হাসির গল্প "বাজার ফেরত" এর প্রথম পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। আমি আমার গল্পের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি একটু বিনোদন দেওয়া জন্য।আর সেই হিসেবে আজও আপনাদের মাঝে বাজার ফেরত হাসির গল্পের প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আশাকরি,এবারও এই গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজ শুক্রবার। গতকাল সাপ্তাহিক বাজার করার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের কারনে আর করা সম্ভব হয়নি। তাই আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম বাজার করার উদ্দেশ্যে আর বাসা থেকে ও বের হলাম। এমন সময় আমার এক চাচাতো ভাইয়ের সাথে দেখা হলো।বিভিন্ন বিষয়ে তার সাথে কথা হল। কথার এক পর্যায়ে তিনি আমাকে বললেন, কি দিনকাল যে আসল ! আগে রিকশাওয়ালাদের সাথে কি দারুণ একটা সম্পর্ক ছিল !
অথচ এখন তাদের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হয়ে গেছে। কবে যে এই অবস্থার উন্নতি হবে! আমি বড় ভাইয়ের কথা শুনে বললাম,উন্নতি অবনতি পরের ব্যাপার। আগে বলেন ভাই, রিকশাওয়ালাদের সাথে দুরত্ব তৈরি হওয়ার কারন কি? বড়ভাই আমার কথা শুনে বললেন,কারণ একটাই যে এখন আর রিকশায় উঠি না।
বড় ভাই আরও বললেন, কেন উঠি না,জানিস? আমি বললাম,কেন ভাই?বড় ভাই বললেন,তবে তুমি শোন,আগে যখন বাজারে যেতাম,সবসময় হেঁটে হেটেঁ যেতাম।যেহেতু বাজার বাসার খুবই কাছে। কিন্তু বাজার থেকে যখন বাসায় ফিরতাম তখন রিকশায় করে ফিরতাম।কারণ,হাতে বিরাট একটা বাজারের ব্যাগ থাকত। তা আবার অনেক ওজনদার ব্যাগ হতো।
আর এখন জিনিসপত্রের দাম এত বেশি বেড়ে গেছে যে,এখন বাজারে গেলে প্রায় খালি হাতে ফিরতে হয়।বাজার-সদাই করলেও তার ওজন কোনোভাবেই দুই-তিন কেজির বেশি না।ফলে রিকশায় ওঠার দরকারই পড়ে না।এভাবেই রিকশাওয়ালাদের সঙ্গে দুরত্ব বেড়েই যাচ্ছে।আবার হাতে ভারী ব্যাগ নিলে মাসলের যে ব্যায়ামটা হতো,তাও এখন আর হচ্ছে না।একদম স্বাস্থ্যঝুকিতে পড়ে যাচ্ছি।কি যে করি!
এমন সময় আমাদের পাশে ছিল আমার এক বন্ধু। সে হালকা মুচকি হাসি দিয়ে বলল,আমরা যখন বিয়ে -শাদি করেছি, তখন বিলেতফেরত, পাত্রের সাংঘাতিক ডিমান্ড ছিল।বিলেতফেরত মানেই বিশেষ কিছু। আর এখন বিলেতফেরতের চেয়ে বাজার ফেরত কথাটাই বেশি প্রচলিত।
আফসোসের বিষয় হচ্ছে,বিলেতফেরত ছেলেকে সবাই মাথায় তুলে নাচলেও বাজার ফেরত স্বামীকে কোন বউ মাথায় তুলে নাচে না।বরং আছাড় মারার চেষ্টা করে। এ জন্যেই হয়তো কবি বলেছেন-
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না!
আজ এই পযর্ন্তই।অন্য দিন এর পরবর্তী পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
হ্যাঁ এখন বর্তমান যে অবস্থা তাতে পকেট খালি হয়ে যায় কিন্তু ব্যাগ ভর্তি করা যায় না এই জন্যই রিক্সার আর প্রয়োজন পড়ে না। দ্রব্যমূল্যের দাম এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে যেটা বলার বাইরে।
হাহাহা গল্পটি বেশ মজার ছিল। তবে গল্পের আড়ালে নিখাদ একটি বাস্তবতা রয়েছে। আগে যে টাকায় ব্যাগ ভরত এখন তা দিয়ে ব্যাগের অর্ধেক ও ভরে না। আপনার চাচাতো ভাই অনেক রসিক মানুষ।ধন্যবাদ ভাইয়া মজার গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার চাচাতো ভাই ঠিক বলেছেন। বাস্তবে এখন রিকশাওয়ালার সাথে দূরত্ব বেড়ে গেছে। কারণ এখন বাজারে গেলে বারি ব্যাগ নেই। কারণ বাজার সদাইগুলোর দাম বেশি এই কারণে বাজারের ব্যাগগুলো দুই তিন কেজির উপরে হয় না। এই কারণে এখন রিকশায় ওঠা দরকার হয় না। যাই হোক পরের পর্বে অপেক্ষায় আছি। ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার চাচাতো ভাই কিন্তু ঠিকই বলেছে ভাই, জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, এতে করে ব্যাগ ভর্তি বাজার করতে হলে মিনিমাম ৬/৭ হাজার টাকার বাজার করতেই হবে। গল্পের মধ্যে হাসির আড়ালে চরম বাস্তব কথা বলেছেন ভাই। যাইহোক গল্পটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।