হাসির গল্প "ফুটবলীয় জ্ঞান বনাম অজ্ঞান"এর প্রথম পর্ব।।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
রোজ-শুক্রবার।১৭ ই,অগ্রহায়ন।১৪২৯,বঙ্গাব্দ।হেমন্তকাল।।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। আমি আমার গল্পের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি একটু বিনোদন দেওয়া জন্য। কারন গল্পের মধ্যে একটু বিনোদন না হলে গল্প পড়ে মজা পাওয়া যায় না। তাছাড়া আজ হ্যংআউটে দাদার কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা শুনে খুবই ভালো লাগলো।তাই এই চাঙা মনকে আপনাদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া জন্য আবারও হাসির গল্প ফুটবলীয় জ্ঞান বনাম অজ্ঞান এর প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,গল্পটির আপনাদের ভালো লাগবে।
কোথা থেকে যেন ছুটে এসে আমার ছোট ভাই বলল,বিশ্বকাপ শুরুর পর যে হারে দেশে ফুটবল বিশেষজ্ঞ তৈরি হয়েছে,তা দেখে আমরা চোখ বন্ধ করে বলতেই পারি,দেশে এখন কাকের চেয়ে ফুটবল বিশেষজ্ঞ বেশি। কিন্তু কথাটা ঠিক না বেঠিক তা যাচাই করা কঠিন। কারণ কাক অনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিমত করেছে বলে জানা নেই। তাই আমি ছোট ভাইয়ের কথার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সহমত পোষণ না করলেও দ্বিমত করলাম না।
এই তো সেদিন পাড়ার চা স্টলে বসে আছি। একজন লোক আমাকে বললেন,জীবনে শেখার কোন শেষ নেই।সব জায়গা থেকেই শিখতে হয়।শিখতে শিখতে নিজেকে শিক্ষিত করে তুলতে হয়।অভিজ্ঞ করে তুলতে হয়। এই যে ফুটবল বিশ্বকাপ,এই ফুটবল বিশ্বকাপ থেকেও অনেক কিছু শিখার ছিল।কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, শেখার সেই সুযোগটা রাখেনি।এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক নয়,দুঃখজনকও বটে।হতাশাজনক তো বটেই।
আমি তাকে বললাম, সব ঠিক আছে। এখন আমাকে শুধু এটা বলেন,এই বিশ্বকাপ খেলা থেকে আপনার কি শেখার ছিল আর এখন কেন মনে হচ্ছে শেখার কোন সুযোগ রাখেনি।লোকটি আমাকে বলল,অন্যান্ন বিশ্বকাপে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছিলেন,একেকটা খেলোয়ারের চুল একেকটা ডিজাইনে কাটা ছিল। আর এবার প্রায় সব খেলোয়াড়ের চুল একই ডিজাইনে কাটা।মাথার দুই সাইড দিয়ে চাপানো,পেছন দিক দিয়ে চাপানো,সামনে লম্বা এই হলো ডিজাইন।
যদি সবাই এ ডিজাইনে চুল না কেটে একেকজন একেক ডিজাইনে চুল কাটত,তাহলে সেই কাটিং দেখে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারতাম না? আমার এবার কেন যেন সন্দেহ হলো।তাই আমি লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম,ভাই কিছু মনে করবেন না, আপনার পেশা কি? লোকটা এ বলে চায়ে চুমুক দিলেন,আমার একটা সেলুন আছে। নিজস্ব। এসি অলা।
এমন সময় পাশ থেকে আমার দূরসম্পর্কের এক চাচা বললেন, আমি মনেকরি ফুটবল খেলায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। বিশেষ করে পোশাকে।যদি পরিবর্তন না আনে,তাহলে আমার আমলে যে দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল,সেই দুর্ঘটনা আবারও ঘটার আশংকা আছে।
আমি উনার কাছে জানতে চাইলাম,তার আমলে কি ধরনের দুর্ঘটনা হতে যাচ্ছিল আর পোশাকে পরিবর্তন আনলে কি ধরনের পরিবর্তন আনা যেতে পারে। চাচা বললেন,আমি মনেকরি ফুটবল খেলোয়াড়েরা যে ধরনের হাফপ্যান্ট পরে,তা নিরাপদ নয়।অবশ্যই এই হাফপ্যান্টে পরিবর্তন আনতে হবে।হয়তো এই হাফপ্যান্ট বেল্ট সিস্টেম চালু করতে হবে।
নইলে আমি যেই দুর্ঘটনার শিকার হতে যাচ্ছিলাম, যে কোন খেলোয়াড়ই সেই দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।আমি আবারও দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলাম। চাচা বললেন, কেমনে বলি।হালকা লজ্জা লাগে।তোমাদের বয়সে রেগুলার ফুটবল খেলতাম তো! একদিন খেলার সময় বিপক্ষ দলের এক খেলোয়াড় আমার হাফপ্যান্ট ধরে মারল টান।তারপরের অবস্থা করুণ।
আজ এই পযর্ন্তই।যদি হাসির গল্প ফুটবলীয় জ্ঞান বনাম অজ্ঞান এর প্রথম পর্বটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তবে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।আবারও যেকোনো দিন আপনাদের মাঝে হাসির গল্প ফুটবলীয় জ্ঞান বনাম অজ্ঞান এর পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফুটবলীয় জ্ঞান বনাম অজ্ঞান এই পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি ফুটবল নিয়ে বর্তমানে সবাই অনেক মেতে উঠেছে। এটা আপনার চাচা ঠিক বলেছে শিক্ষার অনেক কিছু আছে, সব জায়গাতে শিক্ষতে হয়।লোকটার সেহেতু সেলুন আছে, তাই চুল কাটার পরিবর্তন বুঝতে পেরেছি। আর হাফপ্যান্ট পড়া নিয়ে দ্বিমত জানালো কারণ তার হাফপ্যান্ট ধরে টান মারল অবস্থা করুন হয়ে গেল এই কারণে। দেখি পরবর্তী পর্বে কি অপেক্ষা করছে।
ফুটবলীয় জ্ঞান বনাম অজ্ঞান পড়ে বেশ ভাল লাগলো। পুরো বিশ্ব আজ বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে মেতে আছে।আপনিও বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে ব্লগ লিখে শেয়ার করছেন।চাচা খেলোয়াড়দের পোশাকের পরিবর্তন আনতে বললেন। কারন তার আমলে এই নিয়ে উনি সমস্যা দেখেছেন।তাই তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকেই এমনটা বলেছে।অনেক ভাল লিখেছেন, ধন্যবাদ। পরের পর্বে কি আসবে, জানতে অপেক্ষায় রইলাম। অনেক অভিনন্দন ভাইয়া আপনাকে।
আপনার লেখাটা পড়ে ভীষণ হাসলাম কিছুক্ষণ। আসলে চায়ের দোকানে বসলেই এরকম জ্ঞান হাজার হাজার শুনতে হয়। আপনার কথাগুলো শুনে মনে হচ্ছে আমি হলে তো একদম পাগল হয়ে যেতাম। লোকেরা এগুলো কি ধরনের কথা বলছে। খেলার সাথে চুলের কি সম্পর্ক এটাও বুঝলাম না। আরেকজন তো প্যান্টের কথা বলছে। কোথায় খেলা আর কোথায় এসব। সবকিছু জ্ঞান আর অজ্ঞান এক হয়ে গেল। তবে প্যান্ট ধরে টানার কথা শুনে আরও বেশি হাসি পেল। অবশ্যই পরের পর্ব লিখবেন।