সুস্বাদু ও মজাদার "স্পাইসি পাস্তা" রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ।
হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন?
আশাকরি,আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে স্পাইসি পাস্তা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। পাস্তা খুব সহজেই রান্না করা এবং পরিবেশন করা যায়। পাস্তা ভালো হজম প্রক্রিয়া, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের পর্যাপ্ত উৎসের পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।এটি রক্তে শর্করার প্ররিমাণ নিয়ন্ত্রণ করার কারণে,ডায়াবেটিস,হৃদরোগ ইত্যাদির ঝুঁকি কমায়।বিকেলে নাস্তা ও অতিথি আপ্যায়নে বর্তমানে রেসিপি অনেকের নিকটই পছন্দের খাবার।আর আমার তৈরি করা স্পাইসি পাস্তা রেসিপিটি দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছিল খেতেও খুবই মজাদার হয়েছিল। আশাকরি,রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
উপকরণের তালিকা
ক্রমিক নং | উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | পাস্তা | পরিমাণ মতো |
২ | ডিম | ২ টি |
৩ | টমেটো | ১ টি |
৪ | পেঁয়াজ | ২ টি |
৫ | রসুন | ২ কোয়া |
৬ | টমেটো সস | ৩ চামচ |
৭ | কাশ্মীরি মরিচ | ১ চা চামচ |
৮ | জিরাগুঁড়া | ১ চা চামচ |
৯ | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
১০ | লবন | স্বাদমতো |
১১ | কাঁচা মরিচ | ৪-৫ টি |
উপকরণের ছবি
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে পেঁয়াজ কুচি করে নিবো।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর দুই কোয়া রসুন নিয়ে তাও কুঁচি করে নিবো।
তৃতীয় ধাপ
এরপর টমেটো নিয়ে তা ছোট ছোট টুকরো করে নিবো।
চতুর্থ ধাপ
এরপর কাঁচা মরিচও ছোট ছোট টুকরো করে নিবো।
পঞ্চম ধাপ
এরপর চুলাতে একটি পাতিল বসিয়ে পানি দিয়ে নিবো।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর পানি যখন গরম হবে তখন পাস্তাগুলো দিয়ে সিদ্ধ করে নিবো।
সপ্তম ধাপ
এরপর পাস্তাগুলো যখন ভালো করে সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন একটি ঝাঁঝুড়ের সাহায্যে পানি ছেঁকে নিবো।
অষ্টম ধাপ
এরপর চুলাতে একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে এতে সয়াবিন তেল দিয়ে নিবো।
নবম ধাপ
এরপর দুটো ডিম ভেঙে দিয়ে লবণ দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে নিবো।
দশম ধাপ
এরপর ডিম দুটো ভালো করে ভাজা হলে একটি বাটিতে নামিয়ে নিবো।
একাদশ ধাপ
এরপর চুলাতে আরেকটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে কুঁচি করে কেটে রাখা রসুন দিয়ে নিবো।
দ্বাদশ ধাপ
এরপর কুঁচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে নিবো।
ত্রেয়দশ ধাপ
এরপর টুকরো করে কেটে রাখা টমেটো ও জিরাগুঁড়া দিয়ে নিবো।
চর্তুদশ ধাপ
এরপর লবন দিয়ে নিবো।
পঞ্চদশ ধাপ
এরপর পানি দিয়ে নিবো।
ষষ্ঠদশ ধাপ
এরপর টমেটো সস দিয়ে জ্বাল দিয়ে নিবো।
সপ্তদশ ধাপ
এরপর কাঁচা মরিচ দিয়ে নিবো।
অষ্টাদশ ধাপ
এরপর সিদ্ধ করে রাখা পাস্তা ও ভেজে রাখা ডিম দিয়ে নিবো।
উনবিংশ ধাপ
এরপর আবারও টমেটো সস দিয়ে নিবো।
শেষ ধাপ
এরপর হালকা আঁচে জ্বাল দিয়ে একটি প্লেটে নামিয়ে নিবো। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু ও মজাদার স্পাইসি পাস্তা রেসিপিটি।
পরিবেশন
পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে স্পাইসি পাস্তা রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার তৈরি করা স্পাইসি পাস্তা রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য আমাকে সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
Photographer | @anisshamim |
