স্বরচিত কবিতা "মুক্তির জয়গান "।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হায় বন্ধুরা
আমি আনিসুর রহমান। আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।আজ দেখতে দেখতে আমাদের মাঝ থেকে ৫২ তম বিজয় দিবস শেষ হয়ে গেল।দেশ স্বাধীন হয়ে সেই কবে। কিন্তু আমরা যেন আজও পরাধীন। কিন্তু কেন? দেশকে স্বাধীন করার জন্য কত মায়ের স্নেহের ধন নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছে।এনে দিয়ে সবুজের মাঝে দেহের তাজা লাল রক্তের সেই পতাকা। কিন্তু এই পতাকারইবা আমরা কতটুকু মূল্যায়ন করতে পারছি।মুখে মুখে দেশকে ভালো বাসি বললেই তার দ্বায়িত্ব শেষ হয় না।বিভিন্ন কাজ কর্মের মাধ্যমে তা প্রকাশ করতে হয়।আসলে দেশের জন্য যে মা তার সন্তানকে দেশের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন। সেই মাই বুঝে দেশকে ভালো বাসা বা দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়ার মাঝে কি সুখ!কি আনন্দ! মুখে মুখে দেশ প্রেম বলে কাজে তা প্রকাশ না করলে সেটা দেশপ্রেম বলা যায় না।সবকিছু উজাড় করে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে যখন দশের স্বার্থে জীবন উৎসর্গ করতে পারবেন সেটাই দেশ প্রেম।যাইহোক, আজ আমি দেশের জন্য একটি কবিতা লিখে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করিলাম।আশাকরি,কবিতাটি আপনাদের ভালো লাগবে।
মুক্তির জয়গান
আনিসুর রহমান
ওহে,স্বাধীনতার মুক্তিসেনা,
যেমনি করে দেশকে মুক্ত করেছ হানাদারের কবল থেকে,
তেমনি করে শোষনের বিরুদ্ধে কেন আজ উঠছো না হেঁকে?
তোমরা তো ভীত হওনি সেই কালো রাত্রির ছোবলে?
আজ কেন পরিণত হয়েছে জীর্ণ শীর্ণ দুর্বলে!
তোমাদের সেই জ্বালাময়ী উদ্যাম হৃদ স্পন্দন,
এনে দিয়েছে মোদের জীবনে শান্তি ও স্বাধীনতার বন্ধন।
তোমরা তো কত মায়ের স্নেহের আদুরে সন্তান,
কেন আজ মুখ বুজে সইবে সেই মায়ের অপমান।
তোমরা তো ছিনিয়ে এনেছিলে স্বাধীনতার লাল সূর্য,
তবু কেন পাওনি তোমাদের জীবনের সকল সৌন্দর্য।
মুক্তির নেশায় কত ভাই হয়েছে শহীদ দিয়েছে প্রাণ,
সেই রক্তের শপথে গেয়ে যাও মুক্তির গান।
তোমাদের পথ চেয়ে আছে কত পুত্র হারা মা,
অত্যাচার হতে মুক্তির জন্য বাজাও আবার যুদ্ধের দামামা।
জেগে উঠ,উজ্জীবিত হও,ওহে মুক্তিসেনা,
সময়ের আবর্তে,এ দিন আর ফিরে পাবে না।।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
চারিদিকে শুধু অন্যায়ের দাবানল দাও দাও করে জ্বলছে। ন্যায় পাওয়া তো দূরে থাক,ন্যায় চাইতে গেলেও হতে হয় নিপীড়িত। আমরা এ কোন সমাজে বসবাস করছি। যে সমাজে অন্যায়ের কালো থাবা মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। এজন্য কি শহীদ ভাইয়েরা প্রাণ দিয়েছে? তাদের এত বড় বলি দানের কথা ভুলে গিয়ে আমরা দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি। দেশকে নিঃস্বার্থভাবে কতটুকু ভালবাসতে পারছি? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। মনে হয় আবারো নতুন করে যুদ্ধ বাধিয়ে দেই। যাই হোক ভাই, আপনার কবিতাটি যথার্থই লিখেছেন। যা পড়ে খুব ভালো লাগলো। প্রতিটা লাইন অসাধারণ ছিল।"মুক্তির জয়গান"কবিতাটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার স্বরচিত কবিতাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যি দেশকে স্বাধীন করার জন্য কত মা তার সন্তানকে হারিয়েছে। আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন মন ছোঁয়া। বাস্তবিক অনেক কথা ফুটে উঠেছে আপনার এই কবিতাটির মাধ্যমে। এরকম বাস্তবিক কথা এবং সত্যি কথা এরকম কিছুর মাধ্যমে ফুটে উঠলে তা ভীষণ ভালো লাগে। সত্যি বলতে আমি কবিতা পড়তে একটু বেশি পছন্দ করি যে কোন সময় কবিতা পড়ে থাকি। সত্যি আমাদের দেশ এই দিনে স্বাধীন হয়েছিল। যাকে আমরা বিজয় দিবস বলে থাকি।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া দেশ স্বাধীন হয়েছে কবে কিন্তু আমরা যেন আজ ও পরাধীন। কারণ আমার আমাদের স্বাধীনতাকে সঠিক ভাবে রক্ষা করতে পারছি না। মুক্তির জয়গান নিয়ে চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। সত্যি তো, মুক্তির নেশায় কত ভাই হয়েছে শহীদ দিয়েছে প্রাণ,
