়েছেন তাই না। খুব মজার ঝালমুড়ি রেসিপি শেয়ার করলেন ভাইয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আচারের তেল দিয়ে মুড়ি মাখানো দেখেই তো জিভে পানি চলে আসলো। এমনিতেই মুড়ি মাখানো আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। সময় সুযোগ পেলেই মুড়ি মাখানো খাই। এটা ঠিক আচারের তেল দিয়ে মুড়ি মাখালে এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
বাহ্! খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। ঝালমুড়ি আমার খুব পছন্দ। মাঝেমধ্যে বিকেল বেলা ঝালমুড়ি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি বেশ কয়েকটি উপকরণ দিয়ে মজাদার ঝালমুড়ি তৈরি করেছেন। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। মাঝেমধ্যে আমিও বাসায় ঝালমুড়ি তৈরি করে থাকি। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এজাতীয় মুড়ি মাখানো খেতে বেশ ভালো লাগে ভাইজান। আমি এমনিতে মুড়ি পাগল মানুষ। যখন তখন খেয়ে বসি। ল্যাপটপ ব্যবহার করার মুহূর্তে ও মুড়ি আর চানাচুর মিশানো চিবাতে থাকি। তাই আপনার রেসিপি দেখে বড়ই লোভনীয় লেগেছে আমার।