---|---|
Device | Google Pixel 4a |
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
কিছুদিন আগেও পাস্তার তেমন প্রচলন ছিল না মানুষ পাস্তার সাথে তেমন পরিচয় ছিলনা। কিন্তু বর্তমান সময়ে পাস্তার এত প্রচলন সবাই অনেক পছন্দ করে। পাস্তা অনেক ইউনিক একটা রেসিপি খেতে অনেক ভাল লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে তৈরি করেছেন। এটি অতিথি আপ্যায়নে পারফেক্ট একটি নাস্তা
স্পাইসি পাস্তা আমাদের শরীরের জন্য এত উপকারি তা আগে জানা ছিল না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জেনে ভালোই লেগেছে। বিকেলের নাস্তা হিসেবে পাস্তা নুডুলস এগুলো আমার খুবই পছন্দের খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে লোভনীয় লাগছে । খেতে নিশ্চয় সুস্বাদু আছে। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত চমৎকার মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
পাস্তা রান্নার দারুন একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। বৃষ্টির এই দিনে আমিও আজকে পাস্তা রান্না করেছি। কিছুক্ষণ পরেই সেই পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গিয়েছে।
আজকে আপনিও পাস্তার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবেন জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই।আসলে বর্তমানে প্রায় সময়ই এ জাতীয় রেসিপি তৈরি করে অনেকেই খেয়ে থাকে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
দারুণ রেসিপি ভাই। পাস্তা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। যদিও বেশি একটা খেতে পারিনা। অল্প করেই খাই। তবে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি দারুণ ভাবে ঝাল ঝাল এই পাস্তা রেসিপি বানিয়েছেন। আমিও শিখে নিলাম। হয়তো একদিন চেষ্টা করে দেখবো।
আসলে এ জাতীয় রেসিপি একটু জ্বাল হলে স্বাদটাও বেশি হয়ে থাকে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
স্পাইসি পাস্তা আমাদের জন্য এতো উপকারী তা জানা ছিল না, আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। পাস্তা রেসিপি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বিকালের নাস্তা হিসেবে পাস্তা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। তাছাড়া খেতেও খুবই সুস্বাদু। আপনি আজকে যেভাবে পাস্তা রান্না করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। তাছাড়া পাস্তা রান্নার প্রতিটি ধাপও খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। পাস্তার যে এত গুনাগুন তা আগে জানা ছিল না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পাস্তা খেতে অনেক ভালো লাগে,মাঝে মাঝে বাসায় পাস্তা বানিয়ে খাওয়া হয়। তবে বেশিরভাগ সময় ক্রিমি পাস্তা খাওয়া হয়। এরকম করে স্পাইসি পাস্তা কখনো করা হয়নি। ভাইয়া আপনার রান্নার পদ্ধতি গুলো দেখে শিখে নিলাম আশাকরি খুব শীঘ্রই বাসায় ট্রাই করবো। অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন রেসিপি তৈরি করার পাশাপাশি এই রেসিপির উপকারিতা সম্পর্কে খুবই সুস্পষ্ট ধারণা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পরে খুবই ভালো লাগলো। পাস্তা রেসিপি পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে বিকেলের নাস্তা হিসেবে এই ধরনের রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
বিকেলের নাস্তা হিসেবে পাস্তা একেবারে পারফেক্ট। আমিও প্রায় সময় বিকেলে নাস্তায় পাস্তা তৈরি করি। আপনার পাস্তা রেসিপি টি দেখে একেবারে আসার মত অবস্থা। কারণ এটা আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি। আপনাকে ধন্যবাদ লোভনীয় রেসিপির জন্য।