"টক-ঝাল কাঁঠালের মুছি ভর্তার" রেসিপি।।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ।


হ্যালো বন্ধুরা


কেমন আছেন?


আশাকরি,আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন স্বাদের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।আসলে যারা গ্রামের পরিবেশে বড় হয়েছেন এবং মাঝ বয়সী তারা অনেকেই এটা খেয়ে থাকবেন।যদিও এ ধরনের রেসিপি বর্তমানে গ্রামেও করতে দেখা যায় না।তবে আমি প্রায় সময়ই শখ করে খেয়ে থাকি। রেসিপিটি হচ্ছে টক-ঝাল কাঁঠালের মুছি ভর্তার রেসিপি।অবশ্য অনেকে কাঁঠালে পরিবর্তে ছোট কচি লাউ দিয়ে ও খেয়ে থাকবেন।আর রেসিপিটি তৈরি করার সময় আপনার জিভে জল চলে আসবেই। আশাকরি,রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।

Polish_20230312_172021167.jpg

PXL_20230311_153418995.jpg

PXL_20230311_153406770.jpg

PXL_20230311_153403834.jpg



উপকরণের তালিকা

ক্রমিক নং উপকরণের নাম পরিমাণ
কাঁঠালের মুছি ৩-৪ টি
তেঁতুল পরিমাণ মতো
টমেটো ২-৩ টি
ধনিয়া পাতা সামান্য পরিমাণ
তেঁতুল ও ধনিয়ার গোলা ১-২ টি
শুকনো মরিচ ৪-৫ টি
চিনি পরিমাণ মতো
লবন স্বাদমতো
বিট লবণ পরিমাণ মতো

উপকরণের ছবি


Polish_20230312_171529224.jpg


রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ



প্রথম ধাপ


Picsart_23-03-12_20-16-54-730.jpg


প্রথমে কাঁঠালে মুছিগুলো ছুরির সাহায্যে ছোট ছোট টুকরো করে নিবো।

দ্বিতীয় ধাপ


Picsart_23-03-12_20-45-45-628.jpg


এরপর কুঁচি করা কাঁঠালের মুছিগুলো ছেঁচে নিবো।যাতে একটু নরম হয়।

তৃতীয় ধাপ


Picsart_23-03-12_20-18-38-870.jpg



এরপর ধনিয়া পাতাগুলো কুঁচি করে কেটে নিবো।

চতুর্থ ধাপ


Picsart_23-03-12_20-18-58-063.jpg



এরপর টমেটোগুলো ছোট ছোট টুকরো করে নিবো।

পঞ্চম ধাপ


Picsart_23-03-12_20-18-06-324.jpg


এরপর চুলাতে একটি পাত্র বসিয়ে শুকনো মরিচ দিয়ে একটু ভেজে নিবো।

ষষ্ঠ ধাপ


Picsart_23-03-12_20-19-33-110.jpg



এরপর একটি প্লেট নিয়ে এতে বিট লবন নিয়ে নিবো।

সপ্তম ধাপ


Picsart_23-03-12_20-19-50-829.jpg


এরপর ভেজে রাখা শুকনো মরিচ দিয়ে বিট লবনের সাথে মতে নিবো।

অষ্টম ধাপ


Picsart_23-03-12_20-20-15-439.jpg


এরপর কুঁচি করে কেটে রাখা ধনিয়া পাতা এবং আগে থেকে তৈরি করে রাখা তেঁতুল ও ধনিয়া পাতার গোলা হাতের সাহায্যে ভালো করে মিশিয়ে নিবো।

নবম ধাপ


Picsart_23-03-12_20-20-42-803.jpg


এরপর কুঁচি করা নরম কাঁঠালের মুছি ও তেঁতুল দিয়ে নিবো।

দশম ধাপ


Picsart_23-03-12_20-21-18-596.jpg



এরপর টমেটো ও চিনি দিয়ে নিবো।

একাদশ ধাপ


PXL_20230311_152417448.jpg



এরপর লবন দিয়ে নিবো।

শেষ ধাপ


PXL_20230311_153328789.jpg


এরপর সবগুলো উপকরণ ভালো করে হাতের সাহায্যে মিশিয়ে নিবো।এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু ও মজাদার টক-ঝাল কাঁঠালের মুছি ভর্তার রেসিপি।