সেই রক্তের শপথে গেয়ে যাও মুক্তির গান।অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, আমার স্বরচিত কবিতাটি পড়ে এত চমৎকার মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
কথায় তে আছে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। আমরা এই কঠিন কাজগুলো করতে চাই ও না এবং চেষ্টা করিও না।আমরা দোশ নিয়ে গর্ব করি ঠিক, কিন্তু আমার দেশ নিয়ে ভাবি না।যাই হোক কবিতাটা বেশ সুন্দর লিখেছেন দেশ নিয়ে।প্রতিটি লাইন অসাধারণ। ধন্যবাদ
হা আপু, আমরা দেশের কথা খুব একটা ভাবি না।বিজয় হয়েছে সেই ৫২ বছর আগে। কিন্তু এখনও মনে হয় যেন পরাধীন।আসলে আমাদের শহীদ ভাইয়েরা দেশকে স্বাধীন করেছেন। আর এটা রক্ষা করার দ্বায়িত্ব আমাদেরই।
দেশপ্রেম নিয়ে আপনি খুবই চমৎকার একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যিই আমরা অনেকেই মুখে মুখে দেশকে ভালবাসি বললেও দেশের জন্য হয়তো আমরা কিছুই করতে পারছি না। একমাত্র তারাই দেশের মূল্য বোঝে যারা নিজের সন্তানকে উৎসর্গ করেছে এই দেশের জন্য এই ভাষার জন্য। আসলে ভালোবাসাটা মুখে মুখে বললে সেটা ভালোবাসা হয় না হৃদয়ের গহীন থেকে ভালোবাসাটা উজাড় করে দিতে হয়। মুক্তির জয়গান এই কবিতাটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো এরকম কবিতা আপনার কাছ থেকে আশা করব প্রতিনিয়ত।
হা ভাইয়া ঠিকই, মুখে মুখে দেশকে ভালোবাসি বললেই ভালোবাসা হয় না।কাজে কর্মে প্রকাশ করতে হয়।প্রয়োজনে দেশের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে।তবেই প্রকৃত দেশ প্রেম ফুটে উঠবে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, কবিতাটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হাজারও মা বোনের ইজ্জত হাজারো ভাইয়ের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল আমাদের এই স্বাধীনতা। স্বাধীনতার 52 বছর পার হলেও কেন জানি মনে হয় দেশটা আজও পরাধীনই রয়ে গেছে কিছু লোকের হাতের জিম্মি থেকে।।
যা হোক আপনার কবিতাটি অসাধারণ ছিল।।
ভাই এটাই তো সবচেয়ে বড় দুঃখ। এত কষ্ট ও সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা কিছু মুষ্টিমেয় মানুষের কাছে আজও যেন জিম্মি।
সত্যিই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেও দারিদ্র্যতা আর দুর্নীতির ছোবলে পরাধীন হয়ে গেছি। ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি সবাই। কবে আবার হবে সেই মুক্তির যুদ্ধ, পথ চেয়ে রয়েছি। যুদ্ধটা আবারো করতে হবে।
ভীষণ জ্বালাময়ী কবিতা ছিল ভাই।
দোয়া রইল, লিখে যান।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,কবিতাটি পড়ে এত সুন্দর অর্থবহ মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ভাইয়া।
ঠিক ভাই আমরা শুধু মুখে মুখেই হয়তো বলে চলেছি দেশকে ভালোবাসি কিন্তু কর্মের মাধ্যমে সেটা করে দেখাচ্ছি না। এটা বড়ই আফসোসের ব্যাপার।
দারুণ লিখেছেন ভাই কবিতা টা। খুব ভালো লাগল একেবারে বাস্তবিক কথাগুলো তুলে ধরেছেন কবিতায়।।
সত্যিকারের দেশ প্রেমিক তো সে, যে কাজে কর্মে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া কবিতাটি পড়ে এত চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আমাদের এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য অনেক মা হারিয়েছে তার সন্তানকে অনেক স্ত্রী হারিয়েছে তার জীবনসঙ্গীকে অনেক বোন হারিয়েছে তার ভাইকে। লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর এই দিনে আমরা আমাদের দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছি। এই দিনটি সকলের কাছে একটি স্মরণীয় দিন হিসেবে সব সময় থেকে যাবে। আপনার এই কবিতাটির মাধ্যমে অনেক কিছুই ফুটে উঠেছে যা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। অনেক সত্যি কথা তুলে ধরেছেন এই কবিতাটির মাধ্যমে আপনি।
হা আপু, দেশকে স্বাধীন করার জন্য ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা।আর ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় প্রাপ্তি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আমার স্বরচিত কবিতাটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।