হাসির গল্প "সব কথা ফেসবুকে" এর প্রথম পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। আমি আমার গল্পের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি একটু বিনোদন দেওয়া জন্য।আর সেই হিসেবে আজও আপনাদের মাঝে সব কথা ফেসবুকে হাসির গল্পের প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আশাকরি,এবারও এই গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার এক ছোট ভাই বলল,আমি মনে করি একসময় ঘটকালির পেশাটা আর থাকবে না।সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাবে একেবারেই।আমি ছোট ভাইয়ের কথা শুনে বললাম,এই ঐতিহ্যবাহি একটা পেশা কোনোভাবেই পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে না। তবু তুই যেহেতু বলছিস,নিশ্চয়ই এই কথার পক্ষে তোর কোনো যুক্তি আছে মনে হচ্ছে ।তবে বল শুনি কি তোর যুক্তি।
ছোট ভাই আমার কথার প্রতি উত্তরে বলল, ভাই যুক্তি খুবই নরমাল।যেমন-আগে ঘটকরা ঘটকালি করত পাত্র-পাত্রীর স্বভাব চরিত্র,আচার-ব্যবহার ইত্যাদি জানার জন্য অথবা ঘটকের মাধ্যমে পাত্রপক্ষ জানতে পারতো পাত্রী সম্পর্কে আর পাত্রীপক্ষ জানতে পারতো পাত্র সম্পর্কে। কিন্তু এখন আর এসব এর দরকার হয় না।
পাত্র আর পাত্রী কেমন সেটা জানা যায় তাদের কয়েক মাসের স্ট্যাটাস দেখলেই। যেহেতু এখন কেউই পেটে কথা রাখে না।কথা রাখে ফেসবুকে। অতএব এখন মানুষ চেনা কয়েক মিনিটের ব্যাপার।আগে শিল্পীরা গান গাইত 'মানুষ চেনা দায়,এ গানও এখন চলে না।এখন মানুষ চেনা খুবই সহজ। যদি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকে।
এমন সময় পাশে থাকা আমার এক বড়ভাই বললেন, ফেসবুক আছে বলে রক্ষা। নইলে কবেই বাসাটা ছেড়ে দিতে হতো।বাড়িওয়ালা যা করে।আমি ভাইয়ের কথার আগামাথা বুঝতে না পেরে অনুরোধ করলাম বুঝিয়ে বলার জন্য।
বড় ভাই আমার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বললেন,আগে আমি আর তোর ভাবি দিন নেই রাত নেই ঝগড়া করতাম। আর এ ঝগড়ার শব্দ বাড়িওয়ালার কানে যেতেই এই লোক তেড়ে এসে বলত,যাতে বাসাটা ছেড়ে দিই।দুয়েকটা বাসা ছেড়েছিও।কারণ তখন আমরা এত ফেসবুকে আসক্ত ছিলাম না।
বর্তমানে আমরা ফেসবুকে এত বেশি আসক্ত হয়েছি যে,পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য সব ধরনের ঝগড়াই এখন আমরা করে থাকি ফেসবুকে।তাই বাড়িওয়ালা শুনতে পায় না।ও,সুবিধা আরেকটা আছে। আগে যখন মুখোমুখি ঝগড়া করতাম,তোর ভাবী এটা-ওটা ছুড়ে মারত।ফেসবুকে ঝগড়াটা কিন্তু সে দিক দিয়ে নিরাপদ। মোটকথা সুবিধা আর সুবিধা।
আজ এ পযর্ন্তই।অন্যদিন এর পরবর্তী পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার ভাইয়ের কথার সাথে আমিও একমত ভাই। আসলে একটা সময় ঘটকের প্রয়োজন হবে না। এমনিতে সবাই লাভ ম্যারেজে বিশ্বাস। তাছাড়া আপনার ভাইয়ের গল্পটা শুনে বেশ ভালো লেগেছে। একটা সময় তার বউয়ের সাথে ঝগড়া করত কিন্তু বর্তমানে মোবাইলে করে। এজন্য বাড়িওয়ালা এখনকার ঝগড়া শুনতে পায় না। এই কথা শুনে হাসি এসেছে। পরিবারের মধ্যে সবকিছুই থাকবে। আশা করি খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আসবেন।
হাহাহা। খুব মজা লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে। মজার হলেও লেখাগুলো কিন্তু একেবারে বাস্তবসম্মত। বর্তমানে মানুষ ফেসবুকে যেমন ভাবে আসক্ত হয়েছে কারো আর পার্সোনাল লাইফ বলে কিছু থাকে না। সবকিছু যেনো ফেসবুকে শেয়ার করতে পারলেই শান্তি। তাছাড়া আপনার বড় ভাইয়ের ফেসবুকে ঝগড়া করার বিষয়টা খুব মজা লেগেছে। অনেকে কিন্তু এমন করেও। ফেসবুকের কারণে আপনার ওই বড় ভাইয়ের সুবিধাই হয়েছে বোঝা যাচ্ছে।
অনেক মানুষের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকে অনেক ঘটনা। যেগুলো ব্যক্ত করার সময় পায়না। তবে যখন দেখি আপনার মত কেউ আমাদের মাঝে এই সমস্ত ঘটনাগুলো শেয়ার করে থাকে সত্যি ভালো লাগে। হয়তো এমন একটা দিন আসবে বিয়ের বিষয়টা পরিবারের সিদ্ধান্তের মধ্যে আর সীমাবদ্ধ থাকবে না নিজ নিজ দায়িত্বে চলে যাবে। আবার ঝগড়ার বিষয়টা ঠিক হাস্যকর মনে হলো। সবকিছু মিলিয়ে বলতে পারি সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আশাকরি পরবর্তী পর্ব খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন খুব শীঘ্রই।
ভাই ফেসবুক এর যুগে ঘটকের মাধ্যমে বিয়ে অনেকটা কমে গিয়েছে। সামনে মনে হচ্ছে আরো কমে যাবে। তবে এটা ঠিক যে,একজন মানুষের রিয়েল ফেসবুক আইডির মাধ্যমে অনেক কিছুই জানা যায়। আবার ফেইসবুক এর মাধ্যমে একই বাসায় থেকে ঝগড়াও করা যায় 😂। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।