পরিবেশন


Polish_20230312_172021167.jpg

PXL_20230311_153418995.jpg

PXL_20230311_153406770.jpg

PXL_20230311_153403834.jpg


পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে টক-ঝাল কাঁঠালের মুছি ভর্তার রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার তৈরি করা টক-ঝাল কাঁঠালের মুছি ভর্তার রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য আমাকে সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।



ফটোগ্রাফির বিবরণ


Photographer @anisshamim
Device Google Pixel 4a

আমার পরিচিতি


PXL_20210326_120329396.MP.jpg


আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



আল্লাহ হাফেজ


Sort:  
 last year 

ছোটবেলায় মুছি ভর্তা কত খেয়েছি বলে শেষ করা যাবে না।তবে এখন আবার কবে খেয়েছি সেটাও কিন্তু আর মনে পড়ছেনা । আপনি খুব চমৎকারভাবে টক-ঝাল কাঁঠালের মুছি ভর্তার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।আর রেসিপিটি দেখে জিভে পানি চলে আসলো।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

 last year 

কাঁঠালের মুচি আমি লবণ দিয়ে খেয়েছি। কিন্তু এভাবে ভর্তা বানিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমিও একবার বাসায় তৈরি করে দেখবো।ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার রেসিপি দেখতো লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনার শেয়ার করা কাঁঠালের মুচি ভর্তা দেখে তো জিভে জল চলে এলো। রেসিপিটি দেখতে অত্যন্ত সুন্দর লাগছে নিশ্চয়ই খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। এমন ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খেতে সবারই ভালো লাগার কথা। এমন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

কাঁঠালের মুছি ভর্তা কখনোই খাওয়া হয়নি। আমার জানা ছিল না যেগুলো এভাবে কাঁঠালের মুছি ভর্তা করে খাওয়া যায়। আপনার মাধ্যমে আজকে সম্পূর্ণ ইউনিক একটা রেসিপি দেখতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে কাঠালের মুছি ভর্তা রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

এই জিনিসটা আমার কখনো খাওয়া হয়নি।আপনার রেসিপি করতে দেখে আমার জিভে জল চলে এলো। 😋খুব ঝাল ঝাল, টক টক খুব ভাল ই লাগে।মজার রেসিপি এই গরমে খুব ভাল লাগে। বিশেষ করে দুপুরে।ধন্যবাদ ভাইয়া মজার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

হা আপু এটা ঠিক গরমে এবং দুপুরবেলা এ জাতীয় রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

টক ঝাল কাঁঠালের মুচি ভর্তা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তবে আমি এরকম ভাবে কখনোই কাঁঠালের মুচি ভর্তা করে খায়নি। রেসিপিটি একদম ইউনিক লেগেছে আমার কাছে আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

একদিন এভাবে বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন খুবই মজা পাবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

টক-ঝাল কাঁঠালের মুচি ভর্তার রেসিপি দেখে তো জিভে পানি চলে এলো ভাই। কাঁঠালের মুচি ভর্তা অনেক আগে খেয়েছিলাম। এই ভর্তা খেতে বেশ ভালো লাগে আমার। সাথে টমেটো, তেঁতুল এবং ধনিয়া পাতা দেওয়াতে স্বাদ মনে হচ্ছে অনেক বেড়ে গিয়েছে। নিশ্চয়ই ভর্তাটি খুব মজা করে খেয়েছেন। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

হা ভাই,এ জাতীয় ভর্তা আমার খুবই প্রিয়।আর স্বাদের তুলনাই হয় না।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

ভাইয়া আপনার টক ঝাল কাঁঠালের মুচি রেসিপি দেখতে দারুন লাগছে খেতেও নিশ্চয় লোভনীয় ছিল।বেশ অনেক উপকরণ দিয়ে আপনি রেসিপিটি তৈরি করেছেন ভাইয়া।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ।

 last year 

আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 59013.49
ETH 2516.64
USDT 1.00
SBD 2